ডায়াবেটিসের চাপ বাড়ছে, কার্যকর ওষুধও আছে

পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ডায়াবেটিসের প্রকোপ বাড়ছে। এই রোগের আধুনিক ওষুধ এ দেশেও পাওয়া যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে ওষুধ সেবন করলে ডায়াবেটিস রোগী অধিকতর সুস্থ থাকতে এবং আর্থিকভাবে লাভবানও হতে পারে।
গত শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে ‘বাংলাদেশ প্রিমিক্স সামিট ২০১৩’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞরা এসব কথা বলেন। ওষুধ প্রস্তুতকারী বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান নভো নরডিক্স এর আয়োজন করে।
শুরুতে ‘ডায়াবেটিস ইন বাংলাদেশ: এ ওয়ান অ্যাচিভ অ্যান্ড বিয়ন্ড’ শিরোনামের প্রবন্ধ উপস্থাপনায় বারডেমের এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগের প্রধান জাফর আহমেদ লতিফ বলেন, ২০০১ সালে দেশে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা ছিল ৮৪ লাখ। এই রোগ বেশি এমন দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান অষ্টম। ২০৩০ সালে রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে এক কোটি ৬৪ লাখ। তখন অবস্থান হবে পঞ্চম।
আয়োজক প্রতিষ্ঠানের এদেশীয় ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ রাজন কুমার বলেন, ১৯২২ সালে নভো নরডিক্স প্রথম ডায়াবেটিস চিকিৎসায় ওষুধ তৈরি করে। এই দীর্ঘ সময়ে প্রতিষ্ঠানটি ওষুধের মানের অনেক উন্নতি ঘটিয়েছে। সারা পৃথিবীতে ব্যবহূত ইনসুলিনের ৭৫ শতাংশ তৈরি করে নভো নরডিক্স।
বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানটির ‘নভোমিক্স ৩০’ নামের ইনসুলিন বাজারে আছে। অনুষ্ঠানের একপর্যায়ে ইনসুলিনটির ১০ বছর পূর্তি উপলক্ষে কেক কাটা হয়। অন্যদের সঙ্গে অনুষ্ঠানের সভাপতি নাজমুন নাহার, বিশেষ অতিথি এ আর খান এতে অংশ নেন।
নভো নরডিক্সের দুটি ওষুধের তুলনামূলক চিত্র উপস্থাপনের সময় যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি হসপিটাল অব ওয়েলস কার্ডিফের পরামর্শক মার্ক ইভান্স বলেন, ইউরোপে স্বাস্থ্যসেবা খরচের ১০ শতাংশ ব্যয় হয় ডায়াবেটিস চিকিৎসায়। তিনি বলেন, আধুনিক ইনসুলিন ব্যবহার করে অধিকতর কার্যকরভাবে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে। এই ওষুধের মূল্য আপাতত বেশি মনে হলেও দীর্ঘ মেয়াদে এতে খরচ কম। এগুলো ব্যবহারে রোগীর স্বাধীনতাও বেশি।

No comments

Powered by Blogger.