সামরিক বাহিনীর প্রধান নিয়োগে হস্তক্ষেপ করছেন ক্যামেরন

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন সে দেশের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধানের পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার নেওয়ার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন। যুক্তরাজ্যের ইতিহাসে প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধানের পদে নিয়োগে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের এ ঘটনা হবে নজিরবিহীন। যুক্তরাজ্যে সাধারণত প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর মধ্যে পরামর্শের ভিত্তিতে এ পদে নিয়োগ দেওয়া হয়।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী লিয়াম ফক্স গত সপ্তাহে সানডে টাইমস-এ দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, মেয়াদ শেষ হওয়ার কমপক্ষে ছয় মাস আগে আগামী শরতে পদত্যাগ করবেন সামরিক বাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল স্যার জক স্টিরাপ। তিনি বলেন, এ পদে সবচেয়ে ভালো ও যোগ্য কর্মীকে তিনি দেখতে চান। আফগানিস্তানে ব্রিটিশ সেনাদের যথাযথ সহায়তা না দেওয়ায় স্টিরাপ কড়া সমালোচিত হন।
প্রতিরক্ষামন্ত্রীর এ বক্তব্যের পর প্রধানমন্ত্রী ক্যামেরন সশস্ত্র বাহিনীর প্রধানের পদে ইচ্ছুক প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার নেওয়ার পরিকল্পনার কথা জানান। তবে এ পদে যিনিই আসুন না কেন তাঁকে আফগান যুদ্ধের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। কেননা আফগান যুদ্ধে গত শুক্রবার পর্যন্ত ব্রিটিশ সেনাদের মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৯৯-তে। এ দিন হেলমান্দ প্রদেশের নাহার ই সারাজে তালেবানের বোমা হামলায় অ্যাশলে স্মিথ নামের একজন ২১ বছর বয়সী সেনা মারা যান।
চার্লস হেইম্যান নামের একজন সাবেক সেনা কর্মকর্তা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর এ হস্তক্ষেপের ফলে এই পদে যোগ্য ব্যক্তির নিয়োগ ঝুঁকির মুখে পড়বে। এমনকি সশস্ত্র বাহিনীর জন্যও তা ভালো হবে না।
প্রধানমন্ত্রী ক্যামেরনের এ হস্তক্ষেপকে প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধানের পদে জেনারেল স্যার নিক হফটনের নিয়োগের জন্য সহায়ক বলে বিবেচনা করা হচ্ছে। সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল স্যার রিচার্ড ড্যানাটের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে পরিচিত নিক হফটন।

No comments

Powered by Blogger.