মোড়কের গায়ে লেখনের শর্ত প্রত্যাহার চায় বিসিসিএএমইএ

দেশের শতভাগ রপ্তানিমুখী প্যাকেজিং ও প্লাস্টিক শিল্পের মৌলিক কাঁচামাল আমদানির ক্ষেত্রে মোড়কের গায়ে ‘বন্ডের আওতায় আমদানিকৃত বিক্রয়যোগ্য নয়’ এ কথাটি লেখার বিধান চালু করা হয়েছে।
কিন্তু বিদেশি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো পণ্যের মোড়কে এ ধরনের কথা লিখে দিতে রাজি নয়। ফলে কাঁচামাল আমদানিকারকেরা বড় ধরনের অসুবিধায় পড়ছেন।
তার পরও প্রস্তাবিত ২০১০-১১ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে এ শর্তটি প্রত্যাহার না করায় হতাশা ব্যক্ত করেছে বাংলাদেশ করোগেটেড কার্টন অ্যান্ড এক্সেসরিজ ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিসিসিএএমইএ)। সমিতি অবিলম্বে দেশীয় রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক, হিমায়িত খাদ্যসহ বিভিন্ন শিল্পের স্বার্থেই প্লাস্টিক ও প্যাকেজিং কাঁচামাল আমদানিতে ‘বন্ডের আওতায় আমদানিকৃত বিক্রয়যোগ্য নয়’ লেখার বাধ্যবাধকতা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে।
গতকাল রোববার ঢাকায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সমিতির নেতারা এসব দাবি জানান। রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে বিসিসিএএমইএর সভাপতি রাফেজ আলম চৌধুরী ও সাবেক সভাপতি শফিউল্লাহ চৌধুরী বক্তব্য দেন।
সমিতি বলেছে, প্রস্তাবিত বাজেটে বাণিজ্যবান্ধব করতে হলে কৃষি ও শিল্পের পাশাপাশি রপ্তানি খাতকে অধিকতর গুরুত্ব প্রদান করতে হবে।
সমিতি দেশের রপ্তানির স্বার্থে প্লাস্টিক শিল্পের কাঁচামাল আমদানির ক্ষেত্রে শতভাগ ব্যাংক গ্যারান্টি প্রদানের শর্ত প্রত্যাহারেরও দাবি জানিয়েছে। একই সঙ্গে শতভাগ রপ্তানিমুখী প্যাকেজিং ও গার্মেন্টস এক্সেসরিজ শিল্পকারখানার বাড়িভাড়ার ওপর ১৫ শতাংশ মূসক প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছে। এ ছাড়া উৎসে আয়করের হার আগেরটা বহাল রাখার অনুরোধ জানিয়েছে।
বিসিসিএএমইএ জানিয়েছে, দেশের তৈরি পোশাক রপ্তানির ক্ষেত্রে দুটি উপাদান কাজ করে থাকে। এর একটি হচ্ছে বস্ত্র এবং অপরটি হচ্ছে প্যাকেজিং ও গার্মেন্টস এক্সেসরিজ। এক্সেসরিজ উপখাত তৈরি পোশাক শিল্পপ্রতিষ্ঠানের পশ্চাদমুখী সংযোগ শিল্প হিসেবে কাজ করে। তাই বৈষম্যমূলক আচরণ পরিহার করে তৈরি পোশাক খাতের ন্যায় এই উপখাতকে প্রণোদনা প্রদান করা উচিত।
সমিতি শতভাগ রপ্তানিমুখী কার্টন ও এক্সেসরিজ খাতের জন্য আমদানিকৃত খুচরা যন্ত্রাংশের আমদানি শুল্ক শূন্য হারে নির্ধারণেরও সুপারিশ করেছে।

No comments

Powered by Blogger.