যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচন: ২৭০-এর জটিল হিসাব
অন্যদিকে ২৪টি রাজ্যে রিপাবলিকানদের ঘাঁটি আছে। সেখান থেকে ট্রাম্প কমপক্ষে ২১৯ ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট পেতে পারেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট আছে টেক্সাসে ৪০টি, ফ্লোরিডায় ৩০টি এবং ওহাইওতে ১৭টি ভোট। ২৭০ নিশানায় পৌঁছতে হলে ব্যাটলগ্রাউন্ডের ৯৩টি ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট থেকে ট্রাম্পের প্রয়োজন হবে কমপক্ষে ৫১ ভোট। ডেমোক্রেটদের মতোই তিনি যদি পেনসিলভ্যানিয়া (ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট ৯), জর্জিয়া (১৬) ও নর্থ ক্যারোলাইনার (১৬) ইলেক্টোরাল ভোট জয় করতে পারেন তাহলে তার জন্য প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পথ নিশ্চিত হতে পারে। জনমত জরিপ বলছে, এই তিনটি রাজ্যেই তিনি এগিয়ে আছেন। যদি রিপাবলিকানরা এই তিনটি রাজ্যের সবটাতে জিততে না পারে তাহলে ৭ ব্যাটলগ্রাউন্ডের মধ্যে কমপক্ষে চারটি রাজ্যে জয় নিশ্চিত করতে হবে।
যদি দুই দলের প্রার্থীর কেউই ২৭০ স্পর্শ করতে ব্যর্থ হন, অর্থাৎ দু’জনেই যদি ২৬৯ পর্যন্ত এসে থেমে যান তাহলে কী হবে? এক্ষেত্রে যেসব হিসাব সামনে আসতে পারে। তা হলো এখন ধারণা করা হচ্ছে ডেমোক্রেট প্রার্থী কমালা হ্যারিস ২২৬ ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট জিতবেন। যদি তাই হয় তাহলে কীভাবে দুই প্রার্থী ২৬৯ ভোট পেতে পাবেন সে হিসাবটা দেখে নেয়া যাক। কমালা ২২৬ ইলেক্টোরাল ভোট পাওয়ার পর তাকে জর্জিয়া (১৬), অ্যারিজোনা (১১), উইসকনসিন (১০) এবং নেভাদায় (৬) জয় পেতে হবে। তাহলেই ২২৬ + ৪৩ = ২৬৯ ইলেক্টোরাল ভোট নিশ্চিত হবে। অন্যদিকে রিপাবলিকান ট্রাম্প যদি তার নিশ্চিত ২১৯ ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট পান তাহলে তাকে জিততে হবে পেনসিলভ্যানিয়া (১৯), নর্থ ক্যারোলাইনা (১৬) ও মিশিগানে (১৫)। ২১৯ এর সঙ্গে এই ৫০ যোগ হয়ে হবে ২৬৯।
অন্যভাবেও দুই প্রার্থী ২৬৯ ভোট পেতে পারেন। তার মধ্যে ডেমোক্রেট ২২৬ এর সঙ্গে জিততে হবে জর্জিয়া (১৬), নর্থ ক্যারোলাইনা (১৬) ও অ্যারিজোনা (১১)। তাহলেই কমালার ২৬৯ হয়ে যায়। অন্যদিকে ট্রাম্পের ২১৯ এর সঙ্গে জিততে হবে পেনসিলভ্যানিয়া (১৯), মিশিগান (১৫), উইসকনসিন (১০) ও নেভাদা (৬)।
এই হিসাব অন্যভাবেও হতে পারে- কমালাকে ২২৬ এর সঙ্গে জিততে হবে নর্থ ক্যারোলাইনা (১৬), অ্যারিজোনা (১১), উইসকনসিন (১০) এবং নেভাদা। অন্যদিকে ট্রাম্পকে ২১৯ এর সঙ্গে যোগ করতে হবে পেনসিলভ্যানিয়া (১৯), জর্জিয়া (১৬) এবং মিশিগান (১৫)।
যদি এমন ঘটনার অবতারণা হয় তখন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আর ইলেক্টোরাল কলেজ ভোটের ওপর নির্ভর করবে না। তখন কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদের সদস্যরা সিদ্ধান্ত নেবেন কে হবেন প্রেসিডেন্ট। এক্ষেত্রে প্রতিনিধি পরিষদে প্রতিটি রাজ্যের প্রতিনিধি মিলে মাত্র একটি ভোট দিতে পারবেন। এভাবে ৫০টি রাজ্যের প্রতিনিধিরা ৫০টি ভোট দেবেন। তাতে যে প্রার্থী সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট পাবেন অর্থাৎ ৫০-এর মধ্যে কমপক্ষে ২৬ ভোট পাবেন তাকেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত ঘোষণা করা হবে। তারপর ভাইস প্রেসিডেন্ট বাছাই করবে যুক্তরাষ্ট্রের সিনেট। এতে যিনি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবেন তিনি হবেন ভাইস প্রেসিডেন্ট।
No comments