ইন্দোনেশিয়ায় সতীত্ব পরীক্ষা নিয়ে বিতর্ক

ইন্দোনেশিয়ায় উচ্চ বিদ্যালয়ের মেয়ে শিক্ষার্থীদের কুমারিত্ব পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করে নতুন একটি আইনের খসড়া প্রস্তাব করে তোপের মুখে পড়েছে শিক্ষামন্ত্রী মুহাম্মদ রশিদ।
এ ধরনের সতীত্ব পরীক্ষার মাধ্যমে নারীদের প্রতি বৈষম্য সৃষ্টি এবং স্পষ্ট ভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ আনা হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী রশিদ কুমারিত্ব পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করার প্রস্তাব করার পর মানবাধিকার কর্মীরা তার বিরুদ্ধে নারীর বিরুদ্ধে যৌন সহিংসতা বৃদ্ধি করতে উদ্বুদ্ধ করার অভিযোগ এনেছেন। এ পরিকল্পনা প্রস্তাব দেয়ার পর পতিতাবৃত্তির অভিযোগে উচ্চ বিদ্যালয়ের ছয় শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে গার্ডিয়ান এক রিপোর্টে জানিয়েছে। উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষাগ্রহণে আগ্রহী ১৬ থেকে ১৯ বছরের শিক্ষার্থীদেরকে প্রতি বছর সতীত্বের পরীক্ষা দেয়ার প্রস্তাব রাখা হয়েছে। স্নাতক পর্যায়ে যাওয়ার পূর্ব পর্যন্ত তাদেরকে প্রতি বছরই এ পরীক্ষা দিতে হবে। শিক্ষামন্ত্রী মনে করেন কেবল এ পদ্ধতি অনুসরণের মাধ্যমেই মেয়েদেরকে পতিতাবৃত্তি বা উন্মুক্ত যৌনতা থেকে রক্ষা করা সম্ভব হবে। এদিকে তার এ প্রস্তাবকে ঘিরে স্থানীয় এবং জাতীয় পর্যায়ের এমপি মানবাধিকার কর্মী এমনকি স্থানীয় ইসলামিক উপদেষ্টা কাউন্সিলেও সমালোচনার ঝড় উঠেছে। এরা সবাই শিক্ষামন্ত্রীর পরিকল্পনাকে নারীদের শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত করার উপায় হিসেবে উল্লেখ করে সেটা প্রত্যাখ্যান করেছেন।

No comments

Powered by Blogger.