নাম-ঠিকানা পেলো সেই শিশুটি

কুকুরে কামড়ানো সেই শিশুটির নাম রাখা হয়েছে ফায়জা। ঠিকানা হয়েছে সমাজ অধিদপ্তরের আওতাধীন শিশুনিবাসে। সে এখন সম্পূর্ণ সুস্থ। বুধবার দুপুরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের (ঢামেক) প্রশাসনিক ভবনের সভাকক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে ফায়জাকে হস্তান্তর করা হয়। মেডিক্যালে কলেজের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মিজানুর রহমান শিশুটিকে অধিদপ্তরের উপপরিচালক সেলিনা আক্তারের কাছে হস্তান্তর করেন। এ সময় ঢামেক পরিচালক বলেন, আমরা তার নাম দিয়েছি ফায়জা। কারণ সে মৃত্যুকে জয় করেছে। সে এখন সম্পূর্ণ সুস্থ। তিনি বলেন, তিন মাস পর সম্পূর্ণ সরকারি খরচে শিশুটির ক্ষত ঠিক করতে প্লাস্টিক সার্জারি করা হবে। শিশুটিকে দত্তক নিতে ইতিমধ্যে অনেকেই আগ্রহ দেখিয়েছেন। কিন্তু আদালতের নির্দেশ না থাকায় শিশুটিকে দেয়া হয়নি। ফায়জাকে নিতে হলে আদালতের মাধ্যমেই নিতে হবে। ফায়জার জন্য গঠিত মেডিক্যাল বোর্ডপ্রধান এবং ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের নবজাতক বিভাগের অধ্যাপক ডা. আবিদ হোসেন মোল্লা বলেন, ২৭ দিন বয়সী এ শিশুর নাক, ঠোঁট ও দুটি আঙুলের আংশিক কুকুরে খেয়ে ফেলে। নাক ও মুখের ক্ষত শুকিয়ে গেছে। প্রথম যখন তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়, তখন জলাতঙ্ক রোগের সম্ভাবনা ছিল। সংক্রামক রোগের চিকিৎসাসহ বিভিন্নভাবে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। ওই সময় তার ওজন ছিল আড়াই শ গ্রাম। কিন্তু এখন তার ওজন ২ কেজি ৭১০ গ্রাম। সে এখন ফিডারে দুধ খেতে পারে। আবিদ হোসেন বলেন, চিকিৎসক-নার্স-কর্মচারীসহ সবার সহযোগিতায় তাকে সুস্থ করা সম্ভব হয়েছে। সমাজকল্যাণের আওতাধীন শিশুনিবাসে নেয়া হবে তাকে। রাজধানীর পুরাতন বিমানবন্দরের পাশে ঝোপ থেকে গত ১৫ই সেপ্টেম্বর নবজাতকটিকে উদ্ধার করা হয়। পরিত্যক্ত অবস্থায় ফেলে রাখা নবজাতককে কুকুরে কামড়াতে শুরু করলে পাশেই খেলতে থাকা শিশুরা এগিয়ে যায়। তাদের চিৎকারে শিশুটিকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে আসেন স্থানীয় এক বাসিন্দা।

No comments

Powered by Blogger.