সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ‘গণশুনানি’- গ্যাস-কয়লার উত্তোলন বাড়ানোর আহ্বান

গ্যাসের অনুসন্ধান ও উত্তোলন বাড়াতে এবং দেশের খনি থেকে বেশি পরিমাণ কয়লা তোলার পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিশিষ্ট শিল্পপতি-ব্যবসায়ী, অধ্যাপক, গবেষক ও গ্রাহক প্রতিনিধিরা।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি আয়োজিত ‘গণশুনানি’ অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বিদ্যুৎ খাতের প্রধান সমস্যা প্রাথমিক জ্বালানি (তেল-গ্যাস-কয়লা প্রভৃতি) ও অর্থায়ন। প্রাথমিক জ্বালানি হিসেবে দেশের গ্যাস ও কয়লার ব্যবহার বাড়ানো গেলে অর্থ বিনিয়োগের প্রবাহ বাড়বে, বিদ্যুতের দামও সীমিত রাখা যাবে।
বিদ্যুৎ খাত সম্পর্কে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার প্রতিনিধিদের মতামত শোনার জন্য গত শনিবার সকালে ঢাকার একটি অভিজাত হোটেলে ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আয়োজক কমিটির সভাপতি সুবিদ আলী ভূঁইয়া এতে সভাপতিত্ব করেন।
অনুষ্ঠানে ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স বাংলাদেশের (আইসিসিবি) পক্ষ থেকে এ এস এম কাসেম বলেন, বিদ্যুৎ খাত উন্নয়নের যে পরিকল্পনা সরকার করেছে, তার বাস্তবায়ন নিয়ে সংশয় আছে। কারণ প্রয়োজনীয় জ্বালানি নেই। অথচ দেশে কয়লার মতো অপেক্ষাকৃত সস্তা জ্বালানি সম্পদ রয়েছে।
এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক শাহেদুল ইসলাম বলেন, সরকারের পরিকল্পনার প্রধান বিষয় হওয়া দরকার সীমিত দামে মানসম্পন্ন বিদ্যুৎ।
মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এমসিসিআই) প্রতিনিধি এম এ রহিম বলেন, বিদ্যুতের উৎপাদন ব্যয় সীমিত রাখার জন্য দেশীয় জ্বালানির ব্যবহার বাড়ানোর পদক্ষেপ নিতে হবে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ প্রতিনিধি, বুয়েটের অধ্যাপক ম. তামিম বলেন, চাহিদা অনুযায়ী গ্যাস, না হলে কয়লা—এ ছাড়া বিদ্যুৎ উৎপাদন ও জ্বালানি সমস্যার সমাধান সম্ভব হবে না। তিনি জ্বালানি তেলের আমদানি মূল্য এবং এর সঙ্গে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন কর ও শুল্কের পরিমাণ জনসমক্ষে প্রকাশ করার দাবি করেন।
সামিট পাওয়ারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তৌহিদুল ইসলাম বলেন, বিদ্যুতের উৎপাদন মূল্য কম রাখতে হলে দেশের কয়লা ব্যবহারের কোনো বিকল্প নেই।
অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী এনামুল হক, ঢাকা চেম্বারের (ডিসিসিআই) পরিচালক হুমায়ুন রশিদ, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সাবেক অধ্যাপক নুরুল ইসলাম, অধ্যাপক ইজাজ হোসেন, জাতীয় সংসদের সরকারি প্রতিষ্ঠান কমিটির সভাপতি এইচ এন আশিকুর রহমান, বিদ্যুৎ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব মনোয়ার ইসলাম, বিইআরসির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. এমদাদুল হক প্রমুখ বক্তব্য দেন।

No comments

Powered by Blogger.