একজন বিশ্ববিদ্যালয়–শিক্ষকের আর্তনাদ

বিশ্বের খ্যাতনামা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর রেটিং প্রতিযোগিতায় সিভিল অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে প্রথম অবস্থানে যৌথভাবে যে তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় অবস্থান করছে, তার মধ্যে ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া বার্কলে অন্যতম৷ এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠার পর থেকে সিভিল অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে মাস্টার্স প্রোগ্রামে প্রথম বাংলাদেশি নারী হিসেবে ভর্তির সুযোগ পেয়েছিল আমার মেয়ে সিফাত শারমীন মইন, ২০১২ সালের ‘ফল সেমিস্টারে’৷ এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির প্রতিযোগিতাও একটা বিশ্ববিস্তৃত মেধার প্রতিযোগিতা৷
ওই প্রতিযোগিতায় সে জয়ী হতে পেরেছিল জিআরই পরীক্ষায় তার অসাধারণ স্কোরের পাশাপাশি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগে তার ভালো ফলের বিবেচনায়৷ n২০১৩ সালের ডিসেম্বরে সে সাফল্যের সঙ্গে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করলেও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানায় তার ডিগ্রির সনদটা ২০১৪ সালের ১৮ মে অনুষ্ঠেয় পরবর্তী ‘গ্র্যাজুয়েট কমেন্সমেন্ট’ অনুষ্ঠানে প্রদানের জন্য এবং ওই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য যেন তার মা-বাবাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আমন্ত্রণ জানানো হয়৷ উভয় আবেদন মঞ্জুর হওয়ার সুবাদে আমি এবং আমার স্ত্রী ১২ মে যুক্তরাষ্ট্রে হাজির হয়েছি গ্র্যাজুয়েট কমেন্সমেন্টে অংশগ্রহণের জন্য৷ এখন সে একটি টিচিং অ্যাসিস্ট্যান্টশিপের অধীনে পিএইচডি প্রোগ্রামস শুরু করতে যাচ্ছে৷ ১৯৭৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে অনুরূপ একটি টিচিং অ্যাসিস্ট্যান্টশিপের অধীনে প্রথমে কানাডায় মাস্টার্স করতে এসেছিলাম আমি এবং ১৯৭৭ সালের জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের ভ্যান্ডারবিল্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি প্রোগ্রাম শুরু করে ১৯৮১ সালের এপ্রিলে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করে দেশে ফিরে যাই৷ কলামের এই অংশটুকু ব্যক্তিগত হলেও মূল বক্তব্য আমাদের দেশের উচ্চশিক্ষার পরিবেশকে ক্রমেই রাজনৈতিক সন্ত্রাসের অসহায় শিকারে পরিণত করার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের আর্তনাদকে ঘিরেই৷ বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মেধাবী ছাত্রছাত্রীরা অতীতের মতো এখনো বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় মেধার প্রতিযোগিতায় সাফল্যের সঙ্গে অন্যান্য দেশের মেধাবীদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে যাচ্ছে৷ এটা দেখে যেমন গর্বে বুক ভরে যায়, কিন্তু তার পাশাপাশি যখন ইন্টারনেটের বাংলাদেশি টিভি চ্যানেলগুলোয় খবর পাই যে কী এক তুচ্ছ দলীয় কোন্দলের কারণে আমার বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের একটি গ্রুপ ক্যাম্পাসকে অচল করে রেখেছে ৭ মে থেকে ১৯ মে পর্যন্ত, তখন আর্তনাদ করে উঠি, আল্লাহ, এসব মাস্তানের কবল থেকে তুমি আমাদের কবে নিষ্কৃতি দেবে?
ছাত্রলীগ তো এখন আইয়ুব-মোনেমের এনএসএফ থেকেও ভয়ংকর এক মাস্তান বাহিনীতে পরিণত হয়েছে দেশের অধিকাংশ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে৷ আর ১৮ মে যখন খবর শুনলাম, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ছাত্রলীগের আজীবন সদস্যপদ দেওয়া হয়েছে, তখন এই আর্তনাদটা পুরো জাতিকে শোনানোর জন্য লিখতে শুরু করলাম প্রধানমন্ত্রীর প্রতি মিনতি জানিয়ে, আপনি এই পদ গ্রহণ করবেন না৷ ছাত্রলীগের মাস্তানেরা আপনার ক্ষমতার মেয়াদ কতটুকু বাড়াতে পারবে তা নিয়ে আমাদের সন্দেহ আছে, কিন্তু তারা যে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বারোটা বাজিয়ে দিচ্ছে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই৷ ১৯৭৩ সালের ১ আগস্ট আমার বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা জীবনের শুরু, আগামী ৩১ জুলাই আমার ৪১ বছরের শিক্ষকতার মেয়াদ সম্পূর্ণ হবে৷ ২০১৫ সালের ৩০ জুন আমার অবসর গ্রহণের তারিখ৷ ১৯৬৭ থেকে ১৯৭৩ সাল পর্যন্ত আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলাম৷ মেধাবী ছাত্র হিসেবে অর্থনীতি বিভাগের অনার্স কোর্সে ভর্তি হতে আমার ভর্তি পরীক্ষাও দিতে হয়নি৷ বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের ওই যুগসন্ধিক্ষণে ছাত্রলীগের মাঠপর্যায়ের একজন সক্রিয় কর্মী হিসেবে ১৯৬৭-৭১ পর্বের ঢাকার সব আন্দোলন-সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেছি৷ ‘স্বাধীনতা নিউক্লিয়াসের’ সদস্য হওয়ার সৌভাগ্যও হয়েছে৷ ১৯৬৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে রেখেছিল আইয়ুব-মোনেমের এনএসএফের মাসলম্যানরা৷ তদানীন্তন জিন্নাহ হলে (বর্তমান সূর্য সেন হল) কয়েকজন মাসলম্যানের ডাবল কাপ খাওয়ার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ আন্দোলন গড়ে তোলার কারণে ১৯৬৮ সালে তাদের নির্যাতনের শিকারও হয়েছিলাম৷ ১৯৬৯ সালের গণ-অভ্যুত্থানে আইয়ুব খান উৎখাত হওয়ার পর তারা আবার আমার কাছে ক্ষমাও চেয়েছিল৷ ১৯৬৯-৭১ মার্চ পর্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ ছিল সবচেয়ে সন্ত্রাসমুক্ত ও পরমতসহিষ্ণু৷ সংগ্রামমুখর ওই বছরগুলোতেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হিসেবে জীবনটা দারুণভাবে উপভোগ করেছি আমি৷
স্বাধীন বাংলাদেশে ছাত্রলীগের বিভক্তির পথ ধরে আবারও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সন্ত্রাস ফিরে এসেছিল ১৯৭২ সালেই, তারপর ক্রমেই তা বাড়তে বাড়তে ডাকসুর ব্যালট ছিনতাই ও সাত খুনের ঘটনা পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছিল৷ ১৯৭২ সালে ওই রকম এক সন্ত্রাসী আক্রমণের সময় হলের ছাদের পানির ট্যাংকের তলায় লুকিয়ে ছিলাম কয়েকজন৷ ১৯৭৩ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়ার পর সক্রিয়ভাবে কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়াটা আমার কাছে অনৈতিক মনে হয়েছে৷ ব্যাপারটাকে এখনো আমি অনৈতিক মনে করি৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নানা নির্বাচনে আমি বহুবার অংশগ্রহণ করেছি, নির্বাচিত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় সব পর্ষদে দায়িত্ব পালন করেছি৷ দেশের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সেক্রেটারি জেনারেল হিসেবে সারা দেশের শিক্ষকদের আন্দোলন-সংগ্রামে নেতৃত্ব দেওয়ার সৌভাগ্যও আমার হয়েছে৷ তা সত্ত্বেও সরাসরি রাজনৈতিক দলে সম্পৃক্ত হওয়ার বিরুদ্ধে আমার অবস্থান এতটুকুও বদলায়নি; যদিও বিশ্ববিদ্যালয় আইনে শিক্ষকদের রাজনৈতিক দল করার অধিকার দেওয়া হয়েছে৷ ১৯৮১ সালে দেশে ফেরার পর আমি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়কে আমার চোখের সামনে ইসলামী ছাত্রশিবিরের সন্ত্রাসী ক্যাডারদের অভয়ারণ্যে পরিণত হতে দেখেছি৷ ৩৪ বছর ধরে এই ক্যাম্পাস ছাত্রসংগঠনগুলোর খুনোখুনি, মারামারি ও সন্ত্রাসের লীলাভূমি হিসেবে অপব্যবহৃত হয়ে চলেছে৷ অবস্থানগত কারণে অতি সহজেই বিশ্ববিদ্যালয়টিকে অচল করে দেওয়া যায়৷ ১৯৬৯ সালের গণ-অভ্যুত্থান এবং ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের ব্যাচটিই প্রথম সেশন-বিলম্বের শিকার হয়েছিল দেড় বছরের৷ যৌক্তিক কারণেই তা মেনে নিতে হয়েছিল সবাইকে৷ কিন্তু ১৯৭৩ সাল থেকে রাজনৈতিক হানাহানি ও সংঘাতের প্রধান যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হওয়ার কারণে দফায় দফায় অচলাবস্থা ও অনির্দিষ্ট বন্ধের করালগ্রাসে নিপতিত হয়ে নব্বই দশকের মাঝামাঝি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় সেশন-বিলম্ব বাড়তে বাড়তে সাড়ে তিন বছরে পৌঁছে গিয়েছিল৷ আমার ছেলে মুনতাসীর মইন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিষয়ের অনার্স কোর্স যখন চার বছরের জায়গায় সাত বছরে শেষ করেছিল, তখন অভিভাবক হিসেবে তীব্র মর্মবেদনা আমাকে চরমভাবে আহত করেছিল৷ তারপর অনেক সংস্কার এবং শিক্ষকদের নিষ্ঠাবান প্রয়াসের ফলে গত দুই দশকে ওই সেশন-বিলম্বকে আমরা দেড় বছরে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি৷ কিন্তু সংঘাত-হানাহানি কমানোর কোনো প্রতিষেধক স্বাধীনতা অর্জনের ৪৩ বছর পরও আমরা আজও বের করতে পারলাম না৷ এ দুঃখ কোথায় রাখি! দেশব্যাপী চলমান রাজনৈতিক সংঘাত ও খুনোখুনি আমার আজকের আলোচনার বিষয় নয়৷ আমি আজ ফরিয়াদ জানাচ্ছি দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে রাজনৈতিক দলের পেটোয়া ক্যাডার পোষা ও অপব্যবহারের ‘রাজনৈতিক সংস্কৃতিটা’ চিরতরে পরিত্যাগের জন্য৷
দেশের স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিবাদী অপশক্তি জামায়াতে ইসলামী তাদের ছাত্রসংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরের ক্যাডারদের কীভাবে একটা পুরোদস্তুর ‘সিভিল আর্মি’ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য দেশের উচ্চশিক্ষার, উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষার, এমনকি মাধ্যমিক স্কুলের ক্যাম্পাসগুলোকে ট্রেনিং গ্রাউন্ড হিসেবে ব্যবহার করে চলেছে, তা ৩৪ বছর ধরে দেখার দুর্ভাগ্য আমার হয়েছে৷ তারা যে একদিন রাষ্ট্রশক্তিকে চ্যালেঞ্জ জানাবে, সে সাবধানবাণীও সবার আগে আমিই উচ্চারণ করেছি এবং এখনো বারবার জাতিকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি৷ ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর রায় বেরোনোর পর থেকে শুরু হওয়া জামায়াত-শিবিরের সশস্ত্র তাণ্ডব ও তাদের কথিত গৃহযুদ্ধের এক বছরের লোমহর্ষক স্মৃতি জাতি নিশ্চয়ই এত তাড়াতাড়ি ভুলে যায়নি৷ তারা এখন নীরবে আবারও শক্তি সঞ্চয় করছে আরেকটি মারণাঘাত হানার জন্য, এ ব্যাপারেও আমি নিঃসন্দেহ৷ কিন্তু তার পরও বলব ছাত্রলীগের মাস্তান-ক্যাডার দিয়ে জামায়াত-শিবিরকে মোকাবিলা করার চিন্তা একটি ভুল কৌশল৷ মানবতাবিরোধী অপরাধীদের চলমান বিচারকার্যক্রম বিলম্বিত করার বিষয়টাও গ্রহণযোগ্য হতে পারে না৷ জামায়াত-শিবিরের মতো একটি স্বাধীনতাবিরোধী সন্ত্রাসবাদী দল ও সংগঠনের বাংলাদেশে রাজনীতি করার অধিকার থাকতে পারে না৷ জামায়াত-শিবিরকে নিয়ে কোনো গোপন চাণক্যনীতি কখনোই গ্রহণযোগ্য হবে না৷ এই অপশক্তিকে নিষিদ্ধ করতে কালক্ষেপণও একটা ভ্রান্ত কৌশল বলে আমার ধারণা৷ এই গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় ইস্যুগুলো নিয়ে পরে আলোচনা করা যাবে৷ আজ আমি শুধু দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের গোল্লায় যাওয়ার প্রক্রিয়াটি থামানোর আরজি জানাতে চাচ্ছি৷ দেশের আনাচকানাচে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মহাযজ্ঞ সোৎসাহে এগিয়ে চলেছে শিক্ষার বাজারীকরণের ঝান্ডা উড়িয়ে৷ সেগুলোতে চার বছরের ডিগ্রি চার বছরেই ক্রয়-বিক্রয়ের ব্যবস্থা চালু থাকবে আর পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ছাত্রসংগঠনগুলোর মাস্তান-ক্যাডারদের যুদ্ধক্ষেত্র হিসেবে ধঁুকে ধুঁকে মরণাপন্ন দশায় উপনীত হবে, এটার বিরুদ্ধেই আমার প্রতিবাদ৷ দেশের ধনাঢ্য মা-বাবার সন্তানদের উচ্চশিক্ষার জন্য বাজার নিশ্চয়ই ভালো আয়োজনের পসরা সাজাবে৷ ওই ব্যাপারে আমার কোনো মাথাব্যথা নেই৷ অজস্র প্রস্তাব পেয়েও আমি কোনো প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো দিন পড়াইনি, শিক্ষার এহেন বাণিজ্যিকীকরণ মেনে নিতে পারিনি বলে৷ শিক্ষাকে বাজারের পণ্য করে তা নিয়ে যে মুনাফাবাজির লোভনীয় মাতামাতি প্রত্যক্ষ করে চলেছি, সেটা আমার বিবেককে সারাক্ষণই আহত করে চলেছে৷ আমার একটাই আরজি, ছাত্ররাজনীতিকে মূল রাজনৈতিক দলের লেজুড়বৃত্তির নিগড় থেকে নিষ্কৃতি দিন৷ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে লাঠিয়াল পালনের ক্ষেত্র হিসেবে ব্যবহারের অপসংস্কৃতি লালনে এবার ক্ষান্ত দিন৷
মইনুল ইসলাম: অধ্যাপক, অর্থনীতি বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও সাবেক সভাপতি, বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি৷

No comments

Powered by Blogger.