বিএনপি না এলে নির্বাচনে যাবো না, বললেন এরশাদ

`বিএনপি নির্বাচনে না এলে জাতীয় পার্টি ও আওয়ামী লীগ আলাদাভাবে নির্বাচন করবে` মর্মে রোববার রাতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের দেওয়া বক্তব্যকে `ভিত্তিহীন ও অসত্য` বলে উড়িয়ে দিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।
বিএনপি না এলে নির্বাচনে যাবো না, বললেন এরশাদ
এ প্রসঙ্গে এরশাদ স্পষ্ট বলে দিয়েছেন, বিএনপি নির্বাচনে না গেল জাপাও নির্বাচনে যাবে না।

এরশাদ বলেন, কাউকে ক্ষমতায় বসানোর জন্য জাতীয় পার্টি নির্বাচন করবে না।

এরশাদ বলেন, সব দলের অংশগ্রহণ ছাড়া গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে না। আর বিএনপি যদি নির্বাচনে না আসে তাহলে জাতীয় ‍পার্টিও নির্বাচনে যাবে না।

সোমবার বনানীতে নিজ রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।

প্রসঙ্গত, রোববার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকের পর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম রাতে জাতীয় পার্টির মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদারকে নিয়ে এক যৌথ প্রেস ব্রিফিং করেন। সেখানে তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, বিএনপি নির্বাচনে না এলেও জাতীয় পার্টি ও আওয়ামী লীগ আলাদাভাবে নির্বাচন করবে।
সে সময় জাপা মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার এ ব্যাপারে কোনো দ্বিমত করেন নি। অথচ সোমবার সংবাদ সম্মেলনে এরশাদ ও তার দল পুরো বিপরীত অবস্থান গ্রহণ করলো।

সাংবাদিকরা এ ব্যাপারে এরশাদকে প্রশ্ন করেন। তখন  এরশাদ বলেন, এমন কোনো কথাই হয়নি। সৈয়দ আশরাফের বক্তব্য `ভিত্তিহীন ও অসত্য` বলেও দাবি করেন তিনি।

এরশাদ বলেন, একটি কথা আমি বারবার বলেছি, নিজের সত্তায় জাতীয় পার্টি নির্বাচন করবে। কাউকে ক্ষমতায় বসানোর জন্য নয়।

প্রধানমন্ত্রীর সব দলের সঙ্গে আলোচনার আহ্বানের পরিপ্রেক্ষিতেই তিনি রোববার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে গিয়েছিলেন বলেও জানান এরশাদ।
তিনি বলেন, আলোচনাটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তিনি বিএনপিসহ অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গেও বৈঠক করবেন।

সংবাদ সম্মেলনে জাপা চেয়ারম্যান এরশাদ আরও বলেন, `গতরাতে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম গণমাধ্যমের কাছে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা শুনে আমি স্তম্ভিত!`

মহাজোটে থাকবো কি থাকবো না, এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমাদের কোনো কথা হয়নি। আমি গত সাড়ে চার বছর ধরে বলছি, জাতীয় পার্টি এককভাবে এ নির্বাচনে অংশ নেবে।

তিনি বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম যে, আপনি যে সর্বদলীয় সরকারের রূপরেখা দিয়েছেন, তার প্রধান কে হবেন? তিনি বলেছেন, তিনিই থাকবেন।

আমি জানতে চেয়েছি, মন্ত্রীসভায় কতজন থাকবেন? তিনি বলেছেন, আলোচনা করে ঠিক করা যাবে।

আমি বলেছি, সভা-সমাবেশে যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন, এটা গণতন্ত্রের প্রতি আঘাত। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আমি ইনডোর সভা সেমিনার থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছি। কিন্তু নাশকতার আশঙ্কায় আউটডোরে নিষেধাজ্ঞা থাকবে।

এরশাদ বলেন, আগামী নির্বাচন কবে হবে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এ বিষয়েও আলোচনা করেছি। এত ভালো পরিবেশে আলোচনার পরেও সৈয়দ আশরাফের মিথ্যা বক্তব্য আমাদের দল ও উনাদের দল, আমাদের জাতিকে ছোট করেছে। এ বক্তব্য শুনে আমি স্তম্ভিত।

No comments

Powered by Blogger.