অবশেষে আমরণ অনশন প্রত্যাহার করলেন জুনিয়র ডাক্তাররা
মুখ্যসচিবের তরফে জানানো হয়েছিল, ৪৫ মিনিট চলবে বৈঠক। সেই বৈঠক হল ১২৮ মিনিট ধরে। বৈঠকে উঠে এল একাধিক বিষয়। তা নিয়ে চলল কথাবার্তা। কখনও সামান্য বাদানুবাদও। শেষ পর্যন্ত অনেক বিষয়েই সহমত হল দুই পক্ষ। নবান্নে বৈঠকের পর জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিনিধি দল ধর্মতলার মঞ্চে ফিরে আসেন। তাদের ফোরামের জেনারেল বডির বৈঠক হয়। তার পর আনুষ্ঠানিক ভাবে অনশন প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করেন জুনিয়র ডাক্তারদের সংগঠনের অন্যতম মুখ দেবাশিস হালদার। একই সঙ্গে তিনি জানিয়ে দেন, মঙ্গলবার স্বাস্থ্য ধর্মঘটের ডাকও তারা প্রত্যাহার করে নিচ্ছেন। সেইসঙ্গে তারা জানিয়ে দেন , কোনও সরকারি অনুরোধ বা ভয় বা চাপে এই অনশন তারা প্রত্যাহার করছেন না। তারা আন্দোলন প্রত্যাহার করছেন শুধুই আরজি করের নির্যাতিতা চিকিৎসকের বাবা-মায়ের অনুরোধে। তাদের কথা ভেবে এবং সাধারণ মানুষের কথা ভেবে।
১০ দফা দাবিতে ধর্মতলায় গত ৫ অক্টোবর থেকে ‘আমরণ অনশন’ করছিলেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজেও চলছিল ‘ভুখ হরতাল’। ১০ দফা দাবির মধ্যে অন্যতম ছিল স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগমের অপসারণ। সোমবারের বৈঠকে যদিও মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্টই জানিয়ে দেন, এই দাবি তিনি মানবেন না।
স্টেট টাস্ক ফোর্স, গ্রিভ্যান্স সেলের প্রসঙ্গও উঠেছে বৈঠকে। বেশির ভাগ কমিটির ক্ষেত্রেই সহমত হয়েছে দু’পক্ষ। কিছু বিষয়ে সহমত হয়নি। মুখ্যসচিব আগামী মার্চের মধ্যে মেডিক্যাল কলেজ কাউন্সিলে নির্বাচন করানোর আশ্বাসও দিয়েছেন। বৈঠকে যদিও মুখ্যমন্ত্রীর চা-পানের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তারদের একাংশ।তবে পর্যবেক্ষকদের মতে, জুনিয়র ডাক্তাররা পোড় খাওয়া রাজনীতিক নন। সরকার তাদের সব দাবি না মানলেও তারা অনশন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কিন্তু তাতে যাতে মনে না হয় যে তাঁরা দমে গিয়েছেন, সেই কারণেই এদিন উচ্চস্বরে কিছু কথা বলতে চেয়েছেন। এও বোঝাতে চেয়েছেন তাদের নৈতিক জয় হয়েছে। সেই কারণে তারা অনশন প্রত্যাহারের জন্য সরকারকে কোনও কৃতিত্ব দিতে চাননি। বরং অনশন মঞ্চে ডেকে আনা হয়েছে নির্যাতিতার বাবা-মাকে।
No comments