ব্রোঞ্জ জিততে পারলেই খুশি থাকবে ভলিবল

রেকর্ড বলছে, ১৯৮৭ কলকাতা গেমসে ঢোকার পর থেকে ভলিবলে মাত্র তিনবার ব্রোঞ্জ জিতছে বাংলাদেশ। বাকি পাঁচবার চতুর্থ, যার শেষ দুটি গত দুবার। কাজেই এবার যতই দীর্ঘ মেয়াদে প্রশিক্ষণ আর ঘরের মাঠে খেলা হোক, একাদশ দক্ষিণ এশীয় গেমসে ব্রোঞ্জ পুনরুদ্ধারই বড় চ্যালেঞ্জ ভলিবলের।
আকাঙ্ক্ষা এর চেয়ে বেশি থাকলেও ব্রোঞ্জেই নিজেদের লক্ষ্যটাকে বেঁধে রাখছে ভলিবল দল। আনুষ্ঠানিকভাবে তা কাল জানানো হলো গেমসের দল ঘোষণার শেষ দিনে। বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন ভবনে এ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে খেলোয়াড়, কোচ, কর্মকর্তা—সবার মধ্যেই ছিল ব্রোঞ্জ ফিরে পাওয়ার প্রত্যয়।
১২ জনের ভলিবল দলে নতুন খেলোয়াড় চারজন—সুদর্শন চৌধুরী, হুমায়ুন কবির, মাসুদ মিয়া ও মনির হোসেন। দু-তিনজন আছেন, যাঁদের আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা খুবই কম। প্রায় নতুন একটা দল, তবে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে এবার বেশ উজ্জীবিত ‘ভলিবল পরিবার’।
টানা তৃতীয় দক্ষিণ এশীয় গেমস খেলার অপেক্ষায় থাকা অধিনায়ক মামুন শেখের চোখে দলটির শক্তি বেড়েছে, ‘এবার প্রস্তুতি ভালো। টেকনিক, ট্যাকটিকসে আমাদের অনেক উন্নতি হয়েছে।’ তবে ভারত-পাকিস্তানের খেলোয়াড়দের গড় উচ্চতা যেখানে ছয় ফুট তিন-চার ইঞ্চি, সেখানে বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের ছয় ফুট থেকে ছয় ফুট এক ইঞ্চি। মামুন বললেন, ‘এটা বড় একটা ঘাটতি।’
প্রধান কোচ ইয়াদ আলী বলছেন, ‘ভারতকে হারানো সম্ভব নয়, পাকিস্তানও অনেকটা এগিয়ে। শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েই আগে ব্রোঞ্জ জিতেছি। এবারও তারাই আমাদের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী। তবে চেষ্টা থাকবে আরও ভালো করার।’
প্রস্তুতি কেমন হলো সেটি ঝালাই করে নিতে সম্প্রতি মিয়ানমারে গেছে ভলিবল দল। এশীয় র্যাঙ্কিংয়ে ১০ নম্বরে থাকা মিয়ানমারের কাছে ৪ ম্যাচ হারলেও একটি ম্যাচ জিতেছে বাংলাদেশ। যা ফলাও করে স্থানীয় কাগজে ছাপা হয়েছে। ওটার কপি সাংবাদিকদের হাতে দিয়ে ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমানের আশাবাদ, ‘মিয়ানমারে খুব ভালো খেলেছে দল। ব্রোঞ্জ এবার ফিরে পাব ইনশাআল্লাহ।’

No comments

Powered by Blogger.