খালেদা-তারেকের ড্যান্ডি ডায়িং মামলায় বিচার শুরু

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও তার ছেলে তারেক রহমানের ড্যান্ডি ডায়িংয়ের ৪৫ কোটি টাকা ঋণ খেলাপি মামলার বিচার শুরু  হয়েছে। আগামী ১  মার্চ মামলার স্বাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ধার্য করেছেন আদালত।   মঙ্গলবার ঢাকার প্রথম অর্থঋণ আদালতের  বিচারক ফাতেমা ফেরদৌস বিবাদীদের বিরুদ্বে ইস্যু গঠন করে আগামী ১লা মাচ মামলার স্বাক্ষ্য গ্রহনের জন্য ধার্য করেছেন আদালত।   সোনালী ব্যাংকের আইনজীবী জাহাঙ্গীর আলম  ইস্যু গঠন বিষয়ে শুনানি করেন বিবাদী পক্ষে শুনানী করেন ব্যারিষ্টার ফখরুল ইসলাম। ৫ কোটি টাকা পর্যন্ত মামলার বিষয়বস্তু হলে ব্যাংকের ম্যানেজার মধ্যস্থতা করতে পারেন। কিন্তু ৫ কোটি টাকার উর্ধ্বে হলে ব্যাংকটির চেয়ারম্যান/ম্যানেজিং ডিরেক্টর লেবেলের কাউকে মধ্যস্থতায় থাকতে হবে।   এ মামলায় ব্যাংকের পক্ষে তেমন কোনো কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন না। এ বিষয়টিসহ অন্যান্য বিষয়ে মামলার কার্যক্রম চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়েছিল। আরাফাত রহমান কোকো এ মামলার বিবাদী ছিলেন। তিনি মারা যাওয়ায় খেলাপি ঋণ দেওয়ানি কর্মবিধি আইনের ২২নং আদেশের নিয়ম ৪ অনুসারে তার সম্পদের ওয়ারিশরা বিবাদীভূক্ত হবেন। তাই তার ওয়ারিশ হিসেবে খালেদা জিয়া, স্ত্রী শর্মিলা রহমান এবং দুই মেয়ে জাফিয়া রহমান ও জাহিয়া রহমানকে বিবাদীভূক্ত করার আবেদন জানানো হয়েছিল গত বছর ১৫ জুলাই  তাদেরকেও উক্ত মামলায় বিবাদী করা হয়েছে।   মামলার অন্য বিবাদীরা হলেন ড্যান্ডি ডায়িং লি., প্রয়াত সাঈদ এস্কাদরের ছেলে শামস এস্কান্দার ও সাফিন এস্কান্দার, মেয়ে সুমাইয়া এস্কান্দার, স্ত্রী বেগম নাসরিন আহমেদ, গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, মামুনের স্ত্রী শাহীনা ইয়াসমিন, কাজী গালিব আহমেদ, মিসেস শামসুন নাহার ও মাসুদ হাসান। আরাফাত রহমান কোক মারা যাওয়ায় তার স্ত্রী শমিলা রহমান তার দুই মেয়ে জাফিয়া রহমান ও জাহিয়া রহমানকে এ মামলায় বিবাদীভুক্ত করা হয়। মোজাফ্ফর আহমেদ মারা যাওয়ায় তার স্ত্রী শামসুন্নাহার ও ছেলে মাসুদ হাসানকে এ মামলায় বিবাদীভুক্ত করা হয়। উল্লেখ্য ২০১০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ব্যাংকের পক্ষ থেকে ঋণ পরিশোধের জন্য চূড়ান্ত নোটিশ প্রদান করা হলেও বিবাদীরা কোনো ঋণ প্রদান করেননি বিধায় ২০১৪ সালে ২ অক্টোবর ঢাকার প্রথম অর্থঋণ আদালতে ৪৫ কোটি ৫৯ লাখ ৩৭ হাজার ২৯৫ টাকা ঋণ খেলাপীর অভিযোগে এ মামলাটি দায়ের করেন সোনালী ব্যাংকের স্থানীয় কার্যালয় শাখার সিনিয়র নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম। মামলায় অভিযোগ করা হয়, বিবাদীরা ড্যান্ডি ডাইংয়ের পক্ষে ১৯৯৩ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি সোনালী ব্যাংকে ঋণের জন্য আবেদন করেন। ওই বছরের ৯ মে সোনালী ব্যাংক বিবাদীদের আবেদনকৃত ঋণ মঞ্জুর করেন। ২০০১ সালের ১৬ অক্টোবর বিবাদীদের আবেদনক্রমে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ সুদ মওকুফ করেন। এরপর ঋণ পুনঃ তফসিলিকরণও করা হয়। কিন্তু বিবাদীরা ঋণ প্রদান না করে বরাবর কালক্ষেপন করতে থাকেন

No comments

Powered by Blogger.