সব সংশোধন ছুড়ে ফেলা হবে -বিএনপি

দেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে করা সংবিধানের সংশোধনগুলো ছুড়ে ফেলে দেয়া হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ার। বলেছেন, জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়া একটা ফ্যাসিস্ট গোষ্ঠী ক্ষমতায় বসে আছে। তারা সংবিধানকে নিজেদের মতো করে যাচ্ছেতাইভাবে কাটাছেঁড়া করেছে। বিচার বিভাগকে তারা ধ্বংস করে ফেলেছে। আমরা স্পষ্টভাষায় বলতে চাই, যখন জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা হবে, এই সরকারের সব সংশোধনী ছুড়ে  ফেলে দেয়া হবে। গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে দিগন্ত টেলিভিশন আয়োজিত ‘গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও দিগন্ত টেলিভিশন-সাময়িক নিষেধাজ্ঞার ৫শ’তম দিন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের ‘ছক’ শিগগিরই খালেদা জিয়া প্রকাশ করবেন জানিয়ে এমকে আনোয়ার বলেন, আন্দোলনের ছক তৈরি করে রেখেছেন খালেদা জিয়া। সেই ছকেই আন্দোলন হবে। আপনারা শুরু অপেক্ষা করেন। বিএনপির এ সিনিয়র নেতা বলেন, গণমাধ্যমের ওপর সরকার নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে জাতীয় সমপ্রচার নীতিমালা প্রণয়ন করেছে। রাষ্ট্রের সব অঙ্গকে আজ ধ্বংস করে দেয়া হচ্ছে। সংবাদ মাধ্যমকে  নিয়ন্ত্রণে আনতে সরকার নানা নীতিমালা করেছে। তিনি বলেন, ৭৫ সালে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার কি করেছিল? ’৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর তারা কয়েকটি সংবাদপত্র বন্ধ করে দিয়েছিল। কেবল তাই নয়, তারা যখনই ক্ষমতায় এসেছে, প্রশাসনসহ সব কিছু চরমভাবে দলীয়করণ করেছে। পাঁচ সচিবের ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ নিয়ে চাকরি করাকে নজিরবিহীন দলীয়করণ মন্তব্য করে এম কে আনোয়ার বলেন, আমরা কোথায় যাবো? যারা রাষ্ট্রের সচিব মর্যাদায় আছেন, তারা কয়েক বছর চাকরির মেয়াদ বাড়াতে মুক্তিযোদ্ধার ভুয়া সনদ জমা দিয়েছেন। যা আজ ধরা পড়েছে। এসব সচিব এমন কাজ করার সাহস কোথা থেকে পায়- প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, ওই সচিবদের দিয়ে সরকার এমন কাজ করিয়েছে যে তারা যে কোন সময়ে থলের বিড়াল প্রকাশ করতে পারেন। সেজন্য তারা আজ যা ইচ্ছা তাই করছেন। সরকারের এম কে আনোয়ার বলেছেন, বাঘের পিঠে উঠে ক্ষমতার বড়াই দেখাচ্ছেন। এখনও সময় আছে এই বাঘের পিঠ  থেকে নামুন। অন্যথায় বাঘের পেটে যেতে হবে। দিগন্ত টেলিভিশনের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মাহবুব আলমের সভাপতিত্বে আলোচনায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরউল্লাহ চৌধুরী, কলামনিস্ট ফরহাদ মজহার, সাংবাদিক সাদেক খান, কল্যাণ পার্টির সভাপতি মে.জে. (অব.) সৈয়দ মোহাম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতীক, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন,  চেয়ারপারসনের প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

No comments

Powered by Blogger.