নীতিনির্ধারণী গবেষণা-সহায়তার জন্য দেশের দুটি সংস্থা মনোনীত

থিঙ্ক ট্যাঙ্ক ইনিশিয়েটিভ (টিটিআই) দক্ষিণ এশিয়ার ১৬টি থিঙ্ক ট্যাঙ্ক অথবা স্বাধীনভাবে পরিচালিত নীতি গবেষণা প্রতিষ্ঠানকে সহায়তা দেওয়ার জন্য নির্বাচিত করেছে। যাতে এসব প্রতিষ্ঠান তাদের কার্যক্রম জোরদার করার মাধ্যমে জাতীয় পর্যায়ে নীতিনির্ধারণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
সহায়তা পাওয়ার জন্য মনোনীত প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের দুটি থিঙ্ক ট্যাঙ্ক বা গবেষণা প্রতিষ্ঠান যথাক্রমে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) এবং ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ইনস্টিটিউট অব গভর্নেন্স স্টাডিজও (আইজিএস) রয়েছে।
এ ব্যাপারে থিঙ্ক ট্যাঙ্ক ইনিশিয়েটিভ (টিটিআই) দক্ষিণ এশিয়ার থিঙ্ক ট্যাঙ্ক বা গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে জাতীয়, সামাজিক ও অর্থনৈতিক ইস্যুর ওপর ১৫০টিরও বেশি ব্যাপকভিত্তিক প্রস্তাব পেয়েছে। যথাযথভাবে এসব প্রস্তাব পর্যালোচনার করে বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার ১৬টি থিঙ্ক ট্যাঙ্ক বা গবেষণা প্রতিষ্ঠানকে সহায়তা দেওয়ার জন্য মনোনীত করা হয়। এতে বাংলাদেশের দুটি প্রতিষ্ঠান স্থান পায়। গতকাল সোমবার সিপিডির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
নির্বাচিত প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের ক্যাপাসিটি বিল্ডিং বা সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য দীর্ঘ মেয়াদে টিটিআইয়ের আওতায় সহায়তা পাবে।
ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট রিসার্চ সেন্টার (আইডিআরসি), দ্য উইলিয়াম অ্যান্ড ফ্লোরা হিউলেট ফাউন্ডেশন এবং দ্য বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন ২০০৮ সালে থিঙ্ক ট্যাঙ্ক ইনিশিয়েটিভ (টিটিআই) প্রতিষ্ঠা করে। দক্ষিণ এশিয়া, ল্যাটিন আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্য এবং পূর্ব ও পশ্চিম আফ্রিকার স্থানীয় থিঙ্ক ট্যাঙ্ক বা গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোকে সহায়তা করার লক্ষ্যে এটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। যাতে এসব প্রতিষ্ঠান উচ্চমানসম্পন্ন গবেষণা কার্যক্রম চালিয়ে নীতিমালার উন্নয়নের মাধ্যমে ন্যায়বিচারভিত্তিক ও সমৃদ্ধ সমাজ গঠনে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।
টিটিআইয়ের প্রাথমিক তিন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে পরবর্তী সময়ে তহবিলের জোগানদার তথা অর্থায়নকারী হিসেবে আরও দুটি দাতা সংস্থা যোগ দেয়। সংস্থা দুটি হলো, যুক্তরাজ্য সরকারের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন বিভাগ (ডিএফআইডি) ও নেদারল্যান্ডস ডিরেক্টোরেট জেনারেল ফর ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন (ডিজিআইএস)।

No comments

Powered by Blogger.