আলোচনা- 'নৈতিক চেতনা : ধর্ম ও মতাদর্শ' by আবুল কাসেম ফজলুল হক

পৃথিবীতে মানুষের জীবন-যাপনের শ্রেষ্ঠ উপায় কী- এই প্রশ্ন যুগে যুগে মানুষের মনকে আলোড়িত করেছে। এই প্রশ্নের উত্তর সন্ধান করতে গিয়েই মানুষ উদ্ভাবন করেছে নীতি, পদ্ধতি, আদর্শ, জীবনদর্শন। ধর্মের মধ্যেও আমরা এই প্রশ্নেরই উত্তর পাই।

কর্মবিশ্বাসী লোকেরা বলেন যে, ধর্ম দৈব বা ঈশ্বরের কাছ থেকে প্রাপ্ত, ধর্মের বিধি-বিধান রীতি-নীতি ও প্রথা-পদ্ধতি ঈশ্বর কতর্ৃক ধর্মপ্রবর্তক- কাছে মানুষের জন্য অলৌকিক উপায়ে প্রদত্ত। ঈশ্বর সম্পর্কে বিভিন্ন ধর্মে বিভিন্ন ধারণা প্রচলিত আছে। একই ধর্মের অনুসারীদের মধ্যেও ঈশ্বর সম্পর্কিত উপলব্ধিতে তারতম্য আছে। আবার নিরীশ্বর ধর্মও আছে। যেমন বৌদ্ধধর্ম, জৈনধর্ম ইত্যাদি।
তবে এগুতেও প্রচুর অলৌকিক বিষয় আছে। বিজ্ঞানভিত্তিক চিন্তায় এসবের কোনো ভিত্তি খুঁজে পাওয় যায় না। নীতি, আদর্শ আইনের উৎস ধর্ম বা ঈশ্বর- মানবজাতির ইতিহাস এই মতের পক্ষে সাক্ষ্য দেয় না। বাস্তবসম্মত চিন্তা এবং নৃবিজ্ঞান, সমাজ বিজ্ঞান ও ইতিহাস বরং এটাই প্রমাণ করে যে, নৈতিক চেতনাই ধর্মের উৎস, ধর্ম নৈতিক চেতনার উৎস নয়। আর নৈতিক চেতনা কোনো অলৌকিক ব্যাপার নয়, নিতান্তই মানবিক ব্যাপার- মানুষের মনোদৈহিক ব্যাপার। মানুষের জীবন-যাপনের শ্রেষ্ঠ উপায় খুঁজে পাওয়ার তাগিদ থেকেই সৃষ্টি হয়েছে ধর্ম।
ধর্মবিশ্বাসী ও ধর্মে আস্থাহীন, ঈশ্বরবিশ্বাসী ও নীরীশ্বর- সকল মানুষের মধ্যেই নৈতিক চেতনা আছে। মানুষের নৈতিক চেতনা সুস্থ, স্বাভাবিক ও বলিষ্ঠ হতে পারে, আবার রুগ্ন, দুর্বল ও বিকারপ্রাপ্তও হয়ে যেতে পারে।
অলৌকিক ব্যাপারগুলোকে দূরে রেখে ধর্মের মানবীয়, জাগতিক বাস্তব ব্যাপারসমূহ লক্ষ্য করলে দেখা যায়, পৃথিবীতে মানুষের জীবন-যাপনের শ্রেষ্ঠ উপায় সন্ধান করতে গিয়েই মানুষ ধর্ম উদ্ভাবন করেছে। ধর্মপ্রবর্তকদের জীবন ও দেশকালের ঘটনাবলি থেকেই এটা বোঝা যায়। দেশকালের চাহিদার কারণেই আত্মপ্রকাশ করেছেন এক একজন ধর্মপ্রবর্তক। প্রত্যেক ধর্মেই শোষিত-বঞ্চিত মুক্তিকামী মানুষদের মুক্তির প্রতিশ্রুতি আছে। মতাদর্শের উদ্ভবের ইতিহাস অনুসন্ধান করতে গেলেও দেখা যায়, অন্যায়-অবিচার, শোষণ-পীড়ন ইত্যাদির অবসান ঘটিয়ে পৃথিবীতে সুন্দর আনন্দময় প্রেমময় জীবন প্রতিষ্ঠার তাগিদেই মতাদর্শ উদ্ভাবন করা হয়েছে। যেমন- মানববাদ, উপযোগবাদ, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, মার্কসবাদ ইত্যাদি। যুগের বিক্ষিপ্ত-বিচ্ছিন্ন মহৎ চিন্তসমূহের সমন্বয়ের পরিচয় আছে প্রত্যেক ধর্মে এবং প্রত্যেক মতাদর্শে।
ইতিহাসে দেখা যায় প্রত্যেক ধর্মে এবং প্রত্যেক মতাদর্শের উদ্ভব ঘটেছে ব্যক্তির, সমাজের, জাতির, রাষ্ট্রের দুঃসময়ে। দুর্দিন অতিক্রম করে সুদিন প্রতিষ্ঠার পথনির্দেশ আছে প্রত্যেক ধর্মে ও প্রত্যেক মতাদর্শে। ধর্ম মানুষকে আকৃষ্ট করতে চেয়েছে ধর্ম-কথিত জীবনের দিকে- স্বর্গ-নরক, বেহেশত-জোজক, নির্বাণ, মুখ্য, পরমার্থ ইত্যাদির দিকে। আর মতাদর্শ মানুষকে আকৃষ্ট করতে চেয়েছে ভবিষ্যতের কল্পস্বর্গের দিকে কিংবা মানবজাতির জন্য পরিকল্পিত ভবিষ্যতের আদর্শ ব্যবস্থার দিকে।
ধর্মের সঙ্গে মতাদর্শের পার্থক্য যেমন আছে, তেমনি মানবীয় ও জাগতিক ব্যাপারাদিতে মিলও আছে। অলৌকিক ব্যাপারগুলোকে দূরে রেখে ধর্মের সঙ্গে মতাদর্শের তুলনা করলে দেশ-কাল-ব্যক্তির পার্থক্য ছাড়া আর কোনো পার্থক্য খুঁজে পাওয়া যায় না। কোনো যুগে বহু মানুষের মধ্যে বিক্ষিপ্ত ভাবে, খণ্ড খণ্ড রূপে ভালো জীবন, সুন্দর জীবন, মহৎ জীবন এবং উন্নত জীবনব্যবস্থা ও উন্নত সমাজব্যবস্থা সম্পর্কে যেসব ধারণা, আকাঙ্ক্ষা ও অভিপ্সা বিরাজ করে সেগুলোই কোনো ধর্ম প্রবর্তকের, মতবাদ-প্রতিষ্ঠাতার, কিংবা যুগমানবের চিন্তাধারার মধ্য দিয়ে পরিমার্জিত ও সংশেস্নষিত হয়ে সার্বিক রূপ নিয়ে প্রকাশ পায়। ধর্ম প্রবর্তকের বা মতবাদ প্রতিষ্ঠাতার বা যুগমানবের চিন্তাধারা তাঁদের অনুসারীদের মাধ্যমে নানাভাবে ব্যাখ্যাত ও সম্প্রসারিত হয়। এবং নানাভাবে প্রতিপক্ষের মোকাবিলা করে বাস্তবায়িত হয়। যেদিক দিয়ে ধর্ম ও মাতাদর্শ সদৃশ সেদিক থেকে দেখা যায়, প্রথম পর্যায়ে প্রতিটি ধর্ম ও মতাদর্শ সমাজের ক্ষমতাসীন কায়েমি শক্তির উৎখাত ঘটিয়ে মুক্তিকামী মানুষদের অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
প্রত্যেক ধর্মে এবং মতাদর্শেই সমকালীন ও পূর্ববতর্ীকালের জ্ঞান-বিজ্ঞান ও প্রজ্ঞায় সংশেস্নষণের ভিত্তিতে মানুষের জন্য নীতি ও কর্মপদ্ধতি নিণর্ীত ও নির্দেশিত হয়। ধর্ম প্রবর্তকের ও মতবাদ-প্রতিষ্ঠাতার নির্ধারিত নীতি ও বাণীকে অনুসারীরা সাধারণত গ্রহণ করে থাকে সর্বজনীন কল্যাণের আদর্শ এবং চিরন্তন বা শাশ্বত সত্য রূপে। তারা ভুলে যায় যে, প্রতিটি সাধারণীকরণই নির্দিষ্ট অবস্থায় প্রাপ্ত তথ্যাবলির ভিত্তিতে করা হয়। সেই নির্দিষ্ট অবস্থা চিরকাল বজায় থাকে না, আর ঘটনা ও তথ্যও এক পর্যায়ে থাকে না- নতুন নতুন ঘটনা ঘটে চলে এবং নতুন নতুন তথ্য আবিষ্কৃত হয়- সব কিছুই বিকাশমান।
এ অবস্থায় কোনো ধর্মের কিংবা কোনো মতাদর্শের নীতিই চিরকাল উপযোগী কিংবা কার্যকর থাকতে পারে না। নীতির, আদর্শের, ধর্মের এই আপেক্ষিক ভূমিকার কথা ভুলে গিয়ে যাঁরা অন্ধবিশ্বাস রূপে এগুলোকে অাঁকড়ে ধরে থাকে, বাংলার লৌকিক ইসলামের পরিভাষায় তাদেরকে বলা হয় কাঠমোলস্না। ধর্মের অনুসারীদের মধ্যে যেমন, মতবাদের অনুসারীদের মধ্যেও তেমনি কাঠমোলস্নার সাক্ষাৎ পাওয়া যায়। মার্কসবাদের কাঠমোলস্না, গণতন্ত্রের কাঠমোলস্না, ইসলামের কাঠমোলস্না এবং আরো নানা মতাদর্শের কাঠমোলস্নার সাক্ষাৎ এই বাংলাদেশে মোটেই দুর্লভ নয়। কোনো ধর্মের বা মতাদর্শের অগ্রগতির ধর্ম বা মতাদর্শ কল্যাণের বদলে অকল্যাণের কারণ হয় এবং অচিরেই তার পতন হয়।
কোনো ধর্ম বা মতাদর্শ যখন প্রতিষ্ঠা পেয়ে যায় এবং তার অনুসারীরা শক্তিশালী হয়ে ওঠে তখন এমন লোকেরাও স্বার্থ হাসিলের অভিপ্রায়ে সেই ধর্মের বা আদর্শের অনুসারীদের দলে ভিড়ে যায় যারা সেই ধর্মে বা মতাদর্শে বিশ্বাস পর্যন্ত করে না। এই ধরনের স্বার্থবাদীরা ক্রমে নেতৃত্ব ও কতর্ৃত্ব দখলের চেষ্টা করে।
এরা যখন নেতৃত্ব দখল করে ফেলে তখন সেই ধর্ম বা মতাদর্শ আর মুক্তিকামী জনমনের অধিকারে থাকে না। তখন তা চলে যায় কায়েমি স্বার্থবাদী শাসক-শোষকদের দখলে। মুক্তিকামী মানুষের পক্ষে প্রচার চালালেই কিংবা ন্যায়নীতির কথা বললেই মুক্তির পক্ষে কিংবা ন্যায়ের পক্ষে কাজ করা হয় না। সম্পূর্ণ দুরভিসন্ধিমূলকভাবেও ন্যায়, ধর্ম ও মতাদর্শের কথা প্রচারিত হতে দেখা যায়। এজন্যই নৈতিক সমস্যা এত জটিল। কোনো মতাদর্শের চরিত্রকে বোঝার ক্ষেত্রে সেই মতাদর্শ নিয়ে কারা দাঁড়াচ্ছে, কারা নেতৃত্বে আছে, সে ব্যাপারটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
কায়েমি-স্বার্থবাদীদের দ্বারা শোষণ ও প্রতারণার কাজও যুগে যুগে ধর্ম ও মতাদর্শ ব্যবহূত হয়েছে। বর্তমান বাস্তবতায় বাংলাদেশের পীর-প্রথার যে নবযুগ দেখা দিয়েছে এবং রেডিও-টেলিভিশন সংবাদপত্র ইত্যাদি প্রচার মাধ্যমের সাহায্যে কোনো কোনো মহল থেকে যেভাবে ধর্মীয় বিষয়াদি প্রচার করা হচ্ছে। তার মর্মে ধর্ম নেই, আছে ধর্মের নামে শোষণ-পীড়ন প্রতারণারই আয়োজন। মানুষকে অদৃষ্টবাদী বানিয়ে শোষণ-পীড়ন প্রতারণার ব্যবস্থাকে দীর্ঘস্থায়ী করার আয়োজন করা হয়েছে।
ধর্মের ও মতাদর্শের কল্যাণতর সম্ভাবনার সঙ্গেই কিন্তু অনিবার্যভাবে কাঠমোলস্নাতন্ত্রের ও সুবিধাতন্ত্রের বিপদও অন্তর্নিহিত থাকে। আসলে মানুষের নৈতিক সত্তার বৈশিষ্ট্যের এবং সামাজিক পরিবেশের মধ্যেই এইসব বৈপরীত্যের ও সমস্যার উৎস নিহিত। বলা হয়ে থাকে -মানবচরিত্র বড়ই জটিল। মানুষের নৈতিক সত্তা জটিলতার পূর্ণ। যৌথ জীবনের ঘটনাবলিকে যাঁরা নিয়ন্ত্রণ করতে চান, যারা প্রবলভাবে আকাঙ্ক্ষী, তাদের নৈতিক চেতনাই বেশি জটিল।
এই সমস্যার কোনো সহজ সমাধান ভাবা যায় না। তবে মানুষ বুদ্ধির ব্যবহারে যত যত্নবান হবে নিরাবেগ, অন্ধবিশ্বাসমুক্ত হয়ে চিন্তা করতে যত শক্তিশালী হবে এবং নৈতিক দিক দিয়ে মানুষ যত উৎকর্ষ অর্জন করবে, সভ্যতার অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে এই সমস্যা হয়তো ততই জটিলতামুক্ত হবে।
প্রত্যেক ধর্মের এবং প্রত্যেক আদর্শেরই উদ্ভব আছে, বিশ্বাস আছে, পরিণতি আছে। ইতিহাসে দেখা যায়, এক ধর্মকে উৎখাত করে নতুন আর এক ধর্ম প্রচারিত হয়েছে, এক মতাদর্শের ক্ষেত্রে দেখা যায়-কাঠমোলস্নাতন্ত্র, সুবিধাবাদ ও অপব্যবহারের সমস্যা অতিক্রম করে কোনো ধর্মই, কোন মতাদর্শই, প্রাকৃতিক ও সামাজিক পরিবর্তনের ধারকে উপলব্ধি করে নিজেকে পরিবর্তিত করতে করতে স্থায়িত্বের উপায় করতে পারেনি।
এই সমস্যারও উৎস মানুষের স্বভাবের ও তার সামাজিক পরিবেশের মধ্যে নিহিত। তবে মনে রাখতে হবে, মানবস্বভাব পরিবর্তনীয়, সীমাহীন রূপে শোধনীয়; আর মানুষ তার পরিবেশকেও ভেঙে নতুন করে গড়তে পারে। কাজেই যত সময়সাপেক্ষই হোক, এই সমস্যার সমাধানের সম্ভাবনা অন্তহীন।
অনেকের ধারণা আছে যে, যারা নির্যাতিত-নিপীড়িত শোষিত বঞ্চিত দরিদ্র দুর্বল, তারা উন্নততর নৈতিক চেতনার অধিকারী। এ ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। ধনী-দরিদ্র্য, হিন্দু-মুসলমান, বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান, এশীয়-ইউরোপীয়, সাদা-কালো-পীত নির্বিশেষে সকলেরই নৈতিক চেতনাকে বিকশিত ও সমৃদ্ধ করতে হয় সজ্ঞান, সচেতন, কষ্টসাধ্য অনুশীলনের মধ্যদিয়ে-বহু জটিল সমস্যার মোকাবিলা করে প্রতিদিনের কাজের মধ্যদিয়ে। নৈতিক অনুশীলনের কর্মানিরপেক্ষ কোনো উপায় নেই।
শোষিত-বঞ্চিত-নির্জিত-যুক্তিকামী মানুষ জয়ী সংগ্রামে দীর্ঘস্থায়ী ও স্থায়ী বিজয় অর্জন করতে চায় তাহলে উন্নততর নৈতিক অনুশীলন তাদের জন্য অপরিহার্য।
===========================
খবর- গণতান্ত্রিক সব শক্তির সঙ্গে কাজ করতে চাই: সু চি  ফিচার- ‘নিজের কথা : বেঁচে আছি' by হুমায়ূন আহমেদ  কবিতা- সাম্প্রতিক সময়ের কিছু কবিতা  আলোচনা- 'মোস্লেম ভারত' পত্রিকায় চর্চিত মুসলিম ধর্ম- দর্শনের স্বরূপ  ইতিহাস- 'চারশ' বছরের ঢাকা লোক ঐতিহ্যের দশ-দিগন্ত' by আনিস আহমেদ  গল্পালোচনা- 'মৃত্যুর মুশায়রা' by সেলিনা হোসেন  গল্প- 'বৃষ্টি নেমেছিল' by ইমদাদুল হক মিলন  গল্প- 'সড়ক নভেল' by হাসনাত আবদুল হাই  গল্প- 'জানালার বাইরে' by অরহ্যান পামুক  স্মৃতি ও গল্প- 'কবির অভিষেক' by মহাদেব সাহা  ইতিহাস- 'ভাওয়ালগড়ের ষড়যন্ত্র' by তারিক হাসান  আলোচনা- 'বুদ্ধিজীবীদের ভূমিকা' by বেলাল চৌধুরী  আলোচনা- 'শিল্প সৃষ্টি ও নান্দনিকতা' by আহমদ রফিক  আলোচনা- ''স্বর্ণকণা শোভে শত শত' মদির গন্ধভরা কণ্টকফল by মুহম্মদ সবুর  বিশেষ রচনা :ওমর খৈয়াম by ড. শামসুল আলম সাঈদ  নাটক- 'বিম্বিত স্বপ্নের বুদ্বুদ' by মোজাম্মেল হক নিয়োগী  গল্প- 'জয়া তোমাকে একটি কথা বলবো' by জাহিদুল হক  গল্প- 'নতুন বন্ধু' by আশরাফুল আলম পিনটু  গল্প- 'টপকে গেল টাপ্পু' by ঝর্ণা দাশ পুরকায়স্থ  গল্প- 'নাচে বানু নাচায়রে' by আতা সরকার  গল্প- 'রূপকথার মতো' by নাসির আহমেদ
 

দৈনিক ইত্তেফাক এর সৌজন্য
লেখকঃ আবুল কাসেম ফজলুল হক
সমাজচিন্তক, অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়


এই আলোচনা'টি পড়া হয়েছে...
free counters

No comments

Powered by Blogger.