সামরিক একনায়কত্বের দিকে যাচ্ছে ইরান: হিলারি

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন বলেছেন, ইরান সামরিক একনায়কত্বের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বলে তাঁর আশঙ্কা। ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী পরিচালিত প্রতিষ্ঠানগুলো সরকারের জায়গা কবজা করে নিচ্ছে। গতকাল সোমবার কাতারের দোহায় শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।
যুক্তরাষ্ট্র ইরানের বিরুদ্ধে হামলার পরিকল্পনা করছে কি না—এক শ্রোতার এমন প্রশ্নের জবাবে হিলারি ক্লিনটন বলেন, না। তিনি আরও বলেন, ইরানের পরমাণু উচ্চাকাঙ্ক্ষা নিয়ন্ত্রণে দেশটির বিরুদ্ধে সামরিক শক্তি প্রয়োগের চেষ্টা করছে না যুক্তরাষ্ট্র। তার বদলে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক চাপ প্রয়োগ করতে চায় তাঁর দেশ।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, বিশেষত ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর নিয়ন্ত্রণাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোকে লক্ষ্য করে ওই ধরনের চাপ প্রয়োগ করা হবে। তাঁদের বিশ্বাস ওই প্রতিষ্ঠানগুলো কার্যত ইরানি সরকারের কর্তৃত্বের দখল নিচ্ছে।
কার্নেগি-মেলন বিশ্ববিদ্যালয়ের দোহা ক্যাম্পাসে আরব ছাত্রদের উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে হিলারি ক্লিনটন আরও বলেন, ‘আমরা দেখছি ইরান সরকার, তাদের সর্বোচ্চ নেতা, প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট—সবই দখলে চলে যাচ্ছে এবং ইরান সামরিক একনায়কতন্ত্রের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
গত রোববার রাতে ইউএস ইসলামিক ওয়ার্ল্ড ফোরামে হিলারি ক্লিনটন বলেন, ‘আমি আশঙ্কা করছি, বিপ্লবী গার্ডের শক্তি ও প্রভাব বৃদ্ধি সবার প্রতি একেবারে সরাসরি হুমকি সৃষ্টি করছে।’
গত সপ্তাহে বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর ওপর নতুন দফা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। ছাত্রদের উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ অঞ্চলের নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় ইরান ও তার অভিপ্রায় সম্পর্কে গভীর উদ্বেগের বিষয়টি বেরিয়ে এসেছে। তিনি বলেন, তাঁরা ইরানের উদ্দেশ্য সম্পর্কে উদ্বিগ্ন। ইরান ভালো প্রতিবেশী হতে পারবে কি না, এ নিয়েও তাঁরা সন্দিহান।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মানুষের উদ্বিগ্ন হওয়ার মতো কারণ রয়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে, প্রতিবেশীদের উদ্বেগ নিরসনে ইরান কী করতে পারে। এবং এ পর্যন্ত এ ক্ষেত্রে যথেষ্ট অগ্রগতি দেখা যায়নি।
হিলারি বলেন, ‘চলতি বছর ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে অর্থপূর্ণ আলোচনা শুরু হতে পারে। আমি আশাবাদী যে চলতি বছর দুই পক্ষের মধ্যে অর্থপূর্ণ আলোচনা শুরু হতে দেখব আমরা।’
হিলারি ক্লিনটনের উদ্দেশে এক শ্রোতার প্রশ্ন ছিল, ইরাকের যদি কোনো তেলসম্পদ না থাকে, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র ইরাকে অবস্থান করবে কি না? জবাবে তিনি বলেন, ইরাকের প্রাকৃতিক সম্পদের কথা বিবেচনা না করেই দেশটির সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্ক চায় যুক্তরাষ্ট্র।

No comments

Powered by Blogger.