দীপাবলিতে মিষ্টি বিতরন করলো ভারত-চীনের সেনা

পূর্ব লাদাখের ডেপসাং এবং দেমচোক থেকে শিবির সরানোর কাজ অনেকদিন থেকে শুরু করেছিল চীন। এছাড়াও লাদাখের বেশ কয়েকটি জায়গায় চীনা সেনা ঘাঁটি গেড়েছিল। ধীরে ধীরে সেগুলিও সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। গালওয়ানে দুই দেশের সেনার সংঘর্ষের পর থেকে সীমান্তে যে সমস্যা বেড়েছিল তার জেরেই ভারত-চীন সম্পর্কে ফাটল ধরে। তবে সম্প্রতি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ব্রিকস সামিটে যোগ দেওয়ার আগে থেকে এলএসি-তে সেনা প্রত্যাহার শুরু হয় চীনের। তখনই শোনা গিয়েছিল যে, সীমান্তে সম্ভবত দিওয়ালিতে চীন ও ভারতের সেনার মধ্যে মিষ্টি বিনিময় হবে। আর সেই মতো দিওয়ালির দিন সেই ছবি দেখা গেল লাদাখে । দুই দেশের জওয়ানরা মিষ্টি বিনিময় করেছেন পাঁচ জায়গায়। লাদাখের চুসুল মান্দো এবং দৌলত বেগ ওলদি, অরুণাচল প্রদেশের বাঞ্ছা, বুমলাহ এবং সিকিমের নাথুলা পাস সীমান্তে মিষ্টি বিনিময় করেছে ভারত-চীন সেনা। ২০২০ সালে গালওয়ানের সংঘর্ষের পর থেকে এই রীতি বন্ধ ছিল।

সূত্রের খবর, পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে সেনা প্রত্যাহারের পরই আজ, বৃহস্পতিবার থেকে দেমচক ও দেপসাং-এ স্বাভাবিক টহল শুরু করেছে ভারতীয় সেনা। ওপ্রান্তে চীনা সেনাও টহল দিচ্ছে। দুই দেশের মধ্যে বিগত চার বছর ধরে যে চাপান-উতোর চলছিল, তা কমার লক্ষ্যে এটি বড় পদক্ষেপ বলেই মনে করা হচ্ছে। ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিসরি ২১ অক্টোবর নয়াদিল্লিতে বলেছিলেন যে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে আলোচনার পরে ভারত ও চীনের মধ্যে চুক্তি চূড়ান্ত হয়েছে এবং এটি ২০২০ সালে উদ্ভূত সমস্যাগুলির সমাধানের দিকে নিয়ে যাবে। আপাতত দিনের বেলাই পেট্রোলিং চলবে দেপস্যাং ও দেমচকে। রাতে পেট্রোলিংয়ের পরিকল্পনা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, এই দুই সংঘর্ষস্থল থেকে সেনা প্রত্যাহার সম্পূর্ণ হয়েছে। এরপর ভেরিফিকেশন বা যাচাই প্রক্রিয়া রয়েছে। তা শেষ হলে পেট্রোলিংয়ের যাবতীয় ব্যবস্থা ও সিদ্ধান্ত নেবেন গ্রাউন্ড কম্যান্ডাররা।

সূত্র : দা হিন্দু

mzamin

No comments

Powered by Blogger.