কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে ড. ইউনূসের বৈঠক

শান্তিতে নোবেলজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর আমন্ত্রণে দাভোসে প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো আয়োজিত এক অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন। অনুষ্ঠানে ড. ইউনূস প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এক বৈঠকে মিলিত হন। ইউনূস সেন্টার থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশে প্রফেসর ড. ইউনূসের কর্মকাণ্ডে অনুপ্রাণিত কানাডার ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচির সঙ্গে প্রফেসর ইউনূসের দীর্ঘ দিনের সম্পর্ক। বিশ্বব্যাপী দরিদ্র নারীদের উন্নয়নে প্রফেসর ইউনূসের অসামান্য অবদানের জন্য কানাডিয়ান প্রধানমন্ত্রী ড. ইউনূসের ভূয়সী প্রশংসা করেন। প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো এ উপলক্ষে ১৯৮৩ সালে ১২ বছর বয়সে পিতার সঙ্গে তার বাংলাদেশ সফরের কথা স্মরণ করেন। সে সময়ে তার চট্টগ্রাম ভ্রমণের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেন। ড. ইউনূস সে সময় তাকে আবারও বাংলাদেশে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানান। ড. ইউনূস ও প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো আগামী ২৮শে সেপ্টেম্বর অটোয়ায় অনুষ্ঠেয় নর্থ আমেরিকান সোশ্যাল বিজনেস ফোরাম নিয়ে আলোচনা করেন। কানাডার সুবিধা-বঞ্চিত মানুষের জন্য নীতিনির্ধারণী বিভিন্ন বিষয় এবং কানাডিয়ান সরকারের উন্নয়ন সহযোগিতা কর্মসূচি নিয়ে আলোচনার জন্য কানাডিয়ান প্রধানমন্ত্রী প্রফেসর ইউনূসকে কানাডা সফরের আমন্ত্রণ জানান। তিনি কানাডায় সামাজিক ব্যবসা আন্দোলনে সব ধরনের সহযোগিতার প্রতিশ্রুতিও দেন। ইউনূস ও প্রধানমন্ত্রী ট্রুডোর বৈঠকের সময়ে বিশিষ্ট গায়ক ও দারিদ্র্যবিমোচন কর্মী বোনো এবং হলিউড তারকা কেভিন স্পেসি তাদের সঙ্গে যোগ দেন এবং আন্তর্জাতিক উন্নয়ন কর্মসূচি বিষয়ে তাদের মতামত ব্যক্ত করেন। অভ্যর্থনা সভায় ড. ইউনূস কানাডার অর্থমন্ত্রী ও তার দীর্ঘদিনের বন্ধু বিল মরনোর সঙ্গে এক একান্ত বৈঠকে মিলিত হন। এছাড়াও ড. ইউনূস পরিবেশ মন্ত্রী ক্যাথরিন ম্যাককেনা, উদ্ভাবন, বিজ্ঞান ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন মন্ত্রী নবদ্বীপ সিং বেইন এবং বৈদেশিক বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।

No comments

Powered by Blogger.