হাজার হাজার মানুষ ঘরছাড়া

গুয়াতেমালা ও ইকুয়েডরে গত শুক্রবার দুটি আগ্নেয়গিরিতে অগ্ন্যুৎপাত হয়েছে। এতে দেশ দুটির কয়েকটি বড় শহর ছাইমেঘে ঢেকে গেছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত দুজনের প্রাণহানি ঘটেছে। ঘটনাস্থলের আশপাশের এলাকা থেকে হাজার হাজার মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাচ্ছে।
গুয়াতেমালার রাজধানী গুয়াতেমালা সিটি থেকে ৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত পাকায়া আগ্নেয়গিরিতে গত বুধবার প্রথম অগ্ন্যুৎপাত হয়। শুক্রবার আবার নতুন করে উদিগরণ শুরু হয়েছে। প্রেসিডেন্ট আলভারো কলোম আগ্নেয়গিরির আশপাশের এলাকায় ১৫ দিনের জন্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন।
পাকায়া আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে একজন টেলিভিশনকর্মী রয়েছেন। তিনি আগ্নেয়গিরির উদিগরণের খবর সংগ্রহ করতে গিয়েছিলেন।
ইকুয়েডরে তুঙ্গুরাহুয়া আগ্নেয়গিরিতে শুক্রবার অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয়। এতে আশপাশের সাতটি গ্রাম জনশূন্য হয়ে পড়েছে। সবচেয়ে বড় ও ঘনবসতিপূর্ণ শহর গুয়ায়াকুইলের বিমানবন্দর ও সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
গুয়াতেমালার প্রেসিডেন্ট বলেছেন, দুই হাজার ৫৫২ মিটার উঁচু পাকায়া আগ্নেয়গিরির উদিগরণের ফলে ছাই ও ধূলিমেঘের সৃষ্টি হয়েছে। গুয়াতেমালা সিটির লা অরোরা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বিমানবন্দরের রানওয়ে ও আশপাশের এলাকার আকাশ ছাইয়ে ঢেকে গেছে। এই ছাই সরে না যাওয়া পর্যন্ত বিমানবন্দর বন্ধ থাকবে।
প্রেসিডেন্ট কলোম জানান, আগ্নেয়গিরিতে অগ্ন্যুৎপাত ঘটনায় অন্তত ৫৯ জন আহত হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছে তিনটি শিশু। শতাধিক বাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে। গুয়াতেমালার জরুরি ব্যবস্থাপনা বিভাগের সমন্বয়ক জানান, আগ্নেয়গিরির আশপাশের এলাকা থেকে এক হাজার ৭০০ থেকে এক হাজার ৯০০ মানুষকে পার্শ্ববর্তী আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় সব শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেছেন।
ইকুয়েডরে তুঙ্গুরাহুয়া আগ্নেয়গিরির ইতিহাসে অন্যতম বড় অগ্ন্যুৎপাত ঘটেছে শুক্রবার। এদিন ব্যাপক আকারে ছাই ও লাভায় উদিগরণ হয়। আতঙ্কে আশপাশের সাতটি গ্রাম থেকে লোকজন নিরাপদ আশ্রয়ে চলে গেছে।
ইকুয়েডরের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের আঞ্চলিক সমন্বয়ক ইউরি ডি জ্যানোন বলেছেন, বিপর্যয় এড়াতে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.