সংবিধান ও প্রেসিডেন্ট ইস্যুতে জাতীয় ঐক্যের ডাক বৈষম্যবিরোধীদের
তিনি আরও বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত ফ্যাসিবাদীর বিলোপ না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত নির্বাচন বিষয়টি অপ্রাসঙ্গিক। গণতান্ত্রিক আন্দোলনে যারা শহীদ ও আহত হয়েছেন তাদের আকাঙ্ক্ষা ছিল ১৫ বছরে যারা ভোট দিতে পারেননি, তারা তা পারবেন। আমরা শহীদ-আহতদের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষা ধারণ করি। তবে তাদের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে চুপ্পুকে নিয়ে নির্বাচন প্রাসঙ্গিক হতে পারে না। বিএনপি’র পক্ষ থেকে আমরা স্পষ্ট বক্তব্য পাচ্ছি না। এ সময় হাসনাত তাদের অবস্থান স্পষ্টকরণের আহ্বান জানান।
এক প্রশ্নের জাবাবে হাসনাত বলেন, যিনি রাষ্ট্রের জন্য মঙ্গলজনক হবেন তারই প্রেসিডেন্ট হওয়া উচিত। রাজনৈতিক দলগুলো একসঙ্গে বসুক, সমাজের বিজ্ঞ লোকগুলো একসঙ্গে বসুক। বসে তারা সিদ্ধান্ত নিক কে প্রেসিডেন্ট হবেন। এক্ষেত্রে অবশ্যই রাষ্ট্রের প্রধান যিনি হবেন তিনি যেন রাষ্ট্রের জন্য কল্যাণকর হন। তাহলে আমাদের কোনো আপত্তি থাকবে না। অন্যথায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মেনে নেবো না।
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ছাত্রলীগের বিষয়ে আমরা আপসহীন। ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে তারা নৃশংসতা চালিয়েছে। জঙ্গি সংগঠনের কম্পোনেন্ট যেসব থাকে সব তাদের আছে। দেশবাসীকে আহ্বান জানাবো যেখানেই দেখবেন তাদের শক্তভাবে দমন করুন। আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি বাদে সব রাজনৈতিক দলকে জাতীয় ঐক্যের ডাকে সাড়া দিতে আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, কোনো দল যদি ৭২’র সংবিধান বাতিল ও প্রেসিডেন্টের অপসারণ দাবিতে জাতীয় ঐক্যের আহ্বানে না আসে তাহলে সে দলকেও আমরা বয়কট করবো, ছাত্র-জনতাকে সঙ্গে নিয়ে।
নাগরিক কমিটি বা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপ বিষয়ে নাগরিক কমিটির সদস্য নাসির উদ্দীন পাটোয়ারী বলেন, আমরা রাজনৈতিক মহলের সঙ্গে কথা বলছি। আমরা কোনো গোলটেবিল আলোচনা চাই না। আমরা রাজপথে বিশ্বাসী, রাজপথে থেকেই সমাধান করতে চাই। রাজপথে থেকে হাসিনা পালিয়েছে, রাজপথেই সিদ্ধান্ত হবে চুপ্পু কোথায় যাবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম, আব্দুল হান্নান মাসুদ, উমামা ফাতেমা, জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য মনজুর আল মতিন, আরিফুল ইসলাম আদিব প্রমুখ।
No comments