ট্রাম্পের অভিবাসন নীতি, নাগরিকত্ব পাওয়া অভিবাসীরাও শঙ্কিত
বার্তা সংস্থা এপির এক খবরে বলা হয়েছে, সিয়েরা লিওনের গৃহযুদ্ধ থেকে পালিয়ে দাউদা সিসে যখন যুক্তরাষ্ট্রে আসেন তখন তাকে নাগরিকত্বের ভিত্তিতে সুরক্ষার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়। দীর্ঘদিন আশ্রয়কেন্দ্রে অতিবাহিত করা সিসের কিভাবে নাগরিক হতে হয় সে বিষয়ে কোনো ধারণাই ছিলনা। তাকে বলা হয় তিনি নাগরিক হলে তিনি নিরাপদ থাকবেন এবং ভোটের অধিকার পাবেন। সেই প্রতিশ্রুতির ভিত্তিতেই তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হন। সিসে বলেন, তাকে দেয়া প্রতিশ্রুতির ভিত্তিতেই তিনি নাগরিক হন। তবে যেই নাগরিকত্বকে একসময় তিনি সুরক্ষার মূল প্রতীক হিসেবে দেখেছিলেন তা এখন অস্থিতিশীলতার পাহাড়ে পরিণত হয়েছে।
বহু বছর আগে নাগরিকত্ব পাওয়া অভিবাসীদের অনেকেই এখন দেশ ত্যাগ নিয়ে উদ্বিগ্ন। একবার দেশ ছাড়লে পুনরায় ফিরে আসতে পারবেন কিনা সেই ভয় তাদের তাড়া করে বেড়াচ্ছে। যেখানে সেখানে তাদের ফোনগুলো চেক করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই বহু আমেরিকান নাগরিকদের অভিবাসী হিসেবে আটক করা হয়েছে। পরিবারের কাছে সন্তানদের জন্ম সনদ থাকা সত্ত্বেও তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গত গ্রীষ্মে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের একটি স্মারকলিপি প্রকাশিত হয়। যেখানে বলা হয়েছে, যারা অপরাধ করেছেন অথবা জাতীয় নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারেন, তাদের নাগরিকত্ব বাতিলের জন্য পদক্ষেপ বাড়ানো হবে। এক পর্যায়ে ট্রাম্প নিউইয়র্ক সিটির নির্বাচিত মেয়র জোহরান মামদানির নাগরিকত্ব বাতিল করার হুমকি দিয়েছিলেন। অথচ মামদানি শিশু অবস্থাতেই নাগরিকত্ব পেয়েছিলেন। এমন পরিস্থিতিতে অনেকেই শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। কারণ তারা মনে করছেন এতে তাদের ওপর নেতিবাচক সিদ্ধান্ত চাপাতে পারে।

No comments