হকিংয়ের যোগাযোগ-ক্ষমতা বাড়াবে নতুন প্রযুক্তি

প্রখ্যাত পদার্থবিজ্ঞানী স্টিফেন হকিংয়ের কথা বা বক্তব্য প্রকাশের গতি বাড়ানোর লক্ষ্যে প্রযুক্তিবিদেরা কাজ করে যাচ্ছেন। হকিংয়ের যোগাযোগ-সামর্থ্য বর্তমানে প্রতি মিনিটে মাত্র এক শব্দে নেমে গেছে।
যুগান্তকারী কোনো উদ্ভাবনের মাধ্যমে এই হার বাড়ানোর ব্যাপারে গবেষকেরা আশাবাদী। প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান ইন্টেল জানায়, অসুস্থ হকিংয়ের অবস্থার অবনতি হলে বিশেষ প্রযুক্তির মাধ্যমে তাঁর কথা সংরক্ষণের প্রযুক্তি উদ্ভাবনের চেষ্টা চলছে। শরীরের অল্প কয়েকটি মাংসপেশির ওপর হকিংয়ের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। সেই মাংসপেশির সাহায্যে তিনি যে সংকেত পাঠাতে পারেন, তা ইন্টেলের নতুন প্রযুক্তি দ্রুত রূপান্তর করবে।
স্নায়ুতন্ত্রের দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত হকিং ৫০ বছর ধরে প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে অন্যদের সঙ্গে যোগাযোগ ও গবেষণাকাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তা কমে আসছে।
ইন্টেলের প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা জাস্টিন র‌্যাটনার গত সপ্তাহে অনুষ্ঠিত ইন্টারন্যাশনাল কনজিউমার ইলেকট্রনিকস শো (সিইএস) নামের প্রদর্শনীতে জানান, নতুন যন্ত্রাংশ ব্যবহারে হকিংয়ের যোগাযোগের সামর্থ্য বাড়বে।
ইন্টেল ১৯৯০-এর দশক থেকে হকিংকে যোগাযোগ-সহায়ক প্রযুক্তি সরবরাহ করে আসছে। যোগাযোগ-সামর্থ্য কমে যাওয়ায় তিনি ২০১১ সালে ইন্টেলের যুগ্ম প্রতিষ্ঠাতা গর্ডন মুরের সাহায্য চান। হকিংয়ের ৭০তম জন্মদিনের অনুষ্ঠানে গত বছর তাঁর সঙ্গে দেখা করেন র‌্যাটনার। তিনি বলেন, বর্তমান প্রযুক্তি হকিংয়ের মতো ব্যক্তিকে সন্তুষ্ট করার জন্য যথেষ্ট নয়। তাঁকে প্রতি মিনিটে অন্তত পাঁচটি শব্দ প্রকাশের জন্য সহায়ক যন্ত্র তৈরি করতে হবে। এমনকি, মিনিটে ১০টি শব্দ প্রকাশের মতো ব্যবস্থা উদ্ভাবনের চেষ্টা করতে হবে।
বর্তমান ব্যবস্থায় হকিং একটি ট্যাবলেট পিসির ও ওয়েবক্যামের সাহায্যে স্কাইপের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারেন। সায়েন্টিফিক আমেরিকান।

No comments

Powered by Blogger.