জাপানের চতুর্থ না অস্ট্রেলিয়ার প্রথম?

জাপানের সামনে দারুণ এক রেকর্ডের হাতছানি। আজ এশিয়ান কাপের ফাইনাল জিতলেই টুর্নামেন্টের সফলতম দলের তকমা উঠবে তাদের গায়ে। ইরান ও সৌদি আরবের সঙ্গে যৌথভাবে সর্বোচ্চ তিনবার শিরোপাজয়ী জাপান সর্বোচ্চ চারবার শিরোপা জয়ের গৌরবে ভাসবে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শিরোপা নির্ধারণী লড়াইয়ে এটিই নীল সামুরাইদের সবচেয়ে বড় প্রেরণা।প্রেরণা দলের ইউরোপীয় কোচ আলবার্তো জাকেরনিও। দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপের পর যখন দলের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হলো ইতালীয় এই কোচের হাতে, খোদ জাপানের ফুটবল মহলেই ছিল অনেক প্রশ্ন। আগে কখনো জাতীয় দলের কোচ ছিলেন না এমন একজনের হাতে কি দায়িত্ব দেওয়া ঠিক হলো? জাতীয় দলে কোচিংয়ের পূর্ব অভিজ্ঞতা নেই ঠিক, কিন্তু লাৎসিও, ইন্টার, এসি মিলানের মতো বড় দলের দায়িত্ব সামলেছেন একসময়। জাপানের দায়িত্ব নিয়েই আর্জেন্টিনাকে হারিয়েছেন প্রীতি ম্যাচে। ওই ম্যাচেই নিজেকে প্রমাণ করেছেন, আজ জিততে পারলে সংশয় থাকবে না বিন্দুমাত্র। তবে ফাইনালে শিনজি কাগাওয়াকে না পাওয়াটা জাকেরনির জন্য একটা দুঃসংবাদ। জাপানকে শেষ চারে তোলার অন্যতম নায়ক শিনজি কাগাওয়া নেই ফাইনালে, এই মৌসুমটাই শেষ হয়ে গেছে তাঁর। দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে সেমিফাইনালে পায়ের চোট নিয়ে কাতার ছেড়ে গেছেন বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের স্ট্রাইকার।
শিরোপার দিকে তাকিয়ে অস্ট্রেলিয়াও। ২০০৭ এশিয়ান কাপে প্রথমবারের মতো অংশ নিয়ে ফেবারিট অস্ট্রেলিয়া টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে পড়েছিল কোয়ার্টার ফাইনালেই। প্রথমবারের মতো শিরোপা জিতেই সেই যন্ত্রণার ক্ষতে উপশমের প্রলেপ দিতে চায় তারা। মাঠে নেমে নিশ্চিতভাবেই একটি রেকর্ড গড়বেন অস্ট্রেলিয়ার ৩৮ বছর বয়সী গোলরক্ষক মার্ক শোয়ার্জার। ফাইনালটি হবে দেশের হয়ে তাঁর সর্বোচ্চ ৮৮তম ম্যাচ।

No comments

Powered by Blogger.