অভিমত- আল্লামা শফীকে অভিনন্দন by হাফেজ মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম

বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম রাষ্ট্র বাংলাদেশ। শতকরা ৯০ জন মুসলমানের এই দেশে ইসলাম ও মুসলমানেরা আজ মারাত্মক আক্রমণের শিকার। কিছু ধর্মবিদ্বেষী লোক বিদেশী শক্তির সহায়তায় এই ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।
তারা ইসলাম, মুসলমান, নবী করীম সা: এবং তাঁর সাহাবা রা: ও সহধর্মিণীদের মর্যাদার ওপর জঘন্য আক্রমণ চালিয়েছে। এদেরকে সর্বতোভাবে সহযোগিতা করছে ধর্মনিরপেক্ষ নামধারী ইসলামবিদ্বেষী সরকার। ওরা এক হয়ে দেশের ইসলামি ব্যক্তিত্বদের চরিত্র হনন এবং মিথ্যা অজুহাতে তাদের অনেককে নির্মূল করার প্রয়াসে লিপ্ত । দেশে যে কয়টা মিডিয়া ইসলাম ও ধর্মভীরু জনতার পক্ষে, সেগুলোকে আক্রোশ ও আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু বানানো হয়েছে। যেসব প্রতিষ্ঠানের সাথে ‘ইসলাম’ শব্দ যুক্ত, এমন সব প্রতিষ্ঠান বন্ধ করার পাঁয়তারা চলছে। এক কথায়, চরম ইসলামবৈরী এই চক্র এ দেশের মুসলিম পরিচিতি মুছে দিতে বদ্ধপরিকর। শাহবাগ আন্দোলনের মূল হোতাদের অনেকে স্বঘোষিত নাস্তিক। এদেরই একজন শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তি মারা গেলে তাকে শহীদের মর্যাদা দিতে সরকার কুণ্ঠা বোধ করেনি। এমন এক পরিস্থিতিতে দেশের তরুণসমাজ জীবন দিয়ে হলেও ইসলামকে রক্ষা করার জন্য প্রস্তুত। কিন্তু নেতৃত্বের অভাবে তেমন কোনো আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়তে পারছিল না তারা। এমন সময় মুসলিমসমাজের অভিভাবকের দায়িত্ব পালনে এগিয়ে এলেন হাটহাজারী মাদরাসার মহাপরিচালক আল্লামা আহমদ শফী। তিনি ইসলামবিরোধী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তার বলিষ্ঠ ও সাহসী সিদ্ধান্তের কারণে আলেমসমাজসহ জনতার মাঝে নবজাগরণ সৃষ্টি হয়েছে। সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে রাস্তায় নেমে এসেছে। ভবিষ্যতে তাঁরা যে কর্মসূচির ডাক দেবেন, আমরা তরুণেরা সে আহ্বানে সাড়া দিতে প্রস্তুত আছি। আলেমদের মাঝে ছোটখাটো যেসব মতভেদ আছে, সেগুলোকে সম্পূর্ণ উপেক্ষা করে আন্দোলনের জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ রাখা উচিত। আলেমদের ঐক্যকে ইসলামবিরোধীরা সহ্য করতে পারে না, তাই কুচক্রী মহল তাদের মাঝে ভাঙন সৃষ্টি করতে চক্রান্ত চালিয়ে যায়। এ দিকে অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবে।

হাফেজ মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম

ছাত্র, চাটখিল কামিল মাদরাসা, নোয়াখালী

No comments

Powered by Blogger.