চারদিকে ফ্লু: কীভাবে এড়াবেন?

অক্টোবর-মে মাস হচ্ছে ফ্লুর সময়। আর জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে এর প্রাদুর্ভাব সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছে। সর্দি, কাশি, জ্বর, নাক দিয়ে অনবরত পানি পড়া, মাথা ব্যথা, চোখ ব্যথা, মাথা ভার লাগা, কখনো কখনো পেট খারাপ—এই হচ্ছে ফ্লুর লক্ষণ।
 ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস ফ্লু ছড়ানোর জন্য দায়ী। এই ভাইরাস প্রতি ঋতুতে নিজের গতি-প্রকৃতি বদলায়। এ জন্য কোনো কার্যকর ওষুধ বা ভ্যাকসিন আজও তৈরি করা সম্ভব হয়নি।
 হাঁচি বা কাশির মাধ্যমে রোগীর নাক-মুখ থেকে ভাইরাস প্রায় ছয় ফুট দূরত্ব পর্যন্ত ছড়াতে পারে। যে জায়গায় এটি পড়ে সেখানে আট ঘণ্টা পর্যন্ত জীবিত থাকে।
 ফ্লুতে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয় শিশু ও বৃদ্ধরা। এ ছাড়া রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কম এমন কেউ যেমন ডায়াবেটিস ও ক্যানসার রোগীদেরও সহজেই কাবু করে ফ্লু।
 প্রচুর পরিমাণে তরল খাদ্য, প্রচুর বিশ্রাম, জ্বরের জন্য প্যারাসিটামলজাতীয় ওষুধ, সর্দি-কাশির জন্য এন্টি হিস্টামিন, নাক বন্ধ থাকার জন্য স্যালাইন ড্রপ আর যথেষ্ট পুষ্টিকর খাবার—এই হচ্ছে ফ্লুর সঙ্গে লড়াই করার অস্ত্র।
করণীয়: হাঁচি বা কাশির সময় নাকে-মুখে রুমাল বা টিস্যু ব্যবহার করতে হবে, ব্যবহারের পর টিস্যু যেখানে-সেখানে না ফেলে ঢাকনা দেওয়া ডাস্টবিনে ফেলুন। কিংবা জামার কলার বা কনুই ভাঁজ করে তা দিয়ে মুখ ঢাকবেন, হাত দিয়ে কখনোই নয়।
: হাঁচি-কাশির পর ২০ সেকেন্ড ধরে সাবানজলে হাত ধুতে হবে।
: ফ্লু হলে শিশুদের পর্যাপ্ত তরল যেমন জুস, ফলের রস, গরম দুধ ইত্যাদি খেতে দিন। কমপক্ষে ১০ ঘণ্টা ঘুমাতে দিন। কফ তরল করার জন্য লেবু ও আদার রস দিয়ে মধু দিতে পারেন।

No comments

Powered by Blogger.