‘আবর্জনা থেকে হবে সোনা', জনতাকে বোকা বানালেন মন্ত্রী

এমন একটি মেশিন যা আবর্জনাকে সোনায় পরিণত করে। এটা কোনও গল্পকথা নয়। সেই মেশিন বসানো হবে মিরাটে। উত্তর প্রদেশের পশুপালন মন্ত্রী ধর্মপাল সিং -এর কথা শুনে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গেছে রাজ্যে। যোগীর মন্ত্রীর এমন মন্তব্যে বিতর্ক চরম আকার নিয়েছে। বিরোধী শিবিরের কটাক্ষ, জনতাকে বোকা বোঝানোর সব সীমা পার করেছেন যোগীর মন্ত্রিসভার ওই মন্ত্রী।

ধর্মপাল সিংয়ের এহেন মন্তব্যের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সাংবাদিক নরেন্দ্র প্রতাপের শেয়ার করা সেই  ভিডিওতে মন্ত্রী ধর্মপাল সিংকে বলতে শোনা যাচ্ছে, নর্দমা পরিষ্কার করার সময় ময়লা তুলে তা সেখানেই ফেলে রাখা হয়। ওই ময়লা পরে আবার নর্দমায় চলে যায়। এই বর্জ্যের উপযুক্ত ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা থাকা উচিত। আমাদের কাছে এমন একটি পরিকল্পনা রয়েছে যেখানে এইসব বর্জ্যকে সোনায় পরিণত করা যাবে। সোনা বানানোর সেই মেশিন তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। যদিও সেই কাজে ছোট্ট একটা সমস্যা দেখা দিয়েছে। তা ঠিক হয়ে গেলেই মিরাটে বসানো হবে মেশিনটি। যখন মেশিন তৈরির কাজ সম্পন্ন হবে, তখন মিরাটে, আবর্জনা থেকে সোনা তৈরি হবে।'

যদি এটি সত্য হয়, তাহলে জেনেভার বিজ্ঞানীরা তাদের ব্যাগ গুছিয়ে মিরাটে যেতে চাইবেন বর্জ্য ব্যবহার করে কীভাবে সোনা তৈরি করা যায় তার একটি লাইভ ডেমো দেখার জন্য। এই মাসের শুরুতে, ইউরোপীয় নিউক্লিয়ার রিসার্চ অর্গানাইজেশন - যা CERN নামে বেশি পরিচিত রিপোর্ট করেছিল যে লার্জ হ্যাড্রন কোলাইডারে "উচ্চ-শক্তির সীসা নিউক্লিয়াসের মধ্যে সংঘর্ষে তীব্র তড়িৎ চৌম্বকীয় ক্ষেত্র তৈরি হয় যা প্রোটনকে ছিটকে দিতে পারে এবং সীসাকে ক্ষণস্থায়ী পরিমাণে সোনার নিউক্লিয়াসে রূপান্তরিত করতে পারে।

তবে, সেটা ক্ষণস্থায়ী মুহূর্ত ছিল। যোগীর মন্ত্রীর বক্তব্য বিজ্ঞানের সংজ্ঞাই বদলে দিয়েছে। সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব বলেন, ‘মন্ত্রী মশাইয়ের কাছে অনুরোধ তিনি প্রথমে কনৌজে গরুর দুধ বিক্রির ব্যবস্থায় পরিবর্তন এনে চাষিদের আয়বৃদ্ধির ব্যবস্থা করুন। তারপর না হয় আবর্জনা থেকে সোনা তৈরি করবেন।’

পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, ‘বিজেপির নেতারা এই প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন কে কতবড় মিথ্যা বলতে পারেন।’

এর আগে ২০১৯ সালে একটি সভায় বঙ্গের বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, “ভারতীয় গরুর বৈশিষ্ট্য, তার দুধের মধ্যে সোনার ভাগ থাকে। তার জন্য দুধের রঙ একটু হলদেটে হয়।”

সূত্র : দ্য হিন্দু

mzamin

No comments

Powered by Blogger.