বিজেপি নেতার মামলায় কারাগারে কেজরিওয়াল

অরবিন্দ কেজরিওয়াল
ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নেতা নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার এক দিন পর গতকাল বুধবার আম আদমি পার্টির (এএপি) প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷ বিজেপি নেতা নিতিন গড়কারির দায়ের করা মানহানির মামলায় গতকালই তাঁকে তিহার কারাগারে পাঠানো হয়েছে৷ ওই মামলায় তিনি জামিনের আবেদন করতে অস্বীকৃতি জানালে আদালত তাঁকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন৷ কাল শুক্রবার পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত তাঁকে তিহার কারাগারে কাটাতে হতে পারে৷ খবর এনডিটিভির, হিন্দুস্তান টাইমসের৷ এর আগে গতকাল কেজরিওয়াল দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে তাড়াহুড়ো করে পদত্যাগ করায় দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চান৷ সেই সঙ্গে তিনি এই রাজ্যে অাগামী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার কথা জানান৷ গত ডিসেম্বরে দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনে ব্যাপক সাফল্যের পর আলোচনায় আসেন কেজরিওয়াল এবং এএপি৷ সম্প্রতি অনুষ্ঠিত লোকসভা নির্বাচনে তিনি নরেন্দ্র মোদির বিপক্ষে উত্তর প্রদেশের বারানসিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে যান৷ গ্রেপ্তারের আগে কেজরিওয়াল আদালতে বলেছিলেন, নিতিনের মামলা রাজনৈতিক বিবেচনায় হওয়ায় তিনি এতে জামিনের আবেদন করবেন না৷ জামিনের জন্য ১০ হাজার রুপিও জামানত দেবেন না৷
আদালত কেজরিওয়ালের কাছে জানতে চান, একটি দলের প্রধান হিসেবে তিনি আদালতের কাছে বিশেষ কোনো সুবিধা আশা করেন কি না৷ জবাবে তিনি বলেন, ‘নীতিগতভাবে আমি জামিনের জন্য কোনো জামানত দেব না৷’ এ সময় আদালত বলেন, ‘আপনি এএপির মতো একটি দলকে প্রতিনিধিত্ব করছেন৷ আমরা আপনার থেকে একজন আম আদমির (সাধারণ জনতা) মতো আচরণ আশা করি৷ অন্যদের জন্য যেভাবে হয়, আপনি বিচারপ্রক্রিয়া সেভাবে চলতে দিন৷ আপনার কি জামানত দিতে সমস্যা আছে?’ জবাবে কেজরিওয়াল বলেন, ‘আমি দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়ছি৷ এটি একটি রাজনৈতিক মামলা৷ আমি কোনো অপরাধ করিনি যে জামানত দেব৷ আমি কারাগারে যেতে প্রস্তুত৷’ লোকসভা নির্বাচনের প্রচারণাকালে কেজরিওয়াল বিজেপির সাবেক সভাপতি গড়কারিকে একজন ‘দুর্নীতিবাজ’ বলে অভিযোগ তোলেন৷ ওই মামলায় এর আগে তাঁকে আদালত তলব করেছিলেন৷ এর আগে গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে কেজরিওয়াল বলেন, ‘পদত্যাগ করায় অনেকেই আমাদের ওপর ক্ষুব্ধ হয়েছেন৷ তাঁরা আমাদের ক্ষমতায় দেখতে চেয়েছিলেন৷ এ ভুলের জন্য আমি গোটা জাতির কাছে ক্ষমা চাইছি৷’ কংগ্রেসের সমর্থন নিয়ে এখানে আবার এএপির সরকার গঠনের সম্ভাবনা খুব ক্ষীণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘দিল্লিতে সরকার গঠনের কোনো সুযোগ না থাকায় আমরা নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠানের পথে এগোব৷ জনগণের মনোভাব যাচাইয়ে অামরা দিল্লিজুড়ে ঘুরে বেড়াব৷’

No comments

Powered by Blogger.