দালাই লামার উত্তরসূরি নির্বাচনে চীনের হস্তক্ষেপ পরিস্থিতি বিরূপ করবে

দালাই লামার জন্মস্থানের আশপাশে বসবাস করা তিব্বতিদের মনে এখন ঘুরেফিরে একটাই প্রশ্ন—নির্বাসিত বয়োবৃদ্ধ আত্মাধিক নেতা দালাই লামা মারা যাওয়ার পর কে হবেন তাঁর যোগ্য উত্তরসূরি?
বেশির ভাগ তিব্বতি যে কথা ভেবে শঙ্কিত এবং যে আশঙ্কা খুবই বেশি তা হচ্ছে, বেইজিংয়ের কমিউনিস্ট সরকার তাদের পছন্দের একজনকেই ওই পদে বসিয়ে দেবে, প্রথা ও ধর্মীয় ভাবধারাকে আড়াল করে।
দালাই লামা মারা যাওয়ার পর তিব্বতের ভেতরে ও বাইরে রাজনৈতিক পরিস্থিতি কী হবে, তা নিয়ে তীব্র বাগিবতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ার একটি ক্ষীণ আশঙ্কা রয়েই গেছে।
চীন যদি একতরফাভাবে পরবর্তী দালাই লামা নিয়োগ করে, তাহলে দেশজুড়ে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেবে বলে অনেক তিব্বতি মনে করে।
১৯৯৫ সালে দালাই লামা তাঁর পছন্দ অনুযায়ী একজন উত্তরসূরি নিয়োগ করেন। এর পরই চীন ওই উত্তরসূরির প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে তিব্বতি বৌদ্ধদের দ্বিতীয় ধর্মগুরু প্রয়াত দশম পানচেন লামার উত্তরসূরির নাম ঘোষণা দেয়।
উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ কিনঘাইয়ের তিব্বতি অঞ্চল টংগ্রেনের বৌদ্ধ ভিক্ষু জিগমে বলেন, ‘আমরা মনে করি পানচেন লামার মতো চীন তার নিজের পছন্দের দালাই লামারও নিয়োগ দেওয়ার চেষ্টা করবে। যদি এটা হয়, তবে আমরা এর প্রতিবাদ করব।’

No comments

Powered by Blogger.