জরিপে গোললাইন প্রযুক্তির পক্ষে মত

বিশ্বকাপের গুরুত্বপূর্ণ সব খেলার মোড় ঘুরে যাচ্ছে রেফারির ভুলে। ইংল্যান্ড-জার্মানি ম্যাচে ফ্রাঙ্ক ল্যাম্পার্ডের শট গোলপোস্টে লেগে গোললাইন অতিক্রম করলেও এটাকে গোলের স্বীকৃতি দেন নি রেফারি। ৪-১ গোলে হেরে যাওয়ার বড় কারণ হিসেবে এখন এই গোল না পাওয়াকে দায়ী করছেন অনেকেই। আর্জেন্টিনা-মেক্সিকো ম্যাচে কার্লোস তেভেজ আর্জেন্টিনার পক্ষে প্রথম গোলটি করেন পুরোপুরি অফসাইড থেকে। এ নিয়ে শোরগোলও কম হচ্ছে না। এসব বিতর্ক এড়াতে ক্রিকেট-টেনিসের মতো ফুটবলেও কেন প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু হবে না- এই প্রশ্ন এখন বেশ জোরেসোরেই উঠেছে। একসময় বিরোধিতা করলেও এখন গোললাইন প্রযুক্তি চালু করার পক্ষে মত দিচ্ছেন অনেকেই। সম্প্রতি নিউ ইয়র্ক ভিত্তিক কোম্পানি নিলসেন গোললাইন প্রযুক্তি চালু করা হবে কি না- এ নিয়ে একটি জরিপ চালায়। ৫৫ টি দেশের ২৭,০০০ মানুষের ওপর পরিচালিত এ গবেষণায় দেখা যায় , দুই-তৃতীয়াংশ মানুষই চায় ফুটবলে গোললাইন প্রযুক্তি চালু হোক। ফুটবলে প্রযুক্তি চালুর ব্যাপারে সবচেয়ে বেশি সমর্থন পাওয়া গেছে লাতিন দেশগুলোতে। সেখানকার ৭৯ শতাংশ মানুষই এর পক্ষে মত দিয়েছেন।

গোললাইন প্রযুক্তির পক্ষে সবচয়ে বেশি সোচ্চার আয়ারল্যান্ডের জনগণ। রেফারির চোখ এড়িয়ে যাওয়া এক ভুলেই বিশ্বকাপ খেলা হয়নি তাদের। বাছাইপর্বের প্লে-অফ ম্যাচে থিয়েরি অঁরির হাত দিয়ে করা এক গোলেই কপাল পুড়েছিল আইরিশ দলের। সেই ক্ষোভ এখনো কমেনি আয়ারল্যান্ডের মানুষের।
ফিফা সভাপতি সেপ ব্ল্যাটারের প্রথমদিকে গোললাইন প্রযুক্তি নিয়ে নির্লিপ্ত থাকলেও এবারের বিশ্বকাপে রেফারিদের ভুল দেখতে দেখতে বিব্রত ফিফা সভাপতিও ঘোষণা দিয়েছেন, গোললাইন প্রযুক্তি নিয়ে নতুন করে ভাবার।
ফিফা সভাপতি নিজেই জানিয়েছেন, গোললাইন প্রযুক্তি নিয়ে বিশ্বকাপের পরপরই নতুন করে চিন্তা-ভাবনা শুরু করবে বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা।

No comments

Powered by Blogger.