গোলপোস্টের নিচে ব্রাজিলের তারকা

জাদুকরি প্লে-মেকার আর ভুবন ভোলানো স্ট্রাইকার—ফুটবল বিশ্বে এটাই ব্রাজিলের পরিচিতি। এমন খেলোয়াড় এবারও আছেন—রিয়াল মাদ্রিদ প্লে-মেকার কাকা, সান্তোস ও সেভিয়ার দুই স্ট্রাইকার রবিনহো ও লুইস ফ্যাবিয়ানো। তবে এবার শুধু তাঁরাই নন, ব্রাজিল দলে তারকা এবার দুই গোলরক্ষক হুলিও সিজার আর গোমেজ। ব্রাজিলের বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক হতে পারেন এবার তাঁরাও।
গোলরক্ষকের জন্য ব্রাজিল কখনোই প্রসিদ্ধ নয়। তবে এবার তারা বিশ্বকাপে গেছে অনেকের মতেই বর্তমানে বিশ্বের সেরা গোলরক্ষক ইন্টার মিলানের সিজারকে নিয়ে। তাঁর বিকল্প গোলরক্ষক গোমেজও বলতে গেলে তাঁরই মতো। টটেনহাম হটস্পারের এই গোলরক্ষক হয়েছেন ইংলিশ লিগের এ মৌসুমের সেরা গোলরক্ষক। দলের আরেক গোলরক্ষক দোনিও খেলেন বড় ক্লাবে। সিরি ‘আ’তে এ মৌসুমের দ্বিতীয় দল এএস রোমা তাঁর ঠিকানা। এই তিন গোলরক্ষকের কণ্ঠেই ব্রাজিলকে ষষ্ঠ শিরোপা এনে দেওয়ার প্রত্যয়।
বিশ্বের সেরা কয়েকজন গোলরক্ষকের দেশ ইতালি। সেই দেশেরই ক্লাব ইন্টারে খেলেন সিজার। এ বছর ইন্টার যে শিরোপাত্রয়ী জিতেছে, তাতে তাঁর অবদান অনেক। সেই প্রসঙ্গ টেনেই বিশ্বকাপ সাফল্য প্রত্যাশা সিজারের, ‘আপনি যখন গুরুত্বপূর্ণ চ্যাম্পিয়নশিপ জিতবেন, তখন সেটা নিশ্চয়ই অনেক বড় ব্যাপার। তবে আমার পা মাটিতে রাখতে হবে। গোলরক্ষকের পজিশনটা একটু অন্যরকম। আজ আপনি বিশ্বের সেরা তো কাল বিশ্বের সবচেয়ে বাজে হয়ে যেতে পারেন। তবে আমার একমাত্র লক্ষ্য হচ্ছে বিশ্বকাপ জয়।’ বিশ্বকাপ জয়ের সঙ্গে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকাটাও সিজারের স্বপ্ন, ‘বিশ্বকাপ জয় আমার বড় একটা স্বপ্ন। মানুষ যখন ২০১০ বিশ্বকাপ নিয়ে আলোচনা করবে, তখন আমার নামটিও বলুক, এটাই আমার চাওয়া।’
মৌসুমের শেষের দিকে অসাধারণ খেলেছেন টটেনহাম গোলরক্ষক গোমেজ। দুর্দান্ত কিছু সেভ করে টটেনহামকে প্রথমবারের মতো নিয়ে গেছেন চ্যাম্পিয়নস লিগে। তবে এর পরও নিশ্চিত নয় যে, সিজারের পরের পছন্দ তিনিই হবেন। কোচ কার্লোস দুঙ্গা এখনো ঠিক করে বলেননি যে, দোনি, না গোমেজ হবেন সিজারের বিকল্প। তবু মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন গোমেজ, ‘বিশ্বকাপ দলে আমি ডাক পাব, এটাই স্বপ্নেও ভাবিনি। এখন বিশ্বকাপটা স্মরণীয় করে রাখতে চাই।

No comments

Powered by Blogger.