করাচিতে ব্যাপক সহিংসতা, নিহত ৩৫

পাকিস্তানের করাচি নগরে ব্যাপক সহিংসতায় এক দিনে অন্তত ৩৫ জন নিহত হয়েছে। দেশটির সরকারি কর্মকর্তারা গতকাল মঙ্গলবার এ কথা জানান। পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, করাচিতে সন্ত্রাস ও রক্তপাত বর্তমানে স্থায়ী রূপ নিয়েছে।
করাচির রাস্তায় রাস্তায় অতিরিক্ত পুলিশ ও আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। প্রাদেশিক সরকারের কর্মকর্তা শারফুদ্দিন মেমন বলেন, গত ২৪ ঘণ্টার সহিংসতায় ৩৫ জন নিহত হয়েছে। এদের বেশির ভাগই গতরাতের গোলাগুলিতে নিহত হয়।
সবচেয়ে ভয়াবহ হামলাটি হয় করাচির সুরজানি এলাকায়। এ সময় অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা কয়েকটি বাড়ি ও দোকানের ওপর এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করতে থাকে। এতে দুজন নিহত ও অসংখ্য লোক আহত হয়। পুলিশ জানায়, ওই সহিংসতা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে পার্শ্ববর্তী ওরাঙ্গি, সুরজানি, পাক কলোনি, লান্ধি, গুলশান-ই ইকবাল, করাঙ্গিসহ কয়েকটি এলাকায়।
পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রেহমান মালিক বলেন, করাচির আশপাশে সবচেয়ে গোলযোগপূর্ণ এলাকাগুলোয় জোরদার টহলের ব্যবস্থা করা হবে। হত্যাকারীদের চিহ্নিত করে নির্মূল করতে টহল বিমানের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
গত এক মাসে পাকিস্তানের বৃহত্তম নগর করাচিতে রাজনৈতিক, জাতিগত ও সন্ত্রাসবাদী সহিংসতার বিভিন্ন ঘটনায় দুই শতাধিক লোক নিহত হয়। কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে হিমশিম খাচ্ছে। উর্দুভাষীদের সংগঠন মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট (এমকিউএম) ও পশতুভাষী অভিবাসীদের সংগঠন আওয়ামী ন্যাশনাল পার্টির (এএনপি) সমর্থকদের বেশির ভাগ হাঙ্গামার জন্য দায়ী করা হচ্ছে।
এদিকে লন্ডনে অবস্থানকারী এমকিউএম নেতা আলতাফ হোসেন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য দেশের সরকারকে ৪৮ ঘণ্টার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন। তা না হলে তিনি ব্যাপক গণ-আন্দোলন শুরু করার হুমকি দেন।
এমকিউএমের আইনপ্রণেতা ওয়াসিম আহমেদ গত সোমবার পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে বলেন, ‘আমরা কাউকে করাচির নিয়ন্ত্রণ নিতে দেব না।’

No comments

Powered by Blogger.