বাস্তবতা মেনে নিচ্ছেন মেসি

টানা ১০ ম্যাচে গোল করেছেন। লা লিগায় যেটা একটা রেকর্ড। স্পেনের শীর্ষ লিগে টানা ১০ ম্যাচে এর আগে গোল করতে পেরেছেন মাত্র দুজন। ব্রাজিল কিংবদন্তি রোনালদো এবং বার্সারই আরেক সাবেক স্ট্রাইকার মারিয়ানো মার্টিন (১৯৪২-৪৩ সালে)।
এমন রেকর্ড ছোঁয়ার রাতে লিওনেল মেসি মাঠ ছাড়লেন নত মস্তকে। একরাশ হতাশাই তাঁর সঙ্গী হলো। ব্যক্তিগত অর্জনের উচ্ছ্বাস যে উবে গেছে পরাজয়ের বিস্বাদে! মেসি অবশ্য দ্রুতই বাস্তবতার জমিনে নেমে এসেছেন। ম্যাচ শেষে বলেছেন, ‘কোনো না কোনো সময় বার্সাকে হারতেই হতো। এ নিয়ে হতাশায় পড়ে থাকার সুযোগ নেই। আমাদের গা ঝাড়া দিয়ে দাঁড়াতে হবে। কারণ, কাপের ম্যাচটা এর পরপরই।’ ম্যাচের আরেক গোলদাতা পেদ্রো মনে করেন, পিকের লালকার্ডটা ঘুরিয়ে দিয়েছে ম্যাচের মোড়। এ জন্য রেফারিকেও দুষেছেন। রেফারি নিয়ে কিছু না বললেও টিটো ভিলানোভাও মনে করেন, শেষ ৩৫ মিনিটে ১০ জনের দল নিয়ে খেলার মাশুল গুনেছে তাঁর দল, ‘প্রথম হলুদ কার্ড দেখার পর ওকে সাবধানও করেছিলাম, আরেকটা ফাউলই হয়তো ওকে মাঠ থেকে বের করে দেবে। আশঙ্কাটাই সত্যি হলো। কঠিন মনে হলেও প্রথমার্ধে আমরা কিন্তু ভালোই খেলছিলাম। ৩-০ হয়ে গেলে তো ম্যাচই শেষ হয়ে যেত। কিন্তু জেরার্ডের (পিকে) বেরিয়ে আসাটা সব পাল্টে দিল।’
প্রথমার্ধেই বার্সা ৩-০ করে ফেলতে পারত। মেসির ঠেলে দেওয়া বল ডানপোস্টের ভেতরের কোণে লেগেও জালে ঢোকেনি। লাইন থেকে ক্লিয়ার করেছে সোসিয়েদাদের রক্ষণ। ভিলানোভার কণ্ঠে সেই হতাশাও, ‘আসল মুহূর্তটা ছিল মেসির শট যখন লাইনের বাইরেই থেকে গেল। ৩-০ হলে ম্যাচটা ওখানেই শেষ হয়ে যেত।’ এই পরাজয়ে একটা ইতিবাচক দিকও অবশ্য খুঁজে পাচ্ছেন তিনি। এর ফলে শিষ্যরা নতুন করে নিজেদের ভুলগুলো শুধরে নিয়ে আরেকটি অজেয় যাত্রা শুরু করতে পারবে।
আগের ম্যাচে মালাগার সঙ্গেও শেষ মুহূর্তে গোল খেয়ে ড্র করেছিল বার্সা। টানা দুই ম্যাচে দুই ধাক্কায় মেসিরা জেগে উঠলেন কি না, সেটি বোঝা যাবে এই বৃহস্পতিবার। এদিনই কোপা ডেল রেতে মালাগার সঙ্গে ফিরতি লেগ বার্সার। রয়টার্স, ওয়েবসাইট।

No comments

Powered by Blogger.