ইসরায়েলি বাহিনীতে বিদ্রোহের উসকানি
তিনি চারজন ইসারায়েলি প্রধানমন্ত্রীর অধীনে কাজ করেছেন। এমনকি নিজেও একজন সাবেক সামরিক কর্মকর্তা হিসেবে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীতে কাজ করেছেন।
বিবিসির সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে ইতজিওন জানান, যদি কোনো সেনা অথবা একজন কমকর্তা মনে করেন কোনো আদেশ পালনের কারণে এমন কোনো ঘটনা ঘটতে পারে যা যুদ্ধাপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে তাহলে তাদের উচিত তা মানতে অস্বীকার করা। এ সময় তিনি দায়িত্বে থাকলেও আদেশ অমান্য করতেন বলে জানান সাবেক এ সেনা কর্মকর্তা। যে কোনো ইসরায়েলি সেনারই উচিত এমনটা করা।
ইতজিওন মনে করেন, যে কোনো মূল্যবোধের বিপজ্জনক ক্ষয় আছে। এমনকি যে কোনো রাগের বিস্তৃতি প্রতিশোধ নেয়ার স্পৃহাও রয়েছে। যার কারণে তিনি ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের জনগণের জন্য বেশ চিন্তিত। তিনি মনে করেন গত বছরের ৭ অক্টোবরের পর থেকে ইসরায়েলিরা একটি ট্রমার ভেতর আছে। ফলে ইসরায়েলের প্রতিশোধের নেশা অনুধাবন করা যায়।
সাবেক এ ইসরায়েলি সেনা কর্মকর্তা মনে করেন, এখানে মানুষ হত্যা করা হচ্ছে। ইসরায়েলি বাহিনী কোনো সন্ত্রাসী গ্রুপ বা সশস্ত্র সংগঠন নয়। তারা একটি সার্বভৌম দেশের বাহিনী। তাদের একটি ইতিহাস আছে, নীতি ও মূল্যবোধ আছে। ইসরায়েলি বাহিনীর উচিত আন্তর্জাতিক আইন অনুসরণ করে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসরণ করে অভিযান পরিচালনা করা। কারণ ইসরায়েল আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অংশ হিসেবে তার অস্তিত্ব বজায় রাখতে চায়।
ইতজিওনের সন্তানরা এখন ইসরায়েলি সেনাবাহিনীতে কাজ করছে এমনকি তার বন্ধু ও পরিবারের সদস্যরা এখনও ইসরায়েলি সেনাবাহিনীতে আছে। তিনি জানান, একজন উদ্বিগ্ন নাগরিক হিসেবে তিনি শুধু তার কথা বলতে চান। তিনি চান ইসরায়েলি সেনারা যাতে কোনো প্রকার যুদ্ধাপরাধে জড়িয়ে না পড়ে।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। ছবি : সংগৃহীত |
No comments