খবর শুধু খবর নয় ।। প্রেসিডেন্ট পদে প্রাথী হওয়ার আগে ওবামাকে ধূমপান ছাড়তে হয় by নিয়ামত হোসেন

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রাথী হতে ওবামাকে পড়তে হয় বেশ ঝঞ্ঝাটের মধ্যে। নির্বাচনে জিতে প্রেসিডেন্ট হওয়া এটা পরের পর্যায়, কিন্তু ওবামার ঝঞ্ঝাট ছিল একেবারে প্রথম পর্যায়ে।
নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট প্রাথর্ী হবেন কিনা, এ ব্যাপারে সিদ্ধানত্ম গ্রহণের ৰেত্রে প্রয়োজন ছিল স্ত্রীর সম্মতি। তাঁর স্ত্রী তাঁকে শর্তাধীনে সমর্থন দিতে রাজি হয়েছিলেন বলে সম্প্রতি প্রকাশিত এক খবরে জানা যায়। ওবামার স্ত্রী শর্ত দিয়েছিলেন_ সমর্থন পেতে হলে ধূমপান ছাড়তে হবে, রবিবার পরিবারের লোকজনের সঙ্গে থাকতে হবে এবং বিদ্যালয়ের ছাত্রী তাঁর মেয়েদের শিৰক-অভিভাবকের যেসব বৈঠক হয় সেসব বৈঠকে বাবা হিসেবে তাকে যোগ দিতে হবে। ওবামা স্ত্রী মিশেলের শর্তগুলো মেনে নেন। তারপরই স্ত্রী তাঁর স্বামীকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দাঁড়ানোর ব্যাপারে সহযোগিতা করতে রাজি হন।
শর্তগুলো যে খুব কঠিন সে কথা কেউ বলবে না। মেয়ে দুটো স্কুলে পড়ছে। সে দেশের রীতি হিসেবে শিৰকদের সঙ্গে ছাত্রছাত্রীর অভিভাবকদের যেসব বৈঠক হয় সেগুলোতে বাবা উপস্থিত থাকবেন না, রবিবার ছুটির দিনটিতে বাড়ির কর্তা স্ত্রী-কন্যার সঙ্গে একবেলা খাবারও খাবেন না, আর দিনের পর দিন সিগারেট টেনে যাবেন_ এটা কেমন করে হয়? দুনিয়ার কোন দেশের কোন স্ত্রী এ ধরনের কারবার মেনে নেবেন? কেউ মানবেন না। তাই নিঃসন্দেহে বলা যায়, মিশেল সঠিক কাজটাই করেছিলেন। হয়ত অনেকদিন ধরে এসব ব্যাপারে তিনি সন্তুষ্ট ছিলেন না, চান্স পাননি। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রাথর্ী হতে যেই সমর্থনের প্রয়োজন হলো ঠিক তখন সুযোগ বুঝে অঙ্গীকার আদায় করে নিলেন। সুযোগের সদ্ব্যবহার একেই বলে। আর প্রেসিডেন্ট ওবামা শর্তগুলোয় রাজি হয়ে বুদ্ধিমত্তারই পরিচয় দিয়েছেন। বিশেষ করে এর ভেতর দিয়ে একটা বাজে অভ্যাস_ ধূমপান যে ছাড়তে পেরেছেন সেটা তাঁর বিরাট লাভ।

থুতু ফেলা নিষেধ!
চীনের এক শহরের আবাসিক এলাকার বাসিন্দাদের জন্য কিছু বিধান তৈরি হতে যাচ্ছে। বলা হয়েছে, এসব বিধান মেনে চলতে হবে, না মানলে ঐ এলাকা থেকে বের করে দেয়া হবে।
প্রকাশিত এক খবর থেকে জানা যায়, গুয়াংকু নামক শহরের সরকারী আবাসিক এলাকার বাসিন্দাদের জন্য যে কয়েকটি নিয়মবিধির প্রসত্মাব করা হয়েছে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে_ ঐ আবাসিক এলাকায় যেখানে-সেখানে থুতু ফেলা যাবে না। যেখানে-সেখানে গাড়ি পার্কিং করা যাবে না, দেয়াল বা বেড়ায় শুকানোর জন্য ভিজে কাপড় মেলে দেয়া যাবে না ইত্যাদি। জানা গেছে, এগুলো কেউ করলে তা অপরাধ বলে বিবেচিত হবে। প্রতিটি অপরাধের জন্য পয়েন্ট ধরা হয়েছে, দু'বছর পর্যনত্ম দেখা হবে। যদি দেখা যায়, এই সময়ে কুড়ি পয়েন্ট পেরিয়ে গেছে তাহলে সেই বাসিন্দাকে এলাকা থেকে বের করে দেয়া হবে।
এসব নিয়মবিধি যে খুব ভাল তা বলার অপেৰা রাখে না এবং ঐ শহরের সংশিস্নষ্ট কর্তৃপৰ যে বাধ্য হয়েই এমন সব বিধান রাখার প্রসত্মাব করেছে সেটাও বলার অপেৰা রাখে না। তাই এই নিয়মবিধির ব্যাপারে আমাদের কোন মনত্মব্য নেই। শুধুই আছে একটা আফসোস_আহারে, এই থুতু ফেলা কাশি ফেলা থেকে শুরম্ন করে ঐ ধরনের সব বিধিনিষেধ নিয়মকানুন চালু করা এবং সেগুলো মানা হচ্ছে কিনা তা কঠোরভাবে তদারকির ব্যবস্থা করা হচ্ছে না কেন?

ছাগলের সৌজন্যবোধ!
ছাগলেরও যে বুদ্ধি আছে সম্প্রতি বিদেশী এক খবরে সে কথা জানা গেল। ব্রিটেনের নটিংহ্যামশায়ারের এক খামারের একটি ছাগল যথেষ্ট বুদ্ধিমত্তার অধিকারী বলে জানা গেল। ঐ ছাগলটিকে উদ্দেশ করে কেউ হাত নাড়লে ছাগলটিও তার জবাবে পা নাড়ায়। একেই বলে ভদ্রতাবোধ। ব্রিটিশ জাতির ভদ্রতাবোধ জগদ্বিখ্যাত। তাদের সৌজন্যের তুলনা হয় না। কিন্তু সে দেশের ছাগল যে অমন সৌজন্যবোধের অধিকারী হবে কে জানতো! শেখ সাদীর এক কবিতায় সুবাসিত একটি মাটির ঢেলাকে উদ্দেশ্য করে বলা হয়েছে তুমি এই সুগন্ধ পেলে কোথায়? এর উত্তর হচ্ছে ঢেলাটি গোলাপের সঙ্গে ছিল তাই তার সৌরভে সুরভিত হয়ে গেছে। ছাগলটির ৰেত্রেও সে রকম কিছু হয়েছে কিনা কে জানে!
যাই হোক, ছাগলকে ছাগল বলা যাবে না তা নয়। তবে কোন বোকা মানুষকে ছাগল বলা উচিত নয়, ছাগলের যে বুদ্ধি নেই সে কথা আসলে কি ঠিক? ব্রিটেনের ভদ্রতাবোধ সম্পন্ন ছাগলের কথা থাক। আমাদের দেশের যে কোন ছাগলের সামনে এক মুঠো ঘাস বা কয়েকটা কাঁঠাল পাতা ধরলে বুদ্ধিমান ছাগল ঠিকই বুঝে ফেলবে ওঠা তাকে খেতে দেয়া হচ্ছে। সে সঙ্গে সঙ্গে ছুটে এসে ওগুলো খেতে শুরম্ন করবে! তাই ছাগলের বুদ্ধি নেই কে বলল?

No comments

Powered by Blogger.