প্রতিবাদে ঠেকানো গেল না নির্ভয়ার ধর্ষকের মুক্তি

প্রতিবাদ-বিক্ষোভ আর আদালতের দ্বারস্থ হয়েও ঠেকানো গেল না ‘নির্ভয়া’র ধর্ষককে। রোববার ভারতের কিশোর সংশোধনাগার থেকে সে মুক্তি পায় বলে বিবিসিকে জানিয়েছেন তার আইনজীবী। তার মুক্তি নিয়ে ভারতজুড়ে আরও বড় ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। ওই ঘটনার সময় এ আসামি অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তার নাম প্রকাশ করা হয়নি। তাকে তিন বছরের জন্য সংশোধনাগারে পাঠানো হয়েছিল। ২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বর রাতে দিল্লিতে বাড়ি ফেরার পথে মেডিকেল কলেজের এক তরুণী বাসচালক ও কর্মীদের নির্যাতন ও ধর্ষণের শিকার হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় শিক্ষার্থী ও তার বন্ধুকে রাস্তায় ফেলে দেয়ার পর হাসপাতালে কয়েকদিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে তার মৃত্যু হয়।
ঘটনার সময় অভিযুক্তের বয়স ১৮ বছরের কম থাকায় কিশোর আইনে তার বিচার হয়। ভারতে কিশোর আইনে সর্বোচ্চ সাজা তিন বছরের কারাদণ্ড। ফলে তিন বছর কারাভোগের পর সে এখন মুক্তি পেল। ২০১৩ সালের অগাস্টে ওই কিশোরকে সংশোধনাগারে পাঠানো হয়েছিল। তাকে গ্রেফতারের সময় থেকে সাজার মেয়াদ ধরে ২০১৫ সালের ২০ ডিসেম্বর তার মুক্তির তারিখ নির্ধারণ করা হয়। ভারতের ক্ষমতাসীন দল ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নেতা সুব্রামানিয়াম স্বামী দিল্লি হাইকোর্টে আসামির সাজার মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করেও কোনো ফল হয়নি। শুক্রবার ওই আবেদন খারিজ করে সাজার মেয়াদ না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত দেন দিল্লি হাইকোর্ট। বিচারকরা বলেন, “এ বিষয়টির গুরুত্ব নিয়ে আমাদের মনে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু আইন অনুযায়ী ওই কিশোরকে ২০ ডিসেম্বরের পর সংশোধনাগারে রাখা সম্ভব না।” নিহত শিক্ষার্থীর বাবা-মাসহ অনেক মানুষ আদালতের এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানায়। তারা রোববার সকালে দিল্লিতে একটি প্রতিবাদ মিছিল করতে চেয়েছিল। কিন্তু পুলিশি বাধার মুখে তা পণ্ড হয়ে যায়। এর আগে শনিবার বিকালে দিল্লির নারী কমিশনের প্রধান স্বাতী মালিওয়াল আসামির মুক্তি আটকাতে সুপ্রিমকোর্টে একটি আবদেন করেন। সোমবার ওই আবেদনের শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.