পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথ- নাব্যতা সংকটে ধারণক্ষমতার অর্ধেক নিয়ে চলছে ফেরি

নাব্যতা সংকটের কারণে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে তিন দিন ধরে যানবাহন পারাপারে বিঘ্ন ঘটছে। নদীতে পানি কমে যাওয়ায় ধারণক্ষমতার অর্ধেক নিয়ে ফেরিগুলোকে চলাচল করতে হচ্ছে। এতে নদী পার হতে আসা যানবাহনগুলোকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঘাটে অপেক্ষা করতে হচ্ছে।


এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা বলেছেন, নাব্যতা স্বাভাবিক রাখতে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) শুরু করা খননকাজ ধীরগতিতে চলছে। এতে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে।
বিআইডব্লিউটিএর আরিচা কার্যালয় সূত্র জানায়, নৌপথটিতে আটটি রো রো (বড়) ও দুটি কে-টাইপ (মাঝারি) ফেরি সচল রয়েছে। এসব ফেরি সম্পূর্ণ বোঝাই হয়ে চলাচলের জন্য পানির গভীরতা আট থেকে ১০ ফুট প্রয়োজন। কিন্তু গত কয়েক দিনে পানির উচ্চতা দাঁড়িয়েছে মাত্র সাত ফুটে। এতে গত বুধবার থেকে ধারণক্ষমতার অর্ধেক যানবাহন নিয়ে ফেরিগুলো চলাচল করছে।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে ২২ আগস্ট দৌলতদিয়া ঘাটের প্রবেশমুখে দুটি খননযন্ত্র বসিয়ে পলি অপসারণ শুরু করা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি ফেরির মাস্টার বলেন, ধারণক্ষমতার অর্ধেক নিয়ে ফেরি চালানোর পরও প্রায়ই সেগুলো ডুবোচরে আটকা পড়ছে। বৃহস্পতিবার রাতে কেরামত আলী, খানজাহান আলী, এনায়েতপুরী ও শাহপরান নামের চারটি রো রো ফেরি আটকা পড়ে। পরে উদ্ধারকারী জাহাজের সহায়তায় সেগুলো উদ্ধার হয়।
বিআইডব্লিউটিএর আরিচা কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী (খনন) মো. তারিকুল ইসলাম বলেন, ‘২২ আগস্ট থেকে খনন শুরু করে এ পর্যন্ত প্রায় ৮৫ হাজার ঘনমিটার পলি সরানো হয়েছে। আজ রোববার আরেকটি ড্রেজার বসানো হবে।’ তিনি খননকাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে বলে দাবি করেন।

No comments

Powered by Blogger.