তেহরানে সামরিক হামলা চালালে ইসরাইলের অবশিষ্ট বলতে কিছু থাকবে না

তেহরানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ নিলে ইসরাইলের অবশেষ বলতে কিছু থাকবে না। এমন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন ইরানের অভিজাত রেভ্যুলুশনারি গার্ডের শীর্ষ কমান্ডার জেনারেল মোহাম্মদ আলী জাফরি। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এপি।

এতে বলা হয়, ইসরাইল যদি ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাসমূহে সামরিক অভিযান শুরু করে তাহলে ইরান তার জবাবে ইসরাইলের সীমান্ত এলাকা থেকে প্রতিউত্তর দিতে শুরু করবে। এখানে উল্লেখ্য, ইসরাইলের সীমান্তের সঙ্গে লাগোয়া ফিলিস্তিন ও লেবাননের ইসলামপন্থিদের সঙ্গে ইরানের রয়েছে সুসম্পর্ক। এর আগেও ইসরাইলের ধ্বংসের কথা বলেছে। তারা বলেছে, ইসরাইলকে বিশ্বের মানচিত্র থেকে মুছে ফেলা হবে।
তবে জেনারেল জাফরি  তেহরানে এক সংবাদ সম্মেলনে যে সুরে কথা বলেন তা ছিল উত্তেজনাপূর্ণ। তিনি বলেছেন, ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে যদি যুদ্ধ বেধেই যায় তাহলে তেল সরবরাহের মূলপথ হরমুজ প্রণালীতে মারাত্মক বাধার সম্মুখীন হতে হবে। এর আগে ইরান ওই নৌপথ বন্ধ করে দেয়ার হুমকি দিয়েছিল। এ রুট দিয়েই বিশ্বের মোট তেলের এক পঞ্চমাংশ সরবরাহ করা হয়। জেনারেল জাফরি রোববার ওই সংবাদ সম্মেলন করেন। এতে তিনি বলেন, ইরান যদি আক্রান্ত হয় তাহলে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণবিষয়ক চুক্তি আর মানতে বাধ্য থাকবে না ইরান। তবে এর অর্থ এই নয় যে, ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করবে। এই চুক্তির অধীনেই ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো পরিদর্শন করেছেন জাতিসংঘের পর্যবেক্ষকরা। যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল দু’পক্ষই ইরানে হামলা চালানোর অপশনটি তাদের হাতে রেখেছে। যদি ইরান নিয়ে কূটনৈতিক উদ্যোগ ব্যর্থ হয় তাহলে তারা ওই হামলাকেই বেছে নিতে পারে। জেনারেল জাফরি বলেন, ইরান বিশ্বাস করে ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের হামলা চালানো হবে বিপজ্জনক। কারণ, যুক্তরাষ্ট্রের যেসব সামরিক ঘাঁটি রয়েছে মধ্যপ্রাচ্যে তার সবই ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লার মধ্যে। তাই যুক্তরাষ্ট্র ইরানে হামলা চালাবে না বলেই তিনি মনে করেন। তবে এক্ষেত্রে ইসরাইল এককভাবে ইরানে হামলা চালাবে বলেও তার মনে হয় না। এপি’র ওই রিপোর্টে বলা হয়, ইসরাইল বিশ্বাস করে- তারা ইরানে যেকোন ধরনের হামলা চালালে তার প্রতিশোধ নেয়া হবে। আর তাতে ব্যবহার করা হবে ক্ষেপণাস্ত্র। তাদেরকে তাতে সহায়তা করবে ফিলিস্তিনের গাজার যোদ্ধাগোষ্ঠী হামাস ও লেবাননের হিজবুল্লাহ। তারাও ইসরাইলের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্ত দিয়ে আক্রমণ চালাবে। পারস্য উপসাগরে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে নৌ বাহিনীর শক্তি বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে জেনারেল জাফরি ওইসব মন্তব্য করেন।

No comments

Powered by Blogger.