ইন্দোনেশিয়ায় স্কুলের ভবন ধস, ধ্বংসস্তূপের নিচে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে ৯১ শিক্ষার্থী

ভবন ধসে মর্মান্তিক দুর্ঘটনার সাক্ষি হলো ইন্দোনেশিয়া। দেশটির একটি ইসলামিক স্কুলের ভবন ধসে পড়ে ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়েছে ৯১ জন শিক্ষার্থী। মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনার দুইদিন পরও তাদের উদ্ধারে হিমশিম খাচ্ছে উদ্ধারকর্মীরা। স্কুলের উপস্থিতি নথি পর্যালোচনা করে নিখোঁজ শিক্ষার্থীদের বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছে কর্তৃপক্ষ। এ খবর দিয়েছে অনলাইন এনডিটিভি।

এতে বলা হয়, জাভা প্রদেশে অবস্থিত শতবর্ষ পুরোনো আল খোঁজিনি ইসলামিক বোর্ডিং স্কুলের একটি প্রার্থনা হল ভেঙে পড়লে ওই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। ভবনটি যখন ধসে পড়ে তখন কিশোর বয়সী শত শত ছেলে শিক্ষার্থী সেখানে দুপুরের নামাজ পড়ছিল। জানা গেছে, ভবনটিতে অনুমোদনহীন সম্প্রসারণের কাজ চলছিল।

উদ্ধার কাজে যুক্ত হয়েছেন তিন শতাধিক উদ্ধারকর্মী। তারা মরিয়া হয়ে ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে আটকে পড়া শিক্ষার্থীদের উদ্ধারের কাজ করছেন। এই ঘটনায় এ পর্যন্ত কমপক্ষে তিন শিক্ষার্থীর মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে এবং শতাধিক আহত হয়েছেন। আহতদের অনেকের মাথায় আঘাত পেয়েছে।
ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা মঙ্গলবার রাতে ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়া মানুষের সংখ্যা ৩৮ থেকে সংশোধন করে ৯১ জন বলে জানিয়েছে। সংস্থাটি জানিয়েছে, কমপক্ষে ছয়জন শিশু এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে জীবিত আছে, তবে কংক্রিটের স্ল্যাব এবং ভবনের অন্যান্য ভারী ও নাজুক অংশের কারণে উদ্ধারকাজ কঠিন হয়ে পড়েছে। ভারী সরঞ্জাম প্রস্তুত থাকলেও সেগুলো ব্যবহার করা যাচ্ছে না। কারণ তাতে আরও ধস সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে।

উদ্ধারকর্মীরা সংকীর্ণ ফাঁক দিয়ে এখনো আটকে পড়া শিক্ষার্থীদের কাছে অক্সিজেন, পানি এবং খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন যাতে তারা বেঁচে থাকতে পারে। আটকে পড়া শিক্ষার্থীরা বেশিরভাগই দ্বাদশ থেকে সপ্তম শ্রেণির ছাত্র। যাদের বয়স ১২ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রার্থনা হলটি আগে দুই তলা ছিল, কিন্তু অনুমতি ছাড়াই আরও দুটি তলা যোগ করা হচ্ছিল। পুলিশের মতে, সম্ভবত পুরাতন ভবনের ভিত্তি আরও দুটি ফ্লোরের ভার বহন করতে পারেনি এবং কংক্রিট ঢালার সময় এটি ধসে পড়ে।

mzamin

No comments

Powered by Blogger.