আর্থসামাজিকভাবে নারীর সম-অধিকার অপরিহার্য

আর্থসামাজিকভাবে নারীর সম-অধিকার অপরিহার্য। কন্যাশিশু ও নারীরা দারিদ্র্য ও অবিচার থেকে যত দিন মুক্তি না পাবে, তত দিন আমাদের শান্তি, নিরাপত্তা ও টেকসই উন্নয়ন অর্জনের লক্ষ্য ঝুঁকির মধ্যে থাকবে। আন্তর্জাতিক নারী দিবস, ২০১০ উপলক্ষে দেওয়া এক বার্তায় জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন এ কথা বলেন।
মুন বলেন, সবার জন্য সম-অধিকার ও মর্যাদা অর্জনে জাতিসংঘের বৈশ্বিক কর্মসূচির মূল বিষয় হচ্ছে লৈঙ্গিক সমতা ও নারীর ক্ষমতায়ন। তিনি বলেন, কন্যাশিশু ও নারীর জন্য সমতা অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবেও অপরিহার্য।
১৫ বছর আগে চতুর্থ বিশ্ব নারী সম্মেলনে সরকারগুলো বিশ্বের সব জায়গার সব নারীর জন্য সমতা, উন্নয়ন ও শান্তি—এই লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। সেদিনের বেইজিং ঘোষণা ছিল একটি মাইলফলক। এর প্রভাব ছিল গভীর ও ব্যাপক-বিস্তৃত; যা নীতিমালা প্রণয়নে সরকারগুলোকে পথ প্রদর্শন করেছে এবং নতুন জাতীয় আইন তৈরিতে উদ্বুদ্ধ করেছে।
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, অগ্রগতির অনেক উদাহরণ রয়েছে। অধিকাংশ কন্যাশিশু এখন শিক্ষার সুযোগ পাচ্ছে; বিশেষ করে প্রাথমিক পর্যায়ে। তিনি বলেন, তা সত্ত্বেও অনেক কাজ এখনো বাকি রয়ে গেছে। মাতৃমৃত্যুর হার এখনো অগ্রহণযোগ্য উচ্চমাত্রায় রয়ে গেছে। নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা এখনো বৈশ্বিক লজ্জার কারণ; বিশেষ করে সহিংসতার সময় নারীর ওপর যৌন সহিংসতা ভয়াবহ পর্যায়ে রয়েছে। এ বিষয়ে গত বছর জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ দুটি জোরালো প্রস্তাব গ্রহণ করেছে। ওই অপরাধ মোকাবিলায় বিশ্ব সম্প্রদায়কে একত্র করার জন্য একজন বিশেষ দূত নিয়োগ করা হয়েছে।
বান কি মুন বলেন, ‘জাতিসংঘকে অবশ্যই উদাহরণ সৃষ্টির মাধ্যমে নেতৃত্ব দিতে হবে। আমাদের শান্তিরক্ষী বাহিনীতে আরও নারী সেনা ও পুলিশ কর্মকর্তা নিয়োগের জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’

No comments

Powered by Blogger.