ট্রাম্পের ‘শান্তি’ প্রস্তাবে অস্পষ্ট থাকল স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র
হোয়াইট হাউসে গত সোমবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠক করেন ট্রাম্প। এরপর নেতানিয়াহুকে পাশে নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে গাজা যুদ্ধ বন্ধের জন্য ২০ দফা প্রস্তাব তুলে ধরেন তিনি। এতে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় ‘অস্পষ্টতা’ এবং প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নপ্রক্রিয়া নিয়ে বিস্তারিত না থাকায় এ পরিকল্পনা ভেস্তে যেতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
গাজার শাসকগোষ্ঠী হামাস ট্রাম্পের প্রস্তাব নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি। যদিও ট্রাম্প তাঁর প্রস্তাবের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে তিন থেকে চার দিনের সময় বেঁধে দিয়েছেন। না হলে হামাসের চরম পরিণতি হবে বলে হুমকি দিয়েছেন তিনি।
এদিকে ট্রাম্পের ‘শান্তি’ প্রস্তাবের পরও গাজায় নির্বিচার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। গাজায় প্রতি মিনিটে বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। গতকাল হামলায় ৪২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
প্রস্তাবে অস্পষ্টতা
আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রাম্পের ২০ দফা প্রস্তাবে শর্ত সাপেক্ষে এবং অস্পষ্টভাবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনার কথা বলা হয়েছে। পরিকল্পনা ঘোষণার সময় ট্রাম্প বলেন, ‘কয়েকটি মিত্রদেশ “বোকার মতো” ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছে…তারা সত্যিই এটা করেছে। কারণ, আমি মনে করি যা ঘটছে, তাতে তারা ভীষণ ক্লান্ত হয়ে পড়েছে।’
এ ক্ষেত্রে প্রস্তাবে গাজার উন্নয়ন এবং ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের (পিএ) ‘সংস্কার’কে শর্ত হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে। এমনকি তারপরও একটি ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের আলোচনা শুরু ‘হতে পারে’ কিনা নিশ্চিত নয়।
স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র নিয়ে অস্পষ্টতার বিষয়টি নেতানিয়াহুর বক্তব্যেও এসেছে। দ্য গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়, নেতানিয়াহু তাঁর টেলিগ্রাম চ্যানেলে বলেছেন, সোমবার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। তখন নেতানিয়াহুর কাছে জানতে চাওয়া হয়, ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের বিষয়ে তিনি একমত হয়েছেন কি না। জবাবে তিনি বলেন, ‘না, কোনোভাবেই নয়।’ তিনি বলেন, ট্রাম্পের দেওয়া ২০ দফা প্রস্তাবে এ ধরনের কিছু নেই।
স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের বিষয়ে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিষয়টি অস্পষ্টভাবে রয়েছে।
বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, নেতানিয়াহুর সাংঘর্ষিক বক্তব্য এবং তাঁর সরকারে অতি রক্ষণশীল শরিকদের অবস্থানের কারণে ট্রাম্পের পরিকল্পনা নিয়ে সামনে এগোনো কঠিন হবে। আর শেষ পর্যন্ত হামাস অতীতের মতো ‘মেনে নিয়েছি, তবে কথা আছে’—এ ধরনের জবাব দিলে ট্রাম্পের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন সম্ভব হবে না।
ট্রাম্পের পরিকল্পনায় বলা হয়েছে, যদি উভয় পক্ষ (ইসরায়েল ও হামাস) প্রস্তাব মেনে নেয়, তবে যুদ্ধ মুহূর্তেই থেমে যাবে। গাজায় আটক সব জীবিত ও মৃত জিম্মিকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ফিরিয়ে দেওয়া হবে আর ইসরায়েলে থাকা ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তি দেওয়া হবে। নতুন ব্যবস্থায় গাজা শাসনের দায়িত্ব নেবে একটি ফিলিস্তিনি টেকনোক্র্যাট সরকার, যার তত্ত্বাবধানে থাকবে আন্তর্জাতিক একটি পর্ষদ (বোর্ড অব পিস)। সেখানে হামাসের কোনো ভূমিকা থাকবে না। ইসরায়েলও গাজা দখল করবে না বা এই ভূখণ্ডকে নিজের সঙ্গে যুক্ত করবে না।
ইউরোপ, রাশিয়া, চীন, সৌদি আরব, তুরস্ক, ফিলিস্তিনসহ বিভিন্ন দেশ এবং ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে মধ্যস্থতার দায়িত্বে থাকা মিসর ও কাতার ট্রাম্পের প্রস্তাবকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছে। যদিও একই সঙ্গে এখনই এই প্রস্তাবের সাফল্য নিয়ে আশাবাদী না হওয়ার কথা বলছে কাতার।
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস ‘সব পক্ষকে’ ট্রাম্পের গাজা পরিকল্পনার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। মহাসচিবের ডেপুটি মুখপাত্র ফারহান হক এক বিবৃতিতে গুতেরেসের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, ‘আমাদের অগ্রাধিকার হওয়া উচিত এই সংঘাতের কারণে সৃষ্টি হওয়া ব্যাপক ভোগান্তি লাঘব করা।’ গুতেরেস আশা প্রকাশ করেন, পরিকল্পনার বাস্তবায়ন দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করবে।
প্রস্তাব নিয়ে হামাসের অবস্থান
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রাম্পের পরিকল্পনাটি নিয়ে যে আলোচনা হয়েছিল, তাতে হামাস যুক্ত ছিল না। এই পরিকল্পনায় হামাসকে নিরস্ত্র করার কথা বলা হয়েছে, যা হামাস এর আগেও প্রত্যাখ্যান করেছে।
হামাসের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র রয়টার্সকে বলেছে, এই পরিকল্পনা ‘সম্পূর্ণভাবে ইসরায়েলের প্রতি পক্ষপাতদুষ্ট’ এবং এর মাধ্যমে হামাসকে নির্মূল করার ‘অসম্ভব শর্ত’ চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে আলোচনা সম্পর্কে অবহিত এক কর্মকর্তা গতকাল রয়টার্সকে বলেন, হামাসের আলোচকেরা ‘সদিচ্ছা নিয়ে এটি পর্যালোচনা করবেন এবং এ বিষয়ে নিজেদের অবস্থান জানাবেন’।
প্রস্তাবের বিষয়ে কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি গতকাল সাংবাদিকদের বলেন, হামাস কর্মকর্তারা সোমবার রাতে পুরো পরিকল্পনাটি হাতে পেয়েছেন। বিষয়টি তাঁরা ‘দায়িত্বশীলতার সঙ্গে পর্যালোচনার’ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এ নিয়ে গতকাল তাঁদের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল।
মাজেদ আল-আনসারি আরও বলেন, সম্ভাব্য ফলাফল সম্পর্কে আগবাড়িয়ে আশাবাদী হওয়া ঠিক হবে না। তবে তিনি বলেন, পরিকল্পনাটিতে ‘সার্বিক বিষয় স্থান পাওয়ায়’ কাতার এ নিয়ে ইতিবাচক।
তবে কাতারের হামাদ বিন খলিফা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সুলতান বারাকাত আল-জাজিরাকে বলেছেন, ট্রাম্পের ২০ দফা পরিকল্পনা ‘সমস্যাজনক’ এবং হামাসের জন্য এটি গ্রহণ করা হবে একেবারেই ‘অবিবেচকের কাজ’।
বারাকাত বলেন, এই পরিকল্পনার শুরুতেই হামাসকে তাদের সব চাপ প্রয়োগের হাতিয়ার এমন এক পক্ষের কাছে ছেড়ে দিতে হবে, যাদের তারা বিশ্বাস করে না। তিনি আরও বলেন, ট্রাম্প যেভাবে নেতানিয়াহুর পাশে দাঁড়িয়ে পরিকল্পনাটি ঘোষণা করেছেন, তা স্পষ্টভাবে প্রমাণ করে যে প্রস্তাবটি ইসরায়েলের স্বার্থের দিকেই বেশি ঝুঁকে আছে।
সময় বেঁধে দিয়েছেন ট্রাম্প
শান্তি পরিকল্পনার বিষয়ে নিজেদের অবস্থান জানাতে হামাসকে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ২০ দফা প্রস্তাবের বিষয়ে নিজেদের অবস্থান জানাতে হামাস তিন থেকে চার দিন সময় পাবে।
ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা কেবলই হামাসের জবাবের অপেক্ষায় রয়েছি।’ তাঁর দাবি, সব আরব দেশ, মুসলিম দেশগুলো এতে সম্মতি দিয়েছে। ইসরায়েল সম্মতি দিয়েছে। হামাস যদি সম্মতি না দেয়, তাহলে চরম পরিণতি হবে।
হামাস যদি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে, তাহলে ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়া কী হবে—এমন প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, তাহলে ইসরায়েলের যেখানে যা করা দরকার, তিনি তা করতে দেবেন। আর তারা সহজেই এটি করতে পারবে। প্রস্তাব না মানলে হামাসকে চড়া মূল্য দিতে হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন।
গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে ট্রাম্পের ২০ দফা পরিকল্পনায় বলা হয়েছে, এটা হামাসকে নিরস্ত্রীকরণের ধরন, লক্ষ্য ও সময়সীমার ওপর ভিত্তি করে নির্ধারণ করা হবে। তাই বলা যায়, গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনারা কবে ফেরত যাবেন, সেটার সুনির্দিষ্ট সময়সীমা জানানো হয়নি। কীভাবে ও কখন এটা বাস্তবায়িত হবে, তা-ও স্পষ্ট নয়।
এতে আরও বলা হয়েছে, গাজা অঞ্চলটি যেকোনো ‘সন্ত্রাসী হুমকি’ থেকে যথাযথভাবে সুরক্ষিত না হওয়া পর্যন্ত ইসরায়েল ‘নিরাপত্তা পরিধি’ বজায় রাখবে। তবে এসব শর্ত কখন পূরণ হবে, শর্তপূরণের মানদণ্ড কে নির্ধারণ করবে, সেসবের উল্লেখ নেই।
এদিকে গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে নিজের টেলিগ্রাম চ্যানেলে নেতানিয়াহু বলেছেন, ‘এমন কিছু ঘটছে না।’ হামাস যদি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে, সে ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প পূর্ণ সমর্থন দিয়ে বলেছেন, ‘হামাসকে নির্মূল করার জন্য সামরিক অভিযান পুরোপুরি সম্পন্ন করুন।’
ট্রাম্পের নতুন পরিকল্পনায় বলা হয়েছে, গাজায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কাজে একটি ‘অস্থায়ী আন্তর্জাতিক বাহিনী’ যুক্ত থাকবে। কিন্তু এ বাহিনী কোথা থেকে আসবে, কারা এতে যোগ দেবে এবং এর ক্ষমতা কতটা হবে, সেসব বিষয়ে কোনো কিছুই এখনো স্পষ্ট নয়। কোন কোন দেশ গাজায় সেনা পাঠাতে রাজি হবে কিংবা কোন কোন দেশকে এ পরিকল্পনার আওতায় গ্রহণযোগ্য ধরা হবে, তা নিয়েও কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি।
পরিকল্পনা অনুযায়ী, গাজা পরিচালনার জন্য একটি ‘অস্থায়ী অন্তর্বর্তী প্রশাসন’ গঠন করা হবে। এ প্রশাসনে থাকবে একটি বেসামরিক অরাজনৈতিক ফিলিস্তিনি কমিটি। এ কমিটির সদস্যরা গাজার বিষয়গুলো তদারকির কাজ করবেন। তবে কমিটি কীভাবে গঠন করা হবে, কে কমিটির সদস্যদের নির্বাচন করবেন—এসবের বিস্তারিত কিছুই জানানো হয়নি।
ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ যতক্ষণ পর্যন্ত নিজেদের সংস্কার কার্যক্রম শেষ করতে না পারছে, যতক্ষণ গাজাকে নিরাপদ করতে এবং কার্যকরভাবে আবারও নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার মতো সক্ষম হয়ে না উঠছে, ততক্ষণ গাজার নিয়ন্ত্রণ অস্থায়ী অন্তর্বর্তী প্রশাসনের হাতে থাকবে বলেও ট্রাম্পের পরিকল্পনায় জানানো হয়েছে।
এ ক্ষেত্রে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ কবে নাগাদ গাজার নিয়ন্ত্রণ বুঝে নিতে সক্ষম হয়ে উঠছে, সেই সত্যায়নই-বা কে করবে, সেসব নিয়ে ধোঁয়াশা রয়ে গেছে। এ জন্য ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষকে কী কী মানদণ্ড অর্জন করতে হবে, সেটাও জানানো হয়নি। এ ক্ষেত্রে সময়সীমার কথাও কিছু উল্লেখ নেই। এটা অস্পষ্ট একটি ঘোষণামাত্র।
বিবিসির হোয়াইট হাউস প্রতিবেদক টম বেটম্যান বলেছেন, এই পরিকল্পনা গাজার যুদ্ধ-পরবর্তী ভবিষ্যতের বিষয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের অবস্থানের একটি পরিবর্তন। এতে একটি চুক্তি মেনে নিতে নেতানিয়াহুর ওপর ওয়াশিংটন এই বছর যে চাপ প্রয়োগ করেছে, তার চেয়ে আরও বেশি চাপ যুক্ত করা হয়েছে।
গাজায় হামলা চলছে
কূটনৈতিক উদ্যোগের মধ্যেও গাজায় হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। আল-জাজিরার খবরে বলা হয়, গাজায় গতকাল কয়েক ঘণ্টা ধরে প্রতি মিনিটে বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া গেছে।
গতকাল গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আগের ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ৪২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ত্রাণ আনতে যাওয়া ৫ জন রয়েছেন। আহত হয়েছেন ১৯০ জন। ২০২৩ সালে গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার হামলা শুরুর পর গতকাল পর্যন্ত ৬৬ হাজার ৯৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১ লাখ ৬৮ হাজার ৫৩৬ জন।
যুদ্ধের পাশাপাশি গাজায় খাবার, জ্বালানি ও স্বাস্থ্য সরঞ্জাম প্রবেশে কড়া বিধিনিষেধ বজায় রেখেছে ইসরায়েল। এতে এখন পর্যন্ত ৪৫৩ ফিলিস্তিনি খাবার না পেয়ে অপুষ্টির শিকার হয়ে মারা গেছেন বলে হালনাগাদ তথ্যে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ১৫০টি শিশুও রয়েছে।
| মৃত্যুর ঝুঁকি আছে জেনেও ত্রাণ নিতে যান ফিলিস্তিনিরা। যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল–সমর্থিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশনের দেওয়া ত্রাণ নিয়ে ফিরছেন কয়েকজন। গতকাল গাজার নুসেইরাতের নেতজারিম করিডর এলাকায়। ছবি: এএফপি |
No comments