ইসরাইলকে স্বীকৃতি দেবে ইন্দোনেশিয়া, তবে...
উল্লেখ্য, ইন্দোনেশিয়া এখনো ইসরাইলকে কোনো ধরনের কূটনৈতিক স্বীকৃতি দেয়নি। দেশটি দীর্ঘদিন ধরে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার পক্ষে অবস্থান করে আসছে। প্রবায়োর এই বক্তব্য ইন্দোনেশিয়ার ঐতিহ্যবাহী কূটনৈতিক অবস্থানে এক ধরনের সম্ভাব্য পরিবর্তনের আভাস দিচ্ছে। বিশ্লেষকদের মতে, প্রেসিডেন্ট প্রবায়োর এ ঘোষণায় আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহলে নতুন আলোচনা শুরু হতে পারে।
বিশেষত, মুসলিম বিশ্বের অন্য দেশগুলো যারা এখনো ইসরাইলকে স্বীকৃতি দেয়নি, তাদের জন্যও এটি একটি নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারে।
ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ফ্রান্সও স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের পক্ষে। এ লক্ষ্যে সব ধরনের কূটনৈতিক পদক্ষেপকে সমর্থন জানাবে। তিনি বলেন, ইসরাইলের নিরাপত্তা যেমন জরুরি, তেমনি ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাও সমানভাবে অপরিহার্য।
ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংকট নিরসনে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান চান ফরাসি প্রেসিডেন্ট
ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংকট নিরসনে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের পক্ষে মতামত পুনর্ব্যক্ত করেছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রন। বুধবার ইন্দোনেশিয়ায় বক্তৃতাকালে এ কথা বলেন তিনি। বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যের প্রতি ফরাসি নীতিতে কোনো দ্বিমুখী নীতি নেই। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। এতে বলা হয়, ম্যাক্রনের এই অভিমত ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের স্বীকৃতির দিকে ইঙ্গিত করছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, ম্যাক্রনের বক্তব্য ফিলিস্তিনকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার দিকেই ঝুঁকছে। যা ইসরাইলকে ক্ষুব্ধ করতে পারে। এছাড়া পশ্চিমাদের মধ্যে বিভেদ আরও প্রবল হতে পারে। চলতি সপ্তাহে এশিয়ার কয়েকটি দেশ সফর করছেন ফরাসি এই প্রেসিডেন্ট। তার মাঝেই ইন্দোনেশিয়ায় ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংঘাতের সমাধানে দ্বি-রাষ্ট্রের কথা বললেন ম্যাক্রন। কেবল রাজনৈতিক সমাধানই দীর্ঘমেয়াদে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। ম্যাক্রন বলেন, সৌদি আরবের সঙ্গে আমরা শিগগিরই নিউইয়র্কে গাজা নিয়ে একটি সম্মেলনের আয়োজন করবো, যাতে ফিলিস্তিনিদের রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয়া এবং ইসরাইল রাষ্ট্রের স্বীকৃতি ও এই অঞ্চলে তাদের শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ বসবাসের অধিকারকে নতুনভাবে অগ্রাধিকার দেয়া যায়।

No comments