ইরাক-সিরিয়ায় সম্মুখযুদ্ধ করবে মার্কিন বাহিনী

ইরাক-সিরিয়ায় সম্মুখযুদ্ধে অংশগ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সিনিয়র জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টারা এ সংক্রান্ত একটি সুপারিশ করেছে। এর মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধ-ইতিহাস আরও দীর্ঘমেয়াদি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার প্রকাশিত ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরাক-সিরিয়ার জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে যুদ্ধে হোয়াইট হাউসের হতাশা থেকে নতুন এই পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। আইএসের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ আরও প্রসারিত করতে পেন্টাগন চিন্তা-ভাবনা করছিল। সম্মুখযুদ্ধে অংশগ্রহণের প্রস্তাবটি এখন প্রেসিডেন্ট ওবামার অনুমোদনের অপেক্ষায়। চলতি সপ্তাহেই ওবামা এই প্রস্তাবটি অনুমোদন করবেন বলে একজন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
নতুন এই পরিকল্পনার অধীনে প্রথমবারের মতো নির্দিষ্ট সংখ্যক সেনাসদস্য বিশেষ অভিযান পরিচালনায় সরাসরি গোলাগুলির অপারেশনে নামবে শত্রুপক্ষের কাছাকাছি গিয়ে যুদ্ধ করবে তারা।
সিরিয়ায় মার্কিন জোটের হামলা বন্ধ : সিরিয়ার বিমান হামলা চালাতে আগ্রহ পাচ্ছে না মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোট। ২২ অক্টোবরের পর থেকে সোমবার পর্যন্ত কোনো হামলা চালায়নি তারা। অন্যদিকে রাশিয়া তাদের বিমান হামলা অব্যাহত রেখেছে। কয়েকদিন পরেই তাদের বিমান হামলার মাসপূর্তি হবে। পরিস্থিতি এখন রাশিয়ার দখলে বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা বলছেন, তাদের বিমান হামলা রাশিয়ার কারণে বন্ধ হয়নি। পেন্টাগন মুখপাত্র ক্যাপ্টেন জেফ ডেভিস বলেন, আমরা হামলা করার মতো টার্গেট নির্ধারণে গোয়েন্দা তথ্যের অপেক্ষা করছি, যাতে বেসামরিক ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো যায়।
সিরিয়ার তিন শহর থেকে পালিয়েছে ১ লাখ ২০ হাজার মানুষ : চলতি মাসে সিরিয়ার তিন শহর থেকে ১ লাখ ২০ হাজার মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক সমন্বয়ক সংস্থা বলেছে, আলেপ্পো, হামা ও ইদলিব থেকে ১ লাখ ২০ হাজার সিরীয় পালিয়ে গেছে। গত সপ্তাহেই ঘরবাড়ি ছেড়েছে ৫০ হাজার মানুষ।

No comments

Powered by Blogger.