অস্ট্রেলিয়ান ওপেন- অদম্য জোকোভিচ দুর্দান্ত শারাপোভা

আরেকটু হলে চতুর্থ রাউন্ডেই এবারও অস্ট্রেলিয়ান ওপেন দেখত সবচেয়ে বড় অঘটন। হেরে যেতেন বিশ্বের এক নম্বর খেলোয়াড় নোভাক জোকোভিচ। তবে শেষ পর্যন্ত হ্যাটট্রিকের স্বপ্ন নিয়ে আসা সার্বিয়ান তারকা তাঁর চরিত্রানুযায়ীই ফিরে এসেছেন খাদের কিনারা থেকে।
৫ ঘণ্টা ২ মিনিটের মহাকাব্যিক ম্যাচে হারিয়ে দিয়েছেন সুইজারল্যান্ডের স্তানিস্লাস ওয়াওরিঙ্কাকে। স্কোর লাইন: ১-৬, ৭-৫, ৬-৪, ৬-৭ (৫/৭), ১২-১০। ১৫তম বাছাই ওয়াওরিঙ্কা দোর্দণ্ড প্রতাপে জিতে নেন প্রথম সেট। পরের দুই সেট জিতে ফিরে আসেন জোকোভিচ। কিন্তু রজার ফেদেরারের ডেভিস কাপ সঙ্গী চতুর্থ সেটটা টাইব্রেকারে জিতে ম্যাচ নিয়ে যান পঞ্চম সেটে। সেখানেও কুঁচকি ও হ্যামস্ট্রিংয়ের অস্বস্তি নিয়েও ওয়াওরিঙ্কা প্রতিপক্ষের ঘাম ছুটিয়ে দিয়েছেন। আগামীকালই কোয়ার্টার ফাইনালে চেক প্রজাতন্ত্রের টমাস বার্ডিচের মুখোমুখি হবেন জোকোভিচ।
পুরুষ বিভাগের শীর্ষ তারকাকে মৃত্যুকূপ থেকে উঠে আসতে দেখার আগে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন দেখেছে মারিয়া শারাপোভার আরেক প্রস্থ ঝলক। প্রথম দুই ম্যাচে প্রতিপক্ষকে উপহার দিয়েছেন ‘ডাবল বেগল’। কাল অবশ্য হেরে যান প্রথম গেমটিই। এরপর আর পাত্তাই পাননি বেলজিয়ামের কারস্টেন ফ্লিপকেন্স। ৬-১, ৬-০ গেমে জিতে শারাপোভা গড়েছেন উন্মুক্ত যুগে সবচেয়ে কম গেম হেরে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার রেকর্ড।
এ নিয়ে চার ম্যাচে মাত্র ৫টি গেম হেরেছেন বিশ্বের দুই নম্বর তারকা। এর আগে স্টেফি গ্রাফ ১৯৮৯ সালে এবং মনিকা সেলেস ১৯৯১ ও ১৯৯৩ সালে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার পথে হেরেছিলেন ৮টি করে গেম। সেদিক দিয়ে শারাপোভার রেকর্ডটা বিস্ময়কর। আরেকটু হলে রুশ কন্যা ছুঁয়ে ফেলতে পারতেন সামগ্রিক রেকর্ডটাই। ১৯৯৪ সালে ফ্রেঞ্চ ওপেনের কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার পথে মেরি পিয়ার্স হেরেছিলেন মাত্র চারটি গেম। শারাপোভা এতে উচ্ছ্বসিত তো বটেই, তবে একই সঙ্গে সতর্কও, ‘আমি খুবই খুশি যে, আমি ভালো খেলছি। কিন্তু এটা এখন কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যায়ে এবং লড়াইটা ক্রমশই কঠিন হচ্ছে।’ শেষ আটে শারাপোভার প্রতিপক্ষ স্বদেশি একাতেরিনা মাকারোভা। এএফপি।

No comments

Powered by Blogger.