দল পুনর্গঠনের পর আন্দোলন- খালেদা

দল পুনর্গঠনের পর বিরোধী জোট আন্দোলনে যাবে বলে জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও ২০ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতা খালেদা জিয়া। বলেছেন, বিএনপির নামে শুধু মামলা আর মামলা। আমাদের অনেক নেতাকর্মী কারাগারে আছে। কত ছেলে যে গুম হয়েছে, তার হিসাব নেই। কাজেই বিএনপিকে এখন পুনর্গঠিত হতে হবে। দল পুনর্গঠনের পর আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় আন্দোলনে যাবো। আমরা সেই আন্দোলন করবো, যে আন্দোলন দেশের ও মানুষের কল্যাণ হবে। আগেও ওইরকম আন্দোলন আমরা করেছি, আগামীতেও করবো। তিনি বলেন, জ্বালাও পোড়াও-ভাঙচুরের রাজনীতিতে আমরা বিশ্বাস করি না। সেই আন্দোলন আমরা করিনি। কারা জ্বালাও-পোড়াও করেছে তা দেশবাসী জানে। যারা করেছে তাদের ধরা উচিত, শাস্তি হওয়া উচিত। ঈদুল ফিতর উপলক্ষে শনিবার দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে কূটনীতিক, ২০দলীয় জোটের নেতাকর্মী, সাংবাদিক ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে খালেদা জিয়া এ কথা বলেন। বিএনপিকে শক্তিশালী ও জনপ্রিয় দল হিসেবে আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, বাংলাদেশে এখনও সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় দল হচ্ছে বিএনপি। সে জন্য বিএনপিকে ভেঙে দেয়ার ষড়যন্ত্র করছে, সে জন্য একে শেষ করতে সরকার উঠেপড়ে লেগেছে। খবরের কাগজে বিএনপির বিরুদ্ধে নানারকমভাবে এজেন্সি ও গ্রুপের মাধ্যমে লেখানো হয়। বিএনপির বিরুদ্ধে বিভেদ, বিএনপিতে ঐক্য নেই- এই হচ্ছে- সেই হচ্ছে। অমুক গ্রুপ-তমুক গ্রুপ। আমি স্পষ্টভাষায় বলতে চাই- এগুলো কিছুই নয়। এগুলো সবই সরকারের কারসাজি। ওরা বিএনপিকে ভেঙে দেয়ার ষড়যন্ত্র করছে। বিএনপি জনপ্রিয় দল, জনগণের সঙ্গে আছে, থাকবে। তিনি বলেন, যারা দেশকে রক্ষা ও আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ করবে তাদের হাতেই দেশ আজ জিম্মি হয়ে পড়েছে। তারা অবৈধভাবে জনগণকে আটক করছে। টাকা দিতে পারলে ভালো, না হলে কাউকে জেলে যেতে হয়, কাউকে জীবন হারাতে হয়। দেশের বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, প্রতিদিন কাগজ খুলে দেখা যাবে গুম-খুন-হত্যার খবর। দেশে আইনশৃঙ্খলা বলে কিছু আছে, তা মনে হয় না। হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র জিকে গউছকে কারা অভ্যন্তরে ছুরিকাঘাতের কথা উল্লেখ করে খালেদা জিয়া বলেন, ঈদের মতো একটি দিনে কারাগারেও মানুষ আজ নিরাপদ নয়। কারাগারে ঈদের নামাজ পড়তে যাচ্ছিল গউছ। তাকে ছুরি মারা হয়েছে। এ ঘটনার মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হলো, এ সরকারের আমলে কারাগারেও মানুষ নিরাপদ নয়। ক্ষমতাসীনদের সমালোচনা করে খালেদা জিয়া বলেন, সরকার কোন কাজ করেনি। এর ফলে হাইওয়েগুলোতে দুরবস্থা। রাস্তাঘাট খারাপ হওয়ায় গাড়ি দ্রুত বেগে যেতে পারছে না। যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। প্রশাসন, পুলিশ ও বিচার বিভাগে দলীয়করণের অভিযোগ করে তিনি বলেন, আজ বিচার হয় দুই রকমের। সরকারি দলের হলে একরকম। আর বিরোধী দল হলে ভিন্ন রকম বিচার হচ্ছে। তারা জামিন পায় না, দিনের পর দিন কারাগারে থাকতে হচ্ছে। বিরোধী নেতাকর্মীরা সুবিচার পায় না। দেশটাকে অবৈধ সরকার এভাবে কারাগার বানিয়ে রেখেছে। ঐক্যবদ্ধ হয়ে সবাইকে বাংলাদেশের জন্য কাজ করার আহ্বান জানিয়ে খালেদা জিয়া বলেন, বাংলাদেশ একটা সম্ভাবনাময় দেশ। যুদ্ধ করে মানুষ দেশটাকে স্বাধীন করেছে। সবাই মিলে এ দেশটাকে গড়তে চেয়েছে। এই দেশকে সকলে মিলে গড়ে তুলতে হলে আমাদের সব বিভেদ ভুলে যেতে হবে। রাজনীতিতে দল থাকবে, তাই বলে যে একজনের সঙ্গে আরেকজনের কোন সম্পর্ক থাকবে না, কেউ কারও চেহারা দেখবো না; এটা কোন রাজনীতি হতে পারে না। আমাদের সঙ্গে সামাজিক সম্পর্ক থাকবে। পারিবারিক সম্পর্কও থাকতে পারে। কিন্তু রাজনীতি যে যার মতো করবে। হানাহানি-খুনাখুনি-মারামারি এগুলো রাজনীতি নয়। শান্তি, উন্নয়ন ও গণতন্ত্র- এই তিনটি হচ্ছে বিএনপির আদর্শ ও লক্ষ্য। আমরা এই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। খালেদা জিয়া বলেন, দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত করতে হলে মেধারভিত্তিতে প্রশাসনে পদোন্নতি দিতে হবে। নিরপেক্ষ প্রশাসন গড়ে তুলতে পারলে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা লাভ করবে। দুর্নীতি দমন কমিশনের সমালোচনা করে খালেদা জিয়া বলেন, বর্তমান দুর্নীতি কমিশন একটি দুর্নীতি কমিশনে পরিণত হয়েছে। এখানে শুধু দুর্নীতির আড্ডা। তারা ধরে নিয়ে গিয়ে টাকা নিয়ে তারপর কার বিরুদ্ধে মামলা দেবে, কার মামলা প্রত্যাহার করবে, ঠিক করে। এটা তো হতে পারে না। এটা নিরপেক্ষ হতে হবে। অবাধ নির্বাচনের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, দেশের মানুষ আজ অবাধ নির্বাচনের অপেক্ষায় আছে। সরকার ওইরকম একটি নির্বাচন দিতে ভয় পায়। তারা দুর্বল সরকার। সদ্য তিন সিটি করপোরেশনের যে নির্বাচন হয়েছে, সেখানে কিভাবে ভোট ডাকাতি হয়েছে তা সবাই দেখেছে। জনগণ এই অবস্থা থেকে মুক্তি চায়। সরকার অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দিয়ে প্রমাণ করুক কারা জনপ্রিয়। খাদ্যমন্ত্রীর প্রতি ইঙ্গিত করে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, মন্ত্রীরা লুটপাট করে দেশকে শেষ করে দিয়েছে। এই পচা গম পুলিশকে দেয়া হচ্ছিল, কিন্তু পারেনি। এখন সরকার উদ্যোগ নিয়েছে, কিছু ভালো গমের সঙ্গে মিশিয়ে তা যোগ্য করে মানুষকে খাওয়ানো হবে। ওই পচা ও পোকাওয়ালা গম টিআর, কাবিখা ও রিলিফের মাধ্যমে গরিব মানুষকে খাওয়াবেন। তা প্যাকেটের মাধ্যমে আটা হয়ে শহরেও চলে আসবে। এতে দেশের কোন উন্নয়ন হবে না, মানুষের রোগ বাড়বে। কিন্তু দুর্নীতিবাজ মন্ত্রীরা ভালো আছে, আরামে আছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ ভাত পায় না, কাপড় পায় না। বিদেশে যাওয়ার জন্য তারা কিভাবে পাগল হয়ে জীবন বিপন্ন করে জাহাজে জাহাজে ঘুরছে। দেশে কাজ নেই তাই জীবন বিপন্ন করে বিদেশে যাচ্ছে। বিদেশেও আমাদের কোন লোক নেয়া হচ্ছে না। টোটালি বন্ধ। এমন কি মানুষ হজে বা ওমরাহ করতে যাবে সেখানেও ভিসার ওপর নিষেধাজ্ঞা, যেতে পারছে না। বর্তমান সরকারই বাংলাদেশীদের সুনাম নষ্ট করেছে। বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, এ সরকার দুর্বল। পুলিশ বলে, এ সরকারকে আমরাই টিকিয়ে রেখেছি। মেয়েদের ওপর কিভাবে নির্যাতন হচ্ছে। এমনকী মহিলা পুলিশের ওপরও নির্যাতন হচ্ছে। কোথাও কেউ নিরাপদ নয়। মানুষ এর হাত থেকে মুক্তি চায়। যে অবস্থাতেই থাকি জনগণের পাশে আছি, থাকবো। তিনি বলেন, মানুষ না দেখলেও আল্লাহতায়ালা দেখছেন। দেশে আজ কী জুলুম-নির্যাতন, অত্যাচার হচ্ছে। আল্লাহতায়ালা অত্যাচারীকে বাড়তে দেয়। কিন্তু সময় মতো এমন আঘাত করেন তখন আর দাঁড়ানোর ক্ষমতা থাকে না। মানুষ এখন আল্লাহকে ডাকছে। আল্লাহ কারও না কারও ফরিয়াদ শুনবেন। অত্যাচারীদের পতন হবেই হবে। এর আগে খালেদা জিয়া বেলা ১১টা ৪২ মিনিট থেকে সোয়া ১২টা পর্যন্ত ২০দলীয় জোটের নেতাদের সঙ্গে, সোয়া ১২টা থেকে সাড়ে বারটা পর্যন্ত ৩৯টি দেশের কূটনীতিক ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে এবং সাড়ে ১২টার পর থেকে সাধারণ মানুষ ও সাংবাদিকদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
কূটনীতিকদের শুভেচ্ছা ও বার্নিকাটের শাড়ির প্রশংসা
বিএনপি চেয়ারপারসনের ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে অংশ নেন কূটনীতিক কোরের ডিন প্যালেস্টাইনের রাষ্ট্রদূত শাহের মোহাম্মদ এইচ আবুইয়াদেহ, যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্সিয়া স্টিফেন্স ব্লুম বার্নিকাট, রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্দর নিকোলায়েভ, ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত পিয়েরে মায়াদন, পাকিস্তানের হাইকমিশনার সুজা আলম, ভারতের হাইকমিশনার পংকজ শরণ, নেপালের রাষ্ট্রদূত হরি কুমার শ্রেষ্ঠাসহ ৩৯টি দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার, মিশনপ্রধান, কূটনীতিক ও কর্মকর্তারা। শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে কূটনীতিকদের সেমাই-জর্দাসহ মিষ্টি দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়। লাইনে দাঁড়িয়ে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনাররা অনুষ্ঠানের মঞ্চে খালেদা জিয়ার সঙ্গে একে একে করমর্দন করে ঈদে শুভেচ্ছা জানান। তবে সবার নজর কাড়েন মার্কিন রাষ্ট্রদূত। সবুজ রঙের একটি শাড়ি পরে বিএনপি চেয়ারপারসনের অনুষ্ঠানে অংশ নেন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শা স্টিফেন ব্লুম বার্নিকাট। বাঙালি নারীর মতো শাড়ি পরা দেখে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে তার প্রশংসা করেছেন খালেদা জিয়া। বার্নিকাটের সঙ্গে করমর্দন করে খালেদা জিয়া বলেন, ‘আপনাকে শাড়িতে সুন্দর মানিয়েছে, খুব সুন্দর লাগছে।’ জবাবে বার্নিকাটও হাসিমুখে বিএনপি চেয়ারপারসনের ক্রিম রঙের শাড়ির প্রশংসা করেন। এরপর তারা দুজনই ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়ের পর একান্তে কথাও বলেন। বার্নিকাটের পাশাপাশি ইউরোপের দুটি দেশের নারী রাষ্ট্রদূতও রঙিন শাড়ি এবং রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্দার নিকোলায়েভ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত পিয়েরে মায়াদন পাজামা-পাঞ্জাবি পরে খালেদা জিয়ার সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে যোগ দেন। অনুষ্ঠানে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত শাহের মোহাম্মদ এইচ আবুইয়াদেহ ও নেপালের রাষ্ট্রদূত হরি কুমার শ্রেষ্ঠা, ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত ও তার স্ত্রী নিজ দেশীয় পোশাক পরে আসেন। তারা তাদের নবজাত সন্তানকেও সঙ্গে আনেন। মায়ের কোলে থাকা শিশুটিকে দোয়া করেন খালেদা জিয়া। সস্ত্রীক অনুষ্ঠানে অংশ নেন পাকিস্তানের হাইকমিশনারও। ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে বিএনপি চেয়ারপারসনের পাশে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, এমকে আনোয়ার, ব্রিগেডিয়ার (অব.) আসম হান্নান শাহ, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, সারোয়ারী রহমান, নজরুল ইসলাম খান, সদ্য কারামুক্ত গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা রিয়াজ রহমান, ইনাম আহমেদ চৌধুরী, সাবিহউদ্দিন আহমেদ অংশ নেন।
রাজনীতিকদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়
ঈদের দিন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন বিশিষ্ট নাগরিক, পেশাজীবী, জোটের শরিক ও বিএনপির নেতাকর্মীরা। বিশিষ্ট নাগরিকদের মধ্যে শিক্ষাবিদ প্রফেসর এমাজউদ্দীন আহমদ, প্রফেসর ড. মাহবুবউল্লাহ, প্রফেসর আফম ইউসুফ হায়দার, চলচ্চিত্রকার গাজী মাজহারুল আনোয়ার, ছড়াকার আবু সালেহ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর খন্দকার মুুস্তাহিদুর রহমান, সাংবাদিক মাহফুজউল্লাহ, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক রুহুল আমিন গাজী, অ্যাব নেতা আনহ আখতার হোসেন, সাংবাদিক নেতা শওকত মাহমুদ, আবদুল হাই শিকদার, শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোট নেতা জাকির হোসেন, সাংবাদিক আবদুল আউয়াল ঠাকুর, কামরুল ইসলাম চৌধুরী, কণ্ঠশিল্পী রিজিয়া পারভীন অংশ নেন। জোটের শরিক দলের নেতাদের মধ্যে- কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীরপ্রতীক, জাগপা’র শফিউল আলম প্রধান, খন্দকার লুৎফর রহমান, জাপা (জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর প্রফেসর মুজিবুর রহমান, নির্বাহী পরিষদ সদস্য মাওলানা আবদুল হালিম, কর্মপরিষদ সদস্য ডা. রেদোয়ান উল্লাহ শাহেদী, আমিনুল ইসলাম, মোবারক হোসেন, লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, মুসলিম লীগের এএইচএম কামরুজ্জামান খান, বাংলাদেশ ন্যাপের জেবেল রহমান গানি, ন্যাপ-ভাসানীর আজহারুল ইসলাম, সাম্যবাদী দলের সাঈদ আহমেদ ও বিজেপির সালাহউদ্দিন প্রকাশ এবং বিএনপি নেতাদের মধ্যে- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুল মান্নান, শাহজাহান ওমর বীরউত্তম, আবদুল আউয়াল মিন্টু, আবদুল হালিম, সুজাউদ্দিন, ইসমাইল জবিউল্লাহ, রুহুল আলম চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব মাহবুবউদ্দিন খোকন, দলের মুখপাত্র ও আন্তর্জাতিক সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার জিয়াউর রহমান ও সহ-আইনবিষয়ক সম্পাদক তৈমূর আলম খন্দকার, সমাজসেবাবিষয়ক সম্পাদক আবুল খায়ের ভূঁঁইয়া, বিএনপির সমর্থনে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে অংশগ্রহণকারী তাবিথ আউয়াল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ও মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, শফিউল বারী বাবু, যুবদল সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সম্পাদক সাইফুল আলম নিরব, ছাত্রদল সম্পাদক আকরামুল হাসানসহ বিভিন্ন স্তরের নেতারা চেয়ারপারসনের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
জিয়া ও কোকোর কবর জিয়ারত
ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ করেন খালেদা জিয়া। এ সময় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য এমকে আনোয়ারসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। পরে বনানী কবরস্থানে ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর কবরে যান খালেদা জিয়া। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন আরাফাত রহমান কোকোর দুই কন্যা জাহিয়া রহমান ও জাফিয়া রহমান। সেখান থেকে দুই নাতনিকে নিয়ে গুলশানের বাসায় ফিরেন তিনি। এর আগে বেলা ১১টায় কোকোর কবর জিয়ারত করেন তার স্ত্রী শর্মিলা রহমান।

No comments

Powered by Blogger.