ব্লগ! ব্লগ!! ব্লগ!!! ব্লগ নিয়ে চলছে তুমুল আলোচনা

গত দেড় মাস ধরে ব্লগ নিয়ে চলছে তুমুল আলোচনা। ভার্চুয়াল জগতের অন্যতম মাধ্যম এই ব্লগ বিষয়টি অনেকের কাছে পরিচিত নয়। যেমনটা পরিচিত ফেসবুক বা ই-মেইল। কিন্তু এই ব্লগই এখন আলোচনা কেন্দ্রে। আলোচনায় ব্লগাররাও। ব্লগ মুক্ত চিন্তার প্ল্যাটফর্ম।
কিন্তু ব্লগ এবং ব্লগার নিয়ে আলোচনার পুরোটাই নেতিবাচক। এর কারণ কতিপয় ব্লগারের ধর্মানুভূতিতে আঘাত দিয়ে আপত্তিকর লেখালেখি। এর প্রতিবাদে দেশ এখন প্রতিবাদমুখর। ধর্মপ্রাণ সাধারণ মানুষ সংগঠিত হয়েছেন হেফাজতে ইসলামের ব্যানারে। আগামী ৬ই এপ্রিল তাদের ঢাকামুখী লংমার্চ। এই লংমার্চ হচ্ছে সরকারের কাছে ১৩ দফা দাবি জানিয়ে। একপক্ষে হেফাজত ও অন্যপক্ষে সরকার। হেফাজত অনড় লংমার্চ করতে। সরকার গলদঘর্ম এই লংমার্চ স্থগিত করতে। হেফাজতের দাবি অনুযায়ী কয়েকজন ব্লগারকে গ্রেপ্তার করেছে সরকার। কঠোর আইন করার কথা বলা হচ্ছে ধর্মানুভূতিতে আঘাত দেয়ার বিরুদ্ধে। এর পাল্টা প্রতিক্রিয়া হয়েছে সাধারণ ব্লগার ও অনলাইন এক্টিভিস্টদের মধ্যে। প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। এতে বলা হয়েছে ব্লগারের গ্রেপ্তার মত প্রকাশের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের শামিল। পাল্টাপাল্টি ও একের পর এক কর্মসূচির কারণে রাজধানী থেকে শত কিলোমিটার দূরে নির্জন পল্লীর নিরক্ষর মানুষও আজ কথা বলছেন ব্লগ ও ব্লগারদের নিয়ে। ১৫ই ফেব্রুয়ারি রাতে একটি নির্মম হত্যাকাণ্ড হঠাৎ করেই আলোচনায় নিয়ে আসে ব্লগকে। ওই রাতে খুন করা হয় ব্লগার রাজীব ওরফে থাবা বাবাকে। তিনি ছিলেন শাহবাগ আন্দোলনের একজন সক্রিয় কর্মী। তার হত্যার প্রতিবাদে ফুঁসে ওঠে জাগরণ মঞ্চ। জাতীয় বীরের মর্যাদা দেয়া হয় তাকে। কিন্তু এরই মধ্যে দু’টি জাতীয় দৈনিক ব্লগার রাজীবের ইসলাম বিরোধী কর্মকাণ্ড তুলে ধরে। বেশ কয়েকজন ব্লগারের ইসলাম, আল্লাহ এবং রাসুল (সা.) বিরোধী লেখা প্রকাশ পায় একের পর এক। এর প্রতিবাদে ও সংশ্লিষ্ট ব্লগারদের গ্রেপ্তারের দাবিতে সোচ্চার হন ধর্মপ্রাণ মানুষ। কর্মসূচি ঘোষণা করে চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদরাসার প্রধান আল্লামা শাহ আহমদ শফির সংগঠন হেফাজতে ইসলাম। এই হেফাজত এখন টক অব দ্য কান্ট্রি। সংগঠনটির নেতৃত্বে ইসলামপন্থি দলগুলো তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলে নাস্তিক দাবিদার ব্লগারদের বিরুদ্ধে। বাংলাদেশে ব্লগ বিষয়টি সামপ্রতিক। বিশ্বের ইতিহাসেও ব্লগ তেমন পুরনো নয়। ১৯৯৭ সালে পিটার মেরহোলজ সর্বপ্রথম ব্লগ শব্দটি ব্যবহার করেন। আর ব্লগ ব্যাপারটি জনপ্রিয় হতে শুরু করে ১৯৯৯ সাল থেকে। উইকিপিডিয়া বলছে, ব্লগ মানে ব্যক্তিগত দিনলিপি বা ব্যক্তিকেন্দ্রিক পত্রিকা। যিনি ব্লগে লেখেন তাকে বলা হয় ব্লগার। সামপ্রতিককালে ব্লগ ফ্রিল্যান্স সাংবাদিকতারও একটি মাধ্যম হয়ে উঠেছে। বিভিন্ন সূত্রের তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে এ পর্যন্ত সক্রিয় ব্লগার আছেন সোয়া দুই লাখ। আর সক্রিয় ব্লগ আছে চার শতাধিক। তবে সরকারি নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বিটিআরসি’র হিসাব অনুযায়ী দেশে সক্রিয় ব্লগের সংখ্যা ৪৮টি।
আসিফসহ চার ব্লগারের ব্লগ নিষিদ্ধ: ব্লগার আসিফ মহিউদ্দিনসহ চার ব্লগারের সব ব্লগ নিষিদ্ধ করেছে সরকার। এ বিষয়ে এরই মধ্যে বিভিন্ন ব্লগ সাইটের কাছে ই-মেইলে নির্দেশনা পাঠিয়েছে বিটিআরসি। তাদের ব্লগে রাষ্ট্র বিরোধিতা ও ধর্ম বিরোধিতা রয়েছে বলে তাতে জানানো হয়েছে। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) এরই মধ্যে ব্লগ সাইটগুলোর মালিকদের আসিফ মহিউদ্দিনের বেশ কিছু ব্লগ নিষিদ্ধ করতে বলা হয়েছে। এ ব্লগগুলো রাষ্ট্রবিরোধী ও ধর্ম বিরোধী। সামহোয়ার ইন ব্লগ-এর প্রতিষ্ঠাতা সৈয়দা গুলশান ফেরদৌস জানান, আমরা বিটিআরসি থেকে একটি অফিসিয়াল ই-মেইল পাই। সামহোয়ার ইন ব্লগের সাত বছরের ইতিহাসে কোন ব্লগ বন্ধ করার এটাই প্রথম কোন সরকারি আনুষ্ঠানিক নির্দেশনা। ওই ই-মেইলে চার জন ব্লগারের নাম রয়েছে। আসিফ মহিউদ্দিনসহ ওই চার ব্লগারের সব ব্লগ অবিলম্বে স্থায়ীভাবে মুছে ফেলতে বলা হয়েছে।

যেসব ব্লগার কালো তালিকায়: বিভিন্ন নামে যেসব ব্লগার ইসলামের বিরুদ্ধে অপ্রচার চালাচ্ছেন তাদেরকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে সরকার। বিটিআরসি ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদের বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছে। কালো তালিকায় আছেন, আরিফুর রহমান, মনির হাসান, বৃত্তবন্ধি, সবাক, শয়তান, মনজুরুল হক, কখগ, রাসেল, নাস্তিকের ধর্মকথা, দূরের পাখি, আরিফুল হক তুহিন, তিতি আনা, নাজিম উদ্দিন, আলমগীর কুমকুম, ফরহাদ উদ্দীন স্বপন, দস্যুবনহুর, ফারহানা আহমেদ, ঘনাদা, রাহান, অন্য কেউ, পাপী০০৭, হোরাস, প্রশ্নোত্তর, ভাল মানুষ, ভণ্ডপীর, বৈকুন্ঠ, সত্যান্বেষী, পড়ুয়া, হাল্ক (সানাউল) বিপ্লব০০৭, রাস্তার ছেলে, ঘাতক, বিশাল বিডি, সাহোশি৬, লাইটহাউজ, মমতা জাহান, রাতমজুর, কৌশিক, মেঘদুত, স্বপ্নকথক, প্রায়পাস, আহমেদ মোস্তফা কামাল, লুকার, নুহান, সোজাকথা, ট্রানজিস্টার, দিওয়ান, রিসাত, আমি এবং আঁধার, অরণ্যদেব, কেল্টুদা, আমি রোধের ছেলে, ভিন্নচিন্তা, আউটসাইডার ও প্রণব আচার‌্যা। অন্য একটি কপিতে ইসলাম বিদ্বেষী, স্বঘোষিত কুখ্যাত নাস্তিক যারা  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ লেখক, আদালত অবমাননাকারীদের তালিকায় নাম দেয়া হয়েছে- আসিফ মহিউদ্দিন, আবুল কাশেম, আলমগীর হোসেন, অন্য আজাদ, অনন্ত বিজয় দাস, আশীষ চ্যাটারজি, অভিজিৎ রায়, বিপ্লব কান্তিদে, দাঁড়িপাল্লা ধমা ধম (নিতাই ভট্টাচার্য, ইব্রাহীম খলিল সবাগ, (সুমন সওদাগর) কৈশিক, আহমেদ, নুরনবী দুলাল, পারভেজ আলম, রাজিব হায়দার শোভন (থাবাবাবা), রতন (সন্যাসী), সৈকত চৌধুরী, শর্মী আমিন, সৌমিত্র মজুমদার (সৌম্য), আল্লামা শয়তান (বিপ্লব), শুভজিদ ভৌমিক, সুমিত চৌধুরী, সৈকত বড়ুয়া, সুব্রত শুভ ও সুসান্তদাস গুপ্ত।
ব্লগার আসিফ গ্রেপ্তার: ধর্ম নিয়ে কুৎসা রটনাকারী তিন ব্লগার গ্রেপ্তারের পর এবার আরেক ব্লগার আসিফ মহীউদ্দীনকে গ্রেপ্তার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। গতকাল সকাল ১০টায় রাজধানীর সেগুনবাগিচাস্থ বোনের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তাকে। মিন্টু রোডস্থ গোয়েন্দা কার্যালয়ে প্রায় দু’ঘণ্টা আটক রাখার পর তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। গোয়েন্দারা জানান, আইসিটি অ্যাক্ট (তথ্য, যোগাযোগ ও প্রযুক্তি) ২০০৬-এর ধারা মোতাবেক আসিফ মহীউদ্দীনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে রাষ্ট্রে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা করেছেন। এর নেপথ্যে কারা ও কি উদ্দেশ্যে ইসলাম ও মহানবী (সা.) নিয়ে কটূক্তি করেছেন তা জানার জন্য জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এছাড়া আরও বেশ কয়েকজন ব্লগারকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে। যথাসময়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হতে পারে। আসিফের বড় বোন মেহেরুননেছা ইডেন মহিলা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে আহত হওয়ার পর থেকেই আসিফ সেগুনবাগিচায় তার ছোট বোন জুয়েলা জেবুন্নেসার বাড়িতে থাকতো। গতকাল ভোর থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত ওই বাড়িতে গোয়েন্দা পুলিশ ৩ বার হানা দেয়। এক পর্যায়ে তাকে মিন্টু রোডস্থ গোয়েন্দা কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই সময় তার সঙ্গে তার বড় বোন জুয়েলা জেবুন্নেসাও ছিলেন। এর আগে ১৪ই জানুয়ারি রাতে রাজধানীর উত্তরায় ব্লগার আসিফের ওপর হামলা করে দুষ্কৃতকারীরা। এ হামলায় জড়িত সন্দেহে ৩১শে মার্চ গোয়েন্দা পুলিশ রাজধানীর শেওড়াপাড়া, যাত্রাবাড়ী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা থেকে ৪ যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়। এরা হচ্ছে সাদ আল নাহিন (২৪), কাউসার (২৬), ছোট কামাল (২৩) ও ব্যাংকের সিকিউরিটি গার্ড কামাল (২৮) এদিকে ইসলাম ও হিন্দু ধর্মের প্রবর্তকদের নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগে গ্রেপ্তারকৃত ৩ ব্লগার মশিউর রহমান বিপ্লব (আল্লামা শয়তান) (৪২), রাসেল পারভেজ (অপবাক) (৩৬) ও সুব্রত অধিকারী শুভ (লালু কসাই)-কে ৭ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। গোয়েন্দা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তারা নিজেদের প্রকৃতিবাদী হিসাবে দাবি করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ স্বীকার করে বলেছেন, মুক্ত চিন্তা ও বাক স্বাধীনতার বিশ্বাস থেকেই বিভিন্ন ব্লগে ইসলাম ধর্মের নানা ‘অসঙ্গতি’ তুলে ধরেছেন। এতে কোন অপরাধ হতে পারে বলে জানা ছিল না। গোয়েন্দা পুলিশের ডিসি (পশ্চিম) মোল্লা নজরুল ইসলাম বলেন, বিভিন্ন ধর্ম ও ধর্মের প্রবর্তকদের নিয়ে কুৎসা রটনার উদ্দেশ্য জানতেই গ্রেপ্তার ৪ ব্লগারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মুক্ত চিন্তার নামে অন্য ধর্মের প্রতি আঘাত করার বিধান নেই। পশ্চিমা বিশ্বের মতো উন্নত দেশেও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতকারী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের নজির আছে। আইসিটি অ্যাক্টের ৫৭ ধারা অনুযায়ী যে কোন ধর্মের বিরুদ্ধে উস্কানিদাতাদের ১০ বছরের কারাদণ্ড ও এক কোটি টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রয়েছে।
গ্রেপ্তারের নেপথ্যে: ব্লগার আসিফ ইসলাম ধর্ম, আল্লাহ ও নবী-রাসুলদের বিশ্বাস করেন না। উল্টো নবী-রাসুলদের জীবনী নিয়ে নানা ধরনের বিতর্কিত মন্তব্য ইন্টারনেটে প্রকাশ করেছেন। নিজেকে নাস্তিক দাবি করে শাহবাগের প্রজন্ম চত্বর থেকে ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের দাবিতে অসংখ্য লেখা পোস্ট করেছেন ফেসবুকে। এতে হেফাজতে ইসলামের নেতৃবৃন্দ ক্ষুব্ধ তার ওপর। শুধু তিনি নন, তার মতো স্বঘোষিত আরও ৮৬ ব্লগারের গ্রেপ্তার দাবিতে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এমন পরিস্থিতিতে সরকারের চাপে গোয়েন্দা পুলিশ ‘নাস্তিক’ ব্লগারদের গ্রেপ্তার অভিযান পরিচালনা করছে। সূত্র জানায়, ২০১১ সালের সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলন চলাকালে সরকারের দু’টি গোয়েন্দা সংস্থা আসিফ মহীউদ্দীনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে। এক পর্যায়ে ডিবি পুলিশ তাকে আটক করে প্রায় ১৮ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে। সরকারের নানা নেতিবাচক সিদ্ধান্তের তিনি কড়া সমালোচনা করেছেন ফেসবুক ও ব্লগে। বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে বিষোদগার করেছেন। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি ফি বৃদ্ধির প্রথম প্রতিবাদ করেছেন ব্লগে। প্রতিবাদ করেছেন নারী ও শিশু ধর্ষণের বিরুদ্ধে। এক্ষেত্রে তিনি ইসলাম ধর্মের বিবাহ রীতি নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন বলে গোয়েন্দারা জানান। তেল-গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিবৃতি দিয়েছেন। উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যুদ্ধাপরাধের বিচারের ধীরগতি নিয়ে। মত দিয়েছেন ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করার পক্ষে। ২৮ বছর বয়সী আসিফ মহীউদ্দীন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করেছেন। ২০০৮ সালে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। পরে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে আইটি এক্সপার্ট হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সবশেষ উত্তরায় একটি ফার্মে গত আড়াই বছর ধরে চাকরি করছিলেন। তার পিতা-মাতা বেঁচে নেই। ৬ বোন ও তিন ভাইয়ের মধ্যে আসিফ সবার ছোট। বড় ভাই মাহতাব হোসেন সজল ২০১১ সালের ২৮শে মে থেকে নিখোঁজ। পিতা মকবুল আহমেদ এজি অফিসের সুপারিনটেনডেন্ট এবং মা গৃহিণী ছিলেন। গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালী হলেও সেখানে তার খুব একটা যাতায়াত নেই। স্থায়ী ঠিকানা হিসেবে ব্যবহার করেন ৩৯/৩, দক্ষিণ যাত্রাবাড়ী।

No comments

Powered by Blogger.