ঝামেলা এড়াতে

নতুন জায়গায় আসার পর নিজের এ্যাড্র্রেস বুকে সেখানে আপনার কোন পরিচিত ব্যক্তির মোবাইল নম্বর, হোটেলের টেলিফোন নম্বর, ট্রাভেল এজেন্টের নম্বর, সাহয্যের হেল্প লাইন নম্বর ইত্যাদি টুকে রাখুুন।
প্রয়োজনে কাজ দেবে। বিদেশে গেলে ভারতীয় দূতাবাসের ঠিকানা এবং ফোন নম্বর সঙ্গে রাখুন। যদি বেড়াতে বেরিয়ে কখনও মনে হয় যে, কেউ আপনার পিছু নিয়েছে তাহলে কোন পাবলিক প্লেস যেমন বাসস্ট্যান্ড, দোকান, বাজারের মধ্যে ঢুকে পড়ুন। সেখানে যারা সপরিবারে এসেছেন তাদের থেকে সাহায্যে চান। বেড়াতে বেরিয়ে বন্ধুত্ব করার ব্যাপারে সর্তক থাকুন। অপরিচিত কারও সঙ্গে বেশি উৎসাহী হয়ে বন্ধুত্বও করার সময় সতর্ক থাকুন। চেষ্টা করুন কোন পরিবার বা দম্পতির সঙ্গে সখ্য স্থাপন করতে, যাতে কোন সমস্যায় সাহায্য পেতে পারেন। ভাল করে কারও সঙ্গে পরিচয় হওয়ার আগে তাঁর সঙ্গে অচেনা জায়গায় বেড়াতে বা খেতে না যাওয়াই ভালো। যেখানে বেড়াতে যাচ্ছেন সেখানকার অধিবাসীরা মেয়েদের খোলামেলা পোশাকে দেখতে অভ্যস্ত নন। আপনি যদি শহরের গড়পরতা টুরিস্টের মতো সাজগোজ করেন তাহলে কিন্তু বিরক্তিকর দৃষ্টি এবং মন্তব্যের মুখোমুখি হতে পারেন।
বেড়াতে যাওয়ার অন্তত ৩ মাস আগ থেকে ছোটখাটো প্রস্তুতি নিন। যাঁরা বিদেশে যাবেন, দেখে নিন পাসপোর্ট ভ্যালিড রয়েছে কিনা। ভিসা এপ্লিকেশনের নিয়মকানুন জানুন। বিদেশে যাওয়ার জন্য, অন্যান্য কাজগপত্রের জন্য দরখাস্ত করুন। পছন্দমতো সিট এবং সহজে বুকিং পাবেন। বেড়াতে যাওয়ার আগে বাড়িতে কয়েকটি জরুরী জিনিস অবশ্যই রেখে যাবেন। আপনার ট্রেন বা প্লেনের নম্বর প্রয়োজন মতো কোচ নম্বর এবং বার্থ নম্বর, ট্রাভেল এজেন্টের ঠিকানা, হোটেলের নাম এবং ফোন নম্বর, ট্রাভেল প্ল্যান ইত্যাদি বিস্তারিতভাবে লিখে যান। যাতে যে কোন মুহূর্তে বাড়ির লোকজন আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে। আপনার আইডেনটি কার্ড এবং পাসপোর্টের একটা ফটোকপিও রেখে যান। আপনার ডেস্টিনেশনে পৌঁছে বাড়িতে জানাতে ভুলবেন না। যদি কোন নামজাদা টুরিস্ট স্পট বা বড় শহরে বেড়াতে যান, তাহলে বেশি ক্যাশ ক্যারি করার প্রয়োজন নেই। ট্রাভেলান্সচেক বা এটিএম কার্ডের সাহায্যে সহজেই ক্যাশ তুলে নিতে পারবেন। কিন্তু অফবিট অচেনা জায়গায় গেলে ক্যাশ একটু বেশি করেই রাখুন। টাকা এক জায়গায় না রেখে লাগেজের নানা জায়গায় ভাগ করে রাখুন। ডেবিট-ক্রেডিট কার্ডের নম্বর টুকে রাখুন। হারিয়ে গেলে তৎক্ষণাৎ রিপোর্ট করতে পারবেন। অপ্রয়োজনীয় দামী জিনিসি ক্যারি করবেন না। বাড়িতে ক্রেডিট কার্ড, দামী জুয়েলারি, একাধিক সেলফোন সঙ্গে না নেয়াই ভাল। এক্সপেনসিভ লুকিং কস্টিউম জুয়েলারিও না নেয়া ভাল। ছিনতাইকারীরা অনেক সময় আসল এবং নকলের পার্থক্য বোঝে না। সেই জন্য নকল জিনিস পরেও বিপদ হওয়া একেবারে অসম্ভব কিছু নয়। খুব হালকা টুকটাক গহনা ছাড়া অন্য কিছু না নিয়ে যাওয়াই নিরাপদ। যদি নিয়মিত কোন ওষুধ খেয়ে থাকেন তাহলে পুরো ট্যুরের জন্যই একসঙ্গে নিয়ে যান। নতুন জায়গায় ওষুধের ভাল দোকান খুঁজে নাও পেতে পারেন। সঙ্গে প্রেসক্রিপশন রাখুন এবং তার ফটোকপি। কাস্টমসে দেখাতে হতে পারে।
বড় ট্রাভেলব্যাগের সাথে একটা হালকা হ্যান্ডব্যাগ অবশ্যই রাখুন যেখানে প্রয়োজনীয় টুকিটাকি রাখতে পারেন। তার মধ্যে রাখুন ফটো আইডেনটি, কিছু ক্যাশ দরকার ওষুধপত্র ওয়েট টিস্যু, ট্রাভেল গাইড, ম্যাপ, চুয়িংগাম, ট্যাম্পুন ইত্যাদি। এর সঙ্গে অবশ্যই রাখুন একটা কোমরে জড়ানো মানি পাউচ। তার মধ্যে রাখুন কিছুটা ক্যাশ টাকা এবং ডেবিট/ ক্রেডিট কার্ড, ট্যাভেলার্স চেক, প্লেনের টিকিট, লাগেজের চাবি ইত্যাদি। তাহলে বার বার প্রয়োজনীয় জিনিসের জন্য ব্যাগ খোলা-বন্ধ করতে হবে না। হাতখালি রাখতে চাইলে ব্যাক প্যার্কও চমৎকার কাজে দেবে। জামা-কাপড় নেয়ার সময় মিক্স এ্যান্ড ম্যাচ ফ্যাক্টরের কথা মনে রাখুন। ট্রাউজার্স, ডেনিম নিন যাতে সহজে ঘোরাঘুরি করতে পারেন। সঙ্গে মানানসই, টপ, কুরতি বা টি-শার্ট অবশ্যই নেবেন। দুয়েকটা সালোয়ার কামিজ এবং দোপাট্টা রাখুন। অবশ্যই ২ জোড়া কমফর্টেবল জুতা নিন। জিনিসপত্রের মধ্যে যদি কোন কাঁচ বা অন্য ডেলিকেট জিনিস থাকে, তাহলে ভাল করে তোয়ালে দিয়ে মুড়ে নিন। সাথে বেশি করে প্লাস্টিকের প্যাকেট নিন, যাতে অপ্রয়োজনীয় জিনিস ফেলে দিতে পারেন। তবে যেখান সেখানে প্লাস্টিক ফেলবেন না, ডাস্টবিনে ফেলুন। বাড়ি থেকে পানি বয়ে না গিয়ে স্টেশন বা এয়ারপোর্ট থেকে ভাল কোম্পানির মিনারেল ওয়াটার কিনে নিন। যেসব বড় ব্যাগ বা সুটকেস আছে তার ওপরে আপনার কার্ড ভাল করে আটকে নিন। ব্যাগের ভেতরেও দুয়েকটা কার্ড রাখুন। আপনার কার্ডে যেন আপনার ঠিকানা, মোবাইল এবং ই-মেইল আইডি অবশ্যই দেওয়া থাকে।
যাপিত ডেস্ক

No comments

Powered by Blogger.