তিন দিনেই জিতল ঢাকা-রাজশাহী

তিন অঙ্ক থেকে ৬ রান দূরে ছিলেন আগের দিন। কাল বিকেএসপিতে সেঞ্চুরি তো পেয়েছেনই, ১৫৯ রানে থেমেছেন ফরহাদ হোসেন। তাঁর দুর্দান্ত এই সেঞ্চুরির কল্যাণে জাতীয় লিগের দ্বিতীয় রাউন্ডেও জিতল রাজশাহী। চট্টগ্রামের বিপক্ষে তাদের জয়টা ইনিংস ও ১৩১ রানের ব্যবধানে।
এদিকে আসিফ আহমেদের সেঞ্চুরিতেও শেষ রক্ষা হয়নি বরিশালের। তাদের ১০ উইকেটে হারিয়ে ম্যাচের তৃতীয় দিনেই জয় তুলে নিল ঢাকা। এটা তাদের টানা দ্বিতীয় জয়।
সিলেটের বিপক্ষে খুলনার ম্যাচটি গড়িয়েছে চতুর্থ দিনে। দ্বিতীয় ইনিংসেও হাফ সেঞ্চুরি করেছেন খুলনা অধিনায়ক হাবিবুল বাশার (৫৭)। তারপরও দিন শেষে চাপে খুলনা। ৮ উইকেট হারিয়ে তারা তুলেছে ১৮৮ রান।
বিকেএসপিতে আগের দিন অপরাজিত ছিলেন ৯৪ রানে; কাল ফরহাদ আউট হয়েছেন ১৫৯ রানে, যার মধ্যে চার ১৭টি, বল খেলেছেন ২৮৩টি। তাঁর সঙ্গে জুবায়েরের ৮৯ মিলে গড়া ৪২৪ রানের পাহাড়ের নিচে চাপা পড়ে যায় চট্টগ্রাম। প্রথম ইনিংসে ১৮৪ রানে অলআউট হওয়া চট্টগ্রামের দ্বিতীয় ইনিংস শেষ হয় ১০৯ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসেও চট্টগ্রামকে ধসিয়ে দেওয়ায় ভূমিকা রেখেছেন সাকলাইন সজীব, ৪ উইকেট নিয়েছেন তিনি। তবে আরেক বাঁহাতি স্পিনার সোহরাওয়ার্দী নিয়েছেন ৫ উইকেট। চট্টগ্রামের ফয়সাল করেছেন সর্বোচ্চ ৩৪ রান। ম্যাচসেরা সাকলাইন সজীব। খুলনায় আগের দিনের ১৭৫ রানের সঙ্গে বরিশাল দ্বিতীয় ইনিংসে যোগ করে আর ৭৫ রান। আগের দিনে ৮৬ রানে অপরাজিত থাকা আসিফ লিগে পেয়ে যান নিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। ১৯৩ বলে ১৫টি চারে সাজানো তাঁর ১২১ রানের ইনিংস। তবে এই সেঞ্চুরিও নিষ্ফলা গেছে। ৭৪.২ ওভারে বরিশাল অলআউট হয়ে যায় ২৫০ রানে। জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ৪৫ রান বিনা উইকেটেই তুলে নেয় ঢাকা। ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছেন ঢাকার পেসার মোহাম্মদ শরীফ।
বগুড়ায় আগের দিনের ২২৭ রানের সঙ্গে ৪৫ রান যোগ করতেই বাকি ৬ উইকেট হারায় সিলেট, অলআউট তারা ২৭২ রানে। রাজ্জাক ৯১ রানে নেন ৪ উইকেট। বল হাতে উজ্জ্বল রাজ্জাক ব্যাট হাতেও ঔজ্জ্বল্য ছড়িয়েছেন। ৭৮ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলা খুলনাকে দুই শর কাছাকাছি যেতে দারুণ ভূমিকা রেখেছেন এই স্পিনার। ৫৮ রানে ব্যাট করছেন তিনি। তাপস ৩টি, নাজমুল ২টি, নাবিল সামাদ, গোলাম রহমান ও সাজু দত্ত নিয়েছেন ১টি করে উইকেট।

No comments

Powered by Blogger.