নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের পরামর্শ সুজনের

সব প্রার্থীদের সমান সুযোগ দেয়া, আচরণবিধি ভঙ্গে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া, গুরুতর অপরাধে প্রার্থীতা বাতিল, নির্বাচনে টাকার অবাধ ব্যবহার ও পেশী শক্তির দৌরাত্ম্য বন্ধের  পরামর্শ দিয়েছে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)। এছাড়া নির্বাচনের কয়েকদিন আগে থেকে সেনা মোতায়েন করারও পরামর্শ দিয়েছে সংস্থাটি। একইসাথে প্রার্থীদের কারো বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলা থাকলে তা প্রত্যাহার এবং জামিনযোগ্য মামলা থাকলে জামিন দেয়ারও পরামর্শ দিয়েছে তারা।
আজ সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের তথ্য বিশ্লেষণমূলক অনুষ্ঠানে  নির্বাচন কমিশনকে এসব পরামর্শ দেয় সুজন।
তথ্য বিশ্লেষণে সুজন বলেছে, ঢাকা উত্তর সিটি নির্বাচনে ১৬ মেয়র প্রার্থীর মধ্যে সাতজনের শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতকোত্তর, অপর সাতজন স্নাতক ডিগ্রিধারী এবং অবশিষ্ট দু’জন স্বশিক্ষিত বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
ঢাকা দক্ষিণে প্রতিদ্বন্দ্বী ২০ জনের মধ্যে পাঁচজন স্নাতকোত্তর, চারজন স্নাতক, পাঁচজন স্বশিক্ষিত এবং একজন অষ্টম শ্রেণী বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
উত্তরে ১৬ জন প্রার্থীর মধ্যে নয়জন ব্যবসায়ী, তিনজন চাকরিজীবী। বাকী চারজনের একজন সার্বক্ষণনিক রাজনৈতিক কর্মী, একজন সমাজকর্মী, একজন লেখক ও গবেষক এবং আরেকজন কবি  ও সাহিত্যিক বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, প্রার্থীদের মধ্যে ঢাকা উত্তরে ব্যবসায়ী ৬৭.২ শতাংশ। দক্ষিণে ২০ জনের মধ্যে ১৪ জন ব্যবসায়ী, একজন কোনো পেশার কথা উল্লেখ করেনননি।
মামলার বিষয়ে সুজন জানিয়েছে, ঢাকা উত্তরে ১৬ জন প্রার্থীর মধ্যে একজনের বিরুদ্ধে মামলা ছিল এবং এখনো আছে। আরেকজনের বিরুদ্ধে অতীতে একটা ছিল, এখন নেই। বাকী ১৪ জনের বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই।
ঢাকা দক্ষিণে ২০ জনের মধ্যে ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা আছে। সাতজনের বিরুদ্ধে অতীতে ছিল। তিনজনের বিরুদ্ধে অতীতেও ছিল বর্তমানেও আছে। বাকিদের কথা উল্লেখ নেই।
তথ্য বিশ্লেষণে মূল বক্তব্য প্রদান করেন সুজনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকার। উপস্থিত ছিলেন সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার, সদস্য হামিদা হোসেন, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

No comments

Powered by Blogger.