৮ হাজার সিরীয় শরণার্থীকে আশ্রয় দেবে যুক্তরাষ্ট্র

অনিশ্চয়তার দীর্ঘ যাত্রা। তবুও স্বজনের কাঁধে-পিঠে পড়ে
মজাই পাচ্ছে শিশু দুটি। তা উপভোগ করছেন স্বজনটিও।
সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ থেকে পালিয়ে আসা এই শরণার্থীরা
গতকাল সার্বিয়া থেকে হাঙ্গেরিতে প্রবেশ করে।
গন্তব্য পশ্চিম ইউরোপ। ছবি: রয়টার্স
আগামী বছর আট হাজার সিরীয় শরণার্থীকে আশ্রয় দেবে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র গত সোমবার এ কথা জানিয়েছেন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) শরণার্থী ব্যবস্থার বিধিবিধান শিথিল করতে ফ্রান্স ও জার্মানির আহ্বানের পর যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এ কথা জানানো হলো। খবর এএফপির। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জন কিবরি বলেন, শরণার্থীদের গ্রহণ এবং তাদের পুনরায় বসবাসের জন্য অর্থ সহায়তা দেওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকায় যুক্তরাষ্ট্র। তবে সিরিয়ার চলমান সংকট নিরসন শেষে বাস্তুহারারা যাতে নিজে দেশে ফিরতে পারে সে ব্যবস্থা করার দিকেই মনোযোগ যুক্তরাষ্ট্রের। এর আগে অভিবাসী সংকট ইস্যুতে বার্লিনে এক জরুরি বৈঠকে বসেন জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল এবং ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওঁলাদ।
ওই বৈঠক থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের শরণার্থী ব্যবস্থা সংস্কারের আহ্বান জানানো হয়। এ ছাড়া সিরিয়ার শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার সুপারিশও করা হয়। ২০১১ সাল থেকে সিরিয়ায় চলা গৃহযুদ্ধে প্রায় ৪০ লাখ লোক বাস্তুহারা হয়। গত ডিসেম্বরে ওয়াশিংটন জানিয়েছিল, জাতিসংঘ যুক্তরাষ্ট্রে নয় হাজার শরণার্থী পাঠাতে চায়। এর মধ্যে দুই হাজার লোককে এ বছর অশ্রয় দিতে রাজি হয় ওয়াশিংটন। পাশাপাশি ২০১৬ সালে এই সংখ্যা বাড়ানো হবে বলেও জানায়। তবে বেশি সংখ্যক শরণার্থীকে আশ্রয় না দেওয়ায় সমালোচনার মুখে পড়ে মার্কিন প্রশাসন। যদিও সিরিয়ার যুদ্ধে আক্রান্ত ব্যক্তিদের সহায়তায় প্রায় ৪০০ কোটি মার্কিন ডলার অর্থ সহায়তা দিয়েছে দেশটি।

No comments

Powered by Blogger.