কৃষ্ণগহ্বর থেকে বেরোনোর পথ!

ব্ল্যাকহোল বা কৃষ্ণগহ্বর
ব্ল্যাকহোল বা কৃষ্ণগহ্বরে যা একবার পড়ে তা চিরতরে হারিয়ে যায়। বিজ্ঞানীরাও এমনটাই মনে করেন। এই ব্ল্যাকহোল থেকে বের হওয়ার আর কোনো পথই থাকে না। তবে সম্প্রতি বিখ্যাত তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং শুনিয়েছেন ভিন্ন কথা। সুইডেনের স্টকহোমে কেটিএইচ রয়্যাল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে বক্তৃতা দিতে গিয়ে নতুন একটি তত্ত্ব শুনিয়েছেন তিনি। হকিং বলেন, ‘কৃষ্ণগহ্বরকে আমরা যে অনন্তকালের কারাগার বলে জেনে এসেছি আসলে এটা তা নয়। কৃষ্ণগহ্বরে কোনো কিছু পড়ে গেলে তা চিরতরে হারিয়ে যায় না।’
গবেষকেরা বলছেন, ব্ল্যাকহোল হচ্ছে মহাকাশের এমন বিশাল একটি অঞ্চল যেখানকার মাধ্যাকর্ষণ শক্তি এতটাই প্রবল যে সেখান থেকে কোনো কিছুই বের হতে পারে না। কৃষ্ণগহ্বর থেকে এমনকি আলোও বের হতে পারে না।
তবে হকিং বলছেন, ‘আপনার যদি মনে হয় কৃষ্ণগহ্বরে পড়ে গেছেন, তবুও আশা ছাড়বেন না। এখান থেকে বের হওয়ারও পথ রয়েছে।’
হকিং মনে করেন, ব্ল্যাকহোলে যে তথ্য চিরতরে হারিয়ে গেছে বলে মনে করা হয়ে আসছে তারও জীবন আছে। আসলে এ তথ্য কৃষ্ণগহ্বরে পুরোপুরি হারায় না। কৃষ্ণগহ্বরের সীমানা বা ঘটনা দিগন্তে তা সংরক্ষিত থাকে।
কোয়ান্টাম মেকানিকসের সূত্র অনুযায়ী, এ তথ্য যেকোনো সময় যেকোনো উপায়ে সেখান থেকে বের হয়ে আসতে পারে।
প্রসঙ্গত, গত বছর হকিং অবশ্য কৃষ্ণগহ্বরের কোনো অস্তিত্ব নেই এ তত্ত্ব দিয়েছিলেন।
হকিং বলেন, আমার এই বক্তৃতার সারমর্ম হচ্ছে— কৃষ্ণগহ্বর আসলে কালো নয়। এক সময় কৃষ্ণগহ্বরকে যে অনন্ত কারাগার মনে করা হতো এটা তাও নয়। কৃষ্ণগহ্বর থেকেও বস্তুর বের হওয়ার পথ রয়েছে এবং কৃষ্ণগহ্বর থেকে বের হয়ে বস্তু সম্ভবত আরেক বিশ্বে চলে যেতে পারে। (দ্য গার্ডিয়ান, সিনেট)

No comments

Powered by Blogger.